আমি হোয়াইট কালারের ব্যক্তিত্ব। ওয়াশিং মেশিনে আমাকে দিলেও আমি কালো হব না বললেন রায়গঞ্জের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী।
1 min readআমি হোয়াইট কালারের ব্যক্তিত্ব। ওয়াশিং মেশিনে আমাকে দিলেও আমি কালো হব না বললেন রায়গঞ্জের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী।
তন্ময় চক্রবর্তী ঃ– আমি হোয়াইট কালারের ব্যক্তিত্ব। ওয়াশিং মেশিনে আমাকে দিলেও আমি কালো হব না। উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন আগামী ১০ ই জুলাই। তাই সময় যত এগিয়ে আসছে ততই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে রায়গঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় প্রচার করতে। আজ দেখা গেল রায়গঞ্জ পৌরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে একটি কর্মী সভাতে সাধারণ মানুষদের সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই কথাগুলি বলেন রায়গঞ্জ বিধানসভার প্রাক্তন বিধায়ক তথা উপনির্বাচনের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী। তিনি বলেন তিনি রাজনীতিতে এসেছেন কোন কিছু নিতে নয় । তিনি দলবদল করেছিলেন নিজের স্বার্থের জন্য নয়। রায়গঞ্জবাসীর স্বার্থের জন্য। কৃষ্ণ কল্যাণী রাজনীতি করছে লোককে পরিষেবা দিয়েছে ,সমাজ সেবামূলক কাজ করেছে। নিজের পকেট থেকে অনেক খরচা করে কাজ করেছে।। কৃষ্ণ কল্যাণী দিয়েছে, কেউ বলতে পারবে না কৃষ্ণ কল্যানী কারো কাছ থেকে নিয়েছে।।আমি অনেক সেবা মুলক কাজ করেছি নিজের পকেট থেকে খরছা করে ।আর রায়গঞ্জ এর জন্য প্রচুর কাজ করেছি। তিনি বলেন যখন বিধানসভা তে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে আমার বাক বিতন্ডা চলছিল তখন আমাকে শুভেন্দু অধিকারী ধমকে দিয়ে বলেছিল ইনকাম ট্যাক্স পাঠাবো ইডি পাঠাবো।তখন আমি তাকে বলেছিলাম আপনার যা ক্ষমতা আছে করুন। আপনি ইডি ও ইনকাম ট্যাক্স পাঠিয়ে দেন। কিন্তু আপনি আপনার আচরণটা সুধার করুন। না হলে এই ধরনের জবাবটা আপনি আমার কাছে পাবেন।তো কিছুদিন পর।সঙ্গে সঙ্গে তো আর পাঠাতে পারেন না ।
এরপর ইনকাম ট্যাক্স পাঠালেন সাথে ইডির টিম ও রেডি ছিল। যদি ইনকাম ট্যাক্সের কোন গরমিল থাকত তাহলে ইডি টিম আসতো। আমার ২৩ টি জায়গায় প্রতিষ্ঠানে ১৮৩ টা গাড়ি নিয়ে সার্চ এন্ড সিজার হল। আজকে কৃষ্ণ কল্যাণী আপনাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। আমি বারেবারে একটা কথাই বলি আমি হোয়াইট কালারের ব্যক্তিত্ব যতোই ওয়াশিং মেশিনে ঢোকান এটাকে কালো করতে পারবেন না। তাই আজকে আমি আপনাদের সামনে দাঁড়িয়ে বলছি আমি হোয়াইট কালারের ব্যক্তিত্ব।
কোন দুর্নীতি আমার বিরুদ্ধে প্রমাণ করতে পারেনি। তিনি বলেন আমি হয়তো লোকসভায় পরাজিত হয়েছি কিন্তু কোন লোকসভার প্রার্থী এবার আমার বিরুদ্ধে আমার নামে কুৎসা রটাতে পারেন নি । তিনি বলেন ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে আমি বিজেপি প্রার্থীর হয়ে লড়াই করেছিলাম আর কুড়ি হাজার ভোটে আমি জয়লাভ করেছিলাম।
আর তার ৭-৮ মাস পর আমি বিজেপি দল ত্যাগ করে তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান করি। তিনি বলেন আমার কোন আত্ম গ্লানি নেই। আমি যে বিজেপি দল ত্যাগ করে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছিলাম সেটা আমি মনে করি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।তিনি বলেন আমি যখন যে দল করেছি নিষ্ঠার সাথে করেছি এবং সৎ সাহস নিয়ে করেছি। আমি বিজেপিতে থাকা কালীন একদিকে যখন দলকে মজবুত করার কাজ করে যাচ্ছিলাম ঠিক তখন তৎকালীন রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী এবং বিজেপি জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা শুরু করেছিলেন। আমার বিধানসভায় কমিটি গঠন করছেন তারা আমাকে না জানিয়ে সেই সময়। যারা সেই সময়ে রক্ত জল করে খেটে আমাকে বিধায়ক করেছে তাদেরকে মূল্যায়ন না করে যারা আমাকে হারানোর চেষ্টা করছিল তার তাদেরকে পদ দিয়েছিল। সেইসব কথা আমি শীর্ষ নেতৃত্ব কে জানিয়েছিলাম। অপরদিকে তখন মনে মনে ভয় পাচ্ছিলেন দেবশ্রী চৌধুরী যে একটাই যেভাবে রায়গঞ্জে কৃষ্ণ কল্যাণী কাজ করছে তাতে হয়তো আগামী দিনে সংসদের টিকিট টা তিনিই পেয়ে যাবেন। এই আশঙ্কা থেকেই তারা ষড়যন্ত্র করতে শুরু করে আমার বিরুদ্ধে। আমি পয়লা সেপ্টেম্বর বিজেপির কর্মসূচি থেকে আমি নিজেকে আলাদা করি ।