December 5, 2024

কালিয়াগঞ্জের দাপট বেড়েছে জাল লটারির। রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

1 min read

কালিয়াগঞ্জের দাপট বেড়েছে জাল লটারির। রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

তন্ময় চক্রবর্তী বৈধ লটারি থেকে টিকিটের দাম কম। প্রথম পুরস্কারের অর্থ মূল্য বৈধ লটারি থেকে অনেক কম হলেও পরের ধাপের পুরস্কার গুলোর অর্থমূল্য বেশি।। পাশাপাশি বিক্রেতাদের কমিশন বৈধ লটারি প্রায় দ্বিগুণ। এই সব কারণে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের শহর এবং ব্লক জুড়ে অবৈধ লটারির টিকিট বিক্রি বাড়ছে বলে অভিযোগ। যদিও পুলিশ প্রশাসন থেকে জানানো হয় নিয়মিতভাবে অবৈধ লটারির বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয় মাঝে মধ্যেই। লটারি টিকিট বিক্রেতারা জানান, স্থানীয় ভাষায় অবৈধ লটারি কে এটিএম বলে।। বৈধ লটারির মতো একই ক্রমিক সংখ্যা দিয়ে অবৈধ লটারি টিকিট ছাপানো হয়। সরকার অনুমোদিত লটারির দিনে তিনটি খেলা হয়। দুপুর একটা সন্ধ্যা ছটা ও রাত আটটা। সেই খেলার ফলাফল দেখে অবৈধ লটারির পুরস্কারও দেওয়া হয়।। স্থানীয়রা জানান, বৈধ লটারি সর্বোচ্চ পুরস্কার এক কোটি টাকা হলেও অবৈধ লটারি সর্বোচ্চ পুরস্কার ২০০০০ টাকার মত।

তবে এর পরের ধাপের পুরস্কার গুলি বৈধ লটারির থেকে বেশি অর্থ মূল্যের। সাধারণত এই ধাপেই বেশি সংখ্যায় লোক পুরস্কার পান। ফলে অবৈধ লটারির টিকিট কিনলে বেশি অর্থ মূল্যের পুরস্কার পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এর সঙ্গে বিক্রেতাদের দ্বিগুণ কমিশনের টোপও দেওয়া হচ্ছে।। ফলে অবৈধ লটারি টিকিট বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ। যেমনটা দেখা গেল কালিয়াগঞ্জের মহেন্দ্রগঞ্জ ,স্টেশন চত্বর, বিবেকানন্দ মোড়, সহ কালিয়াগঞ্জ ব্লকের সাহেব ঘা, মালগাও, ডালিম গাও, কুনোর বেশ কিছু জায়গায়। এই জাল লটারির বিরুদ্ধে মাঝে মাঝেই পুলিশের হানা হলেও জাল লটারির কারবারিরা তারা কিন্তু থেমে থাকে নি। তারা এখনো বহাল তবিয়তে তারা এই জাল টিকিটের ব্যবসা করে চলছেন অবৈধভাবে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে। জানা যায় এই লটারি টিকিট নাকি দুর্গাপুরের কোন একটি জায়গায় খাপানো হয়ে সেটি চলে আসছে বিভিন্ন জায়গায়। এই লটারি টিকিট একেবারে জাল লটারির টিকিট হওয়ায় রাজ্য সরকার এই লটারি টিকিট থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়ছে রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে। একশ্রেণীর লটারি বিক্রেতারা প্রশাসনের ভয়কে উপেক্ষা করে দেদারসে এই টিকিট বিক্রি করে চলছেন বিভিন্ন জায়গায়। প্রশাসন সূত্রে জানা যায় প্রথমদিকে ঝাড়খন্ড থেকে জাল লটারি টিকিট জেলায় ঢুকতো। তবে এখন জেলার অনেকেই এতে হাত পাঠিয়েছেন। জেলায় অবৈধ লটারি টিকিট ছাপা হচ্ছে বলে অভিযোগ। নির্দিষ্ট সময়ে গোপনে বিক্রেতাদের হাতে জাল লটারি টিকিট তুলে দেওয়া হচ্ছে। নানা হাত ঘুরে বিক্রেতারা জাল লটারি টিকিট পাচ্ছেন। পুরস্কার এর অর্থ ও অন্যদের হাত ঘুরে ক্রেতার কাছে পৌঁছে যাচ্ছে।।লটারি বিক্রেতাদের একাংশের অভিযোগ যে সমস্ত বিক্রেতারা জাল লটারির টিকিট বিক্রি করছেন না তাদের টিকিট বিক্রি অর্ধেক হয়ে দাঁড়িয়েছে। জাল টিকিটে বেশি পুরস্কার জুটছে বলে অনেকেই কিনছেন। পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব ক্ষতিও হচ্ছে। তাই প্রশাসনের উচিত এই সমস্ত জাল লটারি কারবারিদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া না হলে দিনকে দিন এই জাল লটারি এমন ভাবে খেয়ে যাবে তখন আর কিছুই করা যাবে না।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *