ভারত _বাংলাদেশ সীমান্তের রাধিকাপুরে টানা বৃষ্টির কারনে দুই হাজার একর জমি জলের তলায় ডুবে যাওয়ায় চাষীরা সমস্যায় পরলেও অবশেষে স্বস্তির নিশ্বাস চাষীদের
1 min readভারত _বাংলাদেশ সীমান্তের রাধিকাপুরে টানা বৃষ্টির কারনে দুই হাজার একর জমি জলের তলায় ডুবে যাওয়ায় চাষীরা সমস্যায় পরলেও অবশেষে স্বস্তির নিশ্বাস চাষীদের
তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ,৬ জুলাই:উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের ভারত _ বাংলাদেশ সীমান্তের রাধিকাপুরের এলাকায় ব্যাপক বৃষ্টিপাতের কারনে আনুমানিক দুই হাজার একর ধানের জমি জলে ডুবে থাকায় রাধিকাপুর এলাকার ধান চাষীদের মাথায় হাত।বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা গোটগাও এর ধান চাষী মোজাফফর হোসেন শনিবার এক সাক্ষাৎকারে বলেন তাদের ধানি জমি বৃষ্টির জলে গত সাতদিন ধরে ডুবে থাকায় তারা চাষাবাদ করতে পারছেনা।তাদের অভিযোগ পাশে বি এস এফ এর কাটা তারের বেড়াঘেঁষে যেখান দিয়ে জল পাস করা হয় সেই জল যাবার জায়গা বি এস এফ জোয়ানরা বন্ধ করে রেখেছে। ফলে তাদের জমি থেকে কোন দিক দিয়ে জল বেরহতে পারছেনা
।জল বের না হবার কারনে তাদের জমিতে ধানের রোয়া লাগাতে পারছেনা।জমিতে ধান লাগানোর ক্ষেত্রে তারা পিছিয়ে পরছে।জমিতে জল না থাকলে এতদিন তারা বিছন তুলে জমিতে গেরে দিতে পারতো। গোট গ্রামের জামালউদ্দিন মিঞা বলেন প্রতিবার তাদের জমি থেকে জল বেরিয়ে বাংলাদেশের মধ্যে চলে যেত।এবার বাংলাদেশ সীমান্তের জোয়ানরা জল যাবার সমস্ত রাস্তা বন্ধ করে রাখায় তারা চরম সমস্যার মধ্যে পড়েছে বলে জানায়। তিনি আরো জানায় যে জল তাদের জমিতে আছে এর পরে টাঙ্গন নদীর জল যে ভাবে প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে যদি নদীর জল দুকূল ছাপিয়ে গ্রামের মধ্যে ঢুকে পড়ে তাহলে তাদের বাড়ি ঘর ছেড়েও চলে যেতে হবে বলে চাষীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। ভারত_ বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা রাধিকাপুর এলাকার চাষীদের বক্তব্য সীমান্তের জোয়ানরা তাদের অবস্থা দেখেও কেন জল যাবার রাস্তা বন্ধ করে রেখেছে। তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন দুই পাশের যে জায়গা দিয়ে জল বাংলাদেশে যায় সেই জল যাবার দুটি রাস্তাই বন্ধ হয়ে থাকায় আমরা মহ সমস্যার মধ্যে পরেছি।যে কালভার্টের তল দিয়ে জল যায় জল সরে গেলেই নাকি চোরা চালানের উৎপাত হবে।তাই কালভার্ট দিয়ে যাতে জল যেতে না পারে তাই তাদের অভিযোগ চোরা চালান বন্ধ করতে রাধিকাপুর এলাকার চাষীদের সর্বনাশ করা হবে কেন? এই ব্যাপারে উত্তর দিনাজপুর জেলার জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নিতাই বৈশ্য বলেন রাধিকাপুর এলাকার ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের কৃষকরা সাধারনত বিভিন্ন সমস্যার মধ্য দিয়েই তাদের জীবন যাপন করতে হয়।তার মধ্যে জমিতে দীর্ঘদিন ধরে চাষের জমিতে জল জমে থাকার সমস্যা ঐ এলাকার কৃষকদের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।: এলাকার চাষীরা বি এস এফের কর্মকর্তাদের সাথে এই ব্যাপারে কথা বললে তারা চাষীদের আবেদনে কোন সাড়া দেয়না।
পরে উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নিতাই বৈশ্য বলেন রাধিকাপুর অঞ্চলের গোটগাঁও, মালজুম,উদগ্রাম এলাকার চাষীদের অধিকাংশ জমিতে বৃষ্টির জল কয়েকদিন ধরে অতিরিক্ত বৃষ্টির কারনে চাষের জমি জলে ডুবে থাকায় চাষীরা চাষ আবাদ করতে পারছেনা জমি থেকে জল না বের হবার কারনে।রাধিকাপুর এলাকার বি এস এফ জোয়ানরা তাদের তৈরি রাস্তার পাশ দিয়ে যে কালভার্ট গুলি আছে সেই কালভার্ট গুলি দিয়ে জল যাবার রাস্তা আগে থেকেই বন্ধ করে রাখার কারনে জমিতে জমা জল কোন দিক দিয়েই বের হতে পারছেনা।রাধিকাপুরের ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা জলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার চাষীরা বি এস এফ জোয়ানদের এই ব্যাপারে অনুরোধ করলে তাদের কথায় তারা কোন কর্ণপাত করেনি।পরবর্তীতে এই ঘটনা উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নিতাই বৈশ্যকে জানালে তিনি এই ঘটনা শোনা মাত্র জেলা শাসকের দৃষ্টি আকর্ষন করেন বলে জানান।এরপর জেলা শাসকের তৎপরতায় বি এস এফের আধিকারিকদের সাথে জেলা প্রশাসন ও নিতাই বৈশ্যের বৈঠকের পর বি এস এফ কর্তৃপক্ষ ব্যাপারটি বুঝতে পেরে চাষীদের জমি থেকে যাতে দ্রুত জল বেরিয়ে যেতে পারে তার ব্যাবস্থা করতে সম্মত হয়।নিতাই বৈশ্য বলেন বি এস এফ কর্তৃপক্ষ যদি চাষীদের এই সমস্যার সম্মত না হত তাহলে অনেক চাষীকে বাধ্য হয়ে আত্মহত্যা করতে হত। বি এস এফ কে নিতাই বৈশ্য অভিনন্দন জানান তাদের এই প্রশংসনীয় পদক্ষেপের জন্য।বর্তমানে যাতে চাষের বিরাট সংখ্যক জমি থেকে দ্রুত জল বের করে দেবার ব্যাবস্থা নিলে বর্তমানে রাধিকাপুরের কৃষকরা সমস্যা মুক্ত বলে জানা যায়।