সন্দীপ ঘোষকে সাসপেন্ড করল স্বাস্থ্য দফতর! CBI গ্রেফতারির পরেই সিদ্ধান্ত রাজ্যের
1 min readসন্দীপ ঘোষকে সাসপেন্ড করল স্বাস্থ্য দফতর! CBI গ্রেফতারির পরেই সিদ্ধান্ত রাজ্যের
আরজি কর কাণ্ডের পর এক পদ থেকে আর এক পদে, এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে তাঁকে। শেষমেশ সন্দীপ ঘোষ পদচ্যুত হলেন। ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশনের জন্য সন্দীপ ঘোষকে সাসপেন্ড করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। এর আগেই সিবিআই গ্রেফতার করেছে সন্দীপকে। সিবিআই গ্রেফতার করার প্রায় ২৪ ঘণ্টা পরে অবশেষে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে সাসপেন্ড করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।আগেই সন্দীপের সাসপেনশনের দাবি জানিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তখন কর্ণপাত করেনি রাজ্য সরকার, এমনই দাবি বিরোধী দলগুলির। শেষমেশ, সিবিআইয়ের গ্রেফতারির পরে চাপে পড়েই সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের। রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল থেকেও বিতাড়িত সন্দীপ ঘোষ। সরানো হল মেডিক্যাল কাউন্সিলের প্যানেল ও এথিক্স কমিটি থেকেও।মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ভবনের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এ কথা জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সন্দীপের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার তদন্তের প্রেক্ষিতেই এই পদক্ষেপ। সোমবার সন্ধ্যায় আরজি কর আর্থিক দুর্নীতির মামলায় সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক ধষর্ণ ও খুনের ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভের পারদ বাড়ছে, রাগে ফুঁসছে গোটা রাজ্য। এবার সন্দীপ ঘোষকে আদালত চত্বরে সপাটে চড় মারলেন এক বিক্ষোভকারী।মঙ্গলবার দুপুরে নিজাম প্যালেস থেকে সন্দীপ ঘোষকে আদালতে নিয়ে আসে সিবিআই। সেইসময় আদালত চত্বরে হুলুস্থুল পরিস্থিতি বেঁধে যায়।আইনজীবীরা বিক্ষোভ দেখান। সন্দীপ ঘোষের ফাঁসির দাবিতে সরব হন। ধাক্কাধাক্কি করা হয় সন্দীপের গাড়ি। এর পরে আদালত সন্দীপকে আট দিন সিবিআই হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়।সন্দীপকে আদালত থেকে বার করার সময়েই ধুন্ধুমার বেঁধে যায়। আদালত চত্বরের চতুর্দিকে তখন ‘চোর চোর’ স্লোগান। কার-ও বা মুখে ‘মর-মর’ অভিশাপ। একদল মানুষ সন্দীপের দিকে তেড়ে যান। শুরু হয় হুড়োহুড়ি। সেই সময়েই কোনও এক বিক্ষোভকারী সন্দীপের মাথায় পিছন থেকে চড় মারে। যদিও দ্রুত পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কড়া ঘেরাটোপে সন্দীপকে নিয়ে গাড়িতে ওঠেন সিবিআই কর্তারা। তাঁকে ফের নিজাম প্যালেসে নিয়ে যাওয়া হয়।গত ১৬ অগাস্ট থেকে টানা ১৫ দিন সিবিআই জেরা করে সন্দীপকে। সোমবার ফের তাঁকে তলব করা হয় সিজিও কমপ্লেক্সে। সন্ধ্যায় সেখান থেকে সিবিআই আধিকারিকেরা সন্দীপকে নিয়ে যান নিজাম প্যালেসে। তার পরেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়, সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, আর্থিক দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে।