বিশ্বকাপ ফুটবলের একুশতম আসরের বাঁশি বাজবে আগামী কাল রাত ৯টায়
1 min read
বিশ্বকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত লুঝনিকি। না হয়ে আর উপায় কী! বিশ্বকাপের বাঁশির সুর তো এখন কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে। আজই ক্ষণগণনার পালা শেষ হচ্ছে। কাল পর্দা উঠছে ফুটবল মহাযজ্ঞের। লুঝনিকিতে ৮০ হাজার দর্শক সেটির প্রত্যক্ষ সাক্ষী হতে যাচ্ছে। টেলিভিশনের পর্দায় চোখ রাখবে আরও কত কোটি ফুটবলপ্রেমী- তার ইয়ত্তা নেই!
২০০৬ বিশ্বকাপ থেকে উদ্বোধনী ম্যাচে চ্যাম্পিয়নদের বদলে খেলে স্বাগতিক দল। এবার স্বাগতিক রাশিয়ার প্রতিপক্ষ সৌদি আরব। সেই খেলার চাইতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দিকে বেশি ঝোঁক ফুটবল প্রেমীদের।
কিছুদিন আগেই রাশিয়া বিশ্বকাপের থিম সং ‘লাইভ ইট আপ’ প্রকাশ করেছে ফিফা। উদ্বোধনী দিনে এই গানের তালে তালে মেতে উঠবেন সবাই। থিম সং নিয়ে সবার সামনে হাজির হবেন উইল স্মিথ, নিকি জ্যাম ও ইরা ইস্ত্রোফি। এ ছাড়া রাশিয়ান স্থানীয় তারকাদের নানা রকম আয়োজনে মাতবে পুরো গ্যালারি। অনুষ্ঠানের পাশাপাশি তুলে ধরা হবে রাশিয়ান সংস্কৃতির বিভিন্ন দিক।
উপস্থিত দর্শকদের গানে মাতিয়ে রাখতে স্টেডিয়ামে উপস্থিত থাকবেন সংগীতশিল্পী রবি উইলিয়ামস, রাশিয়ার শিল্পী আইদা গারিফুলিনা। বাড়তি চমক হিসেবে থাকবেন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রোনালদো। এ ছাড়া মাঠে ৫ শতাধিক নৃত্যশিল্পী ও ক্রীড়াবিদ থাকবেন। একই দিন মস্কোর রেড স্কয়ারে আরেকটি কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে। এখানে প্ল্যাসিডো ডোমিগুয়েজ ও জুয়ান দিয়েগো ফ্লোর্সের মতো তারকারা পারফর্ম করবেন।
এক সময়ে বিশ্বকাপের মাঠ মাতানো তারকা ফুটবলার রোনালদো বলেছেন, ‘দিনটি স্বাগতিকদের জন্য অনেক আবেগের। তারা অনেক পরিশ্রম করেছে। এবার তাদের দেশে পুরো পৃথিবীর ফুটবলপ্রেমীরা জড়ো হচ্ছে। চার বছর আগে আমি এই ব্যাপারটি ব্রাজিলে বসে টের পেয়েছি। এবার সেই আনন্দটা রাশিয়ায় বসে তাদের সঙ্গে ভাগ করতে পারছি- খুব খুশি লাগছে।’
রাশিয়ান গায়িকা আইদা গারিফুলিনা বলেছেন, ‘আমি কখনো ভাবিনি এমন একটা অনুষ্ঠানের অংশ হতে পারব। সেটাও আবার আমার নিজের দেশ রাশিয়ায়! এটা আমার জন্য অনেক বড় একটি পাওয়া। বিষয়টি উপভোগ করার চেষ্টা থাকবে।’
রবি উইলিয়ামস বলেছেন, রাশিয়ায় পারফর্ম করার সুযোগ পেয়ে তিনি রোমাঞ্চিত। তিনি বলেন, ‘খুবই খুশি লাগছে। রোমাঞ্চিত হচ্ছি এমন একটা জায়গায় পারফর্ম করতে পারবো। ক্যারিয়ারে অনেক জায়গায় পারফর্ম করেছি। এবার ৮০ হাজার দর্শকের সামনে বিশ্বকাপ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গাইব! এটা আমার জন্য অনেক বড় ব্যাপার।’
ঐতিহ্যগতভাবেই বিশ্বকাপ ফুটবলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অলিম্পিকের মতো বর্ণাঢ্য কিছু হয় না। এটা যেন করার জন্যই করা। তবে পুতিনের দেশ বিশ্বকাপের এই আসরকে ‘অন্যরকম’ তকমা লাগাতে চায়। তাই সবকিছুতেই থাকছে ব্যতিক্রমী ছোঁয়া। তবে সব ছাপিয়ে রাশিয়ানদের চাওয়া- সুন্দর ফুটবলের জয় হোক!