" " নিরালা সবুজদ্বীপ ""—
1 min read” ” নিরালা সবুজদ্বীপ “”—
দেবাঞ্জলী চক্রবর্তী, কলকাতা, বর্তমানের কথা:
পর্যটনে বাঁকুড়া ভাবতেই আমাদের মনে এক ঝটিকায় যে পর্যটনকেন্দ্র গুলির খেয়াল আসে তা হলো বিষ্ণুপুর, জয়রামবাটি, মুকুটমনিপুর, শুশুনিয়া। কিন্তু পর্যটন পিপাসু মানুষের নতুন ডেস্টিনেশন হতেই পারে
“রাইপুরের সবুজদ্বীপ”। রাইপুর ব্লক ও পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে নদী, জঙ্গল আর পাহাড়ে ঘেরা মনোরম, স্নিগ্ধ পরিবেশে গড়ে উঠেছে এই সবুজদ্বীপ। প্রায় তিন একর জায়গা জুড়ে কংসাবতী নদীর অববাহিকায় বিরাজমান এই “সবুজদ্বীপ “। বাঁকুড়ার মানচিত্রে জুড়েছে নতুন এক পালক, শাল জঙ্গল ঘেরা সবুজদ্বীপ পর্যটন কেন্দ্র । এই দ্বীপের দুইদিক দিয়ে সারাবছর অবিরাম গতিতে বয়ে চলেছে কংসাবতী নদী,
প্রতিদিন গোধূলি লগ্নে পড়ন্ত সূর্যের আলোয় নানান বনজ ফুলের সৌরভ নিয়ে যেন এক মোহময়ী রূপে আত্মপ্রকাশ করে সবুজদ্বীপ। এখানকার বিশেষত্ব হলো যে সারাবছরই জল আপন গতিতে বয়ে যায়, শুকোয় না । তাই পর্যটকরা সবসময়ই মাছ ধরতে পারে। নদীর অববাহিকায় বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপলব্ধি করতে করতে Alfred Tennyson – র সেই সুন্দর কবিতাটি মনে পড়তেই পারে-” For Men may come and men may go, but i go on forever” . কান পাতলেই শোনা যায় পাশের গ্রাম গুলি থেকে ভেসে আসা ধামসা মাদলের সুর ।রাতের কংসাবতী যেন এক স্বর্গীয় অনুভূতির সৃষ্টি করে। সামনেই পাওয়া যাবে মুকুটমণিপুর। অন্য দিকে ঝিলিমিলি। আছে শুশুনিয়ার নৈকট্যও।
সবুজদ্বীপকে জেলার পর্যটক কেন্দ্রগুলির প্রাণকেন্দ্র ও বলা যেতে পারে।কংসাবতী এখান থেকে দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়ে আবার একটু দূরেই মিশে গেছে। এই দ্বীপ পুরোটাই CCTV র অন্তর্গত তাই সুরক্ষা ব্যাবস্থা ভালো।এছাড়াও ঢিমি শব্দে সারাদিন রবীন্দ্র সঙ্গীত বাজে। বাঁকুড়ার প্রাকৃতিক দৃশ্যকে কাজে লাগিয়ে যে এমন একটা পর্যটনস্থান সৃষ্টি করা যেতে পারে, তারই নিদর্শন এই সবুজদ্বীপ।
যাবেন কিভাবে: সাঁতরাগাছি থেকে রূপসী বাংলা ধরে বাঁকুড়া স্টেশন সেখান থেকে বাস বা ভাড়ার গাড়ী ।মুকুটমনিপুর অবধি সরাসরি কোন ট্রেন নেই। সবচেয়ে ভালো কলকাতার ধর্মতলা থেকে মুকুটমণিপুর অবধি বাস ।সেখান থেকে কংসাবতী নদী।সেখানেই বোট পাওয়া যায় সবুজদ্বীপ যাওয়ার ।
থাকবেন কোথায়: সমগ্র দ্বীপ জুড়ে রয়েছে বনমালী, শ্যামলী কিছু হোটেল ও বনবাংলো।