December 5, 2024

নিউ টাউনের ইকোলজিকের উদ্যোগে আক্সিস মলের পার্শ্ববর্তী জমিতে চারাগাছ রোপন _

1 min read

নিউ টাউনের ইকোলজিকের উদ্যোগে আক্সিস মলের পার্শ্ববর্তী জমিতে চারাগাছ রোপন 

তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ,২ সেপ্টেম্বর:সম্প্রতি কলকাতার নিউ টাউনের ইকোলজিক সংস্থার মাধ্যমে নিউটাউন অক্সিস মলের পার্শ্ববর্তী জমিতে সংস্থার পক্ষ থেকে ১০০০ তম বকুল ফুলের চারা গাছটি রোপন করেন নিউটাউন “ইকোলজিক” সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য অমর চন্দ্র দত্তের সাথে সুকান্ত বাবু, শিবাজী বাবু, বীরেন্দ্র বাবু,নারায়ন বাবুআজ “ইকোলজিক”-এর উদ্যোগে নিউটাউন আ্যক্সিস মলের উত্তর দিকে অর্থাৎ লাইফস্টাইল-এর সন্নিকটস্থ ফাঁকা জমিতে আমরা *১০০০তম চারা গাছটি রোপণ করেন সংস্থার কর্ণধার অমর চন্দ্র দত্ত।

এবছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে ৯৯৯ টি চারাগাছ রোপণ করার পর সম্প্রতি হৈ হৈ করে আমরা এই এক হাজার তম চারা গাছটি রোপণ করলাম। আমাদের সদস্য,দিলীপ বাবুর হিসেব অনুযায়ী ২০২২ সাল থেকে ২০২৪,এই তিন বছরে নিউটাউনে আমরা ৩২৪২টি চারা গাছ লাগাতে পেরেছি।এ’বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে ২০২৪টি চারাগাছ রোপনের পরিকল্পনা ও লক্ষ্য মাত্রা আছে। সেই পরিকল্পনা ও লক্ষ্য মাত্রার প্রায় অর্ধেকের দিকে এগিয়ে গেলাম।আমাদের এই ইকোলজিক গ্ৰুপে এখনো পর্যন্ত ২২৪ জন সদস্য,যার প্রতিষ্ঠাতা হলেন বিশ্বজিৎ মজুমদার। তার সাথে আমরা সকলেই এই উদ্যোগ আনন্দের সঙ্গে গ্ৰহণ করেছি এবং যথাসাধ্য বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করছি।এই গ্ৰুপে প্রত্যেকের গুরুত্ব সমান,কারণ কোনো চেয়ার ম্যান বা প্রেসিডেন্ট,সেক্রেটারি নেই।এখানে কেহই প্রধান নন,প্রত্যেকেই উদ্যোগী।আজ উদ্যোক্তাদের মধ্যে অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন অমল বাবু,সুকান্ত বাবু,শিবাজী বাবু,ধীরেন্দ্রনাথ বাবু,নারায়ণ বাবু সহ অনেকেই এবং বিশ্বজিৎ মজুমদার সহউপস্থিত সকলেরই মিলিত উদ্যোগে এই এক হাজার তম চারা গাছটি রোপণ করেছি।চারা গাছে সাপোর্ট হিসেবে গুজি দিয়েছি,তার সুরক্ষার জন্য ফেন্সিং দিয়েছি ও গোড়ায় জল দিয়েছি।সব শেষে মিষ্টি মুখের মাধ্যমে আনন্দের সঙ্গে হৈ হুল্লোর করে বাড়ি ফিরেছি।আমাদের প্রধান লক্ষ্যই হল,নিউটাউনকে সবুজে সবুজ করে গড়ে তোলা।সত্যি সত্যিই ‘গ্ৰীন সিটি’ বা ‘সবুজ শহর’ হিসেবে গড়ে তোলা।শুধু তাই নয়,আমাদের এটাও লক্ষ্য যে নিউটাউনকে পশ্চিমবঙ্গের তথা দেশের ‘সবুজ শহর’, ‘দূষণ মুক্ত শহর’ সেই সঙ্গে ‘প্লাস্টিক মুক্ত শহর’ হিসেবেও উপহার দেওয়া– এই আমাদের অঙ্গীকার!নিউটাউনকে সবুজ থেকে আরো সবুজের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য এটি আমাদের একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস। নিউটাউনকে সবুজে সবুজে ভরে দিতে ইকোলজিক-এর উদ্যোগে আমাদের এই উদ্যোগ চলছে এবং চলবেও। আমরা কতটা সবুজে ভরে দিতে পারছি তা সময়ই বলবে।বলবে নিউটাউনের বিভিন্ন পার্ক,ফ্লাই ওভারের তলা ও মেট্রো লাইনের নিচের রাস্তা সংলগ্ন পড়ে থাকা ফাঁকা জায়গা,রাস্তা বরাবর ফুটপাত পার্শ্বস্থ স্থান,স্কুল সংলগ্ন মাঠ সহ বিভিন্ন জায়গা।বলবে আ্যক্সিস মল,সেন্ট্রাল মল,নভোটেল হোটেল,ক্লক টাওয়ার,নিউটাউন বাসস্ট্যান্ড,হ্যাপি স্ট্রিট ও প্রস্তাবিত স্বপ্নভোর মেট্রো স্টেশনের সংলগ্ন আইল্যান্ডে রোপন করা ও গড়ে ওঠা গাছগাছালি। বলবে নিউটাউনের বাসিন্দারা আর শেষ কথা বলবে কলকাতা মহানগরীর এই নতুন ‘গ্ৰীণসিটি’ বা ‘সবুজ নগরী’, নিউটাউন, যা অদূর ভবিষ্যতে হবে ‘দূষণ মুক্ত’ ও ‘প্লাস্টিক মুক্ত’ নগরীও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *