October 23, 2024

অনাবৃষ্টিতে ক্ষতির আশঙ্কা কালিয়াগঞ্জ এর পাট চাষিদের।

1 min read

অনাবৃষ্টিতে ক্ষতির আশঙ্কা কালিয়াগঞ্জ এর পাট চাষিদের।

 

তন্ময় চক্রবর্তী  অনাবৃষ্টিতে ক্ষতির আশঙ্কা কালিয়াগঞ্জ এর পাট চাষিদের। বৃষ্টির অভাবে কিছু জমিতে পাটগাছ বের হতেই পারেনি, আবার কিছু জমিতে বের হলেও সেভাবে বাড়তে পারেনি। আবহাওয়া দপ্তরের তরফে বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে দু’এক পশলা বৃষ্টি হলেও কালিয়াগঞ্জ এর বেশিরভাগ জায়গায় এখনও পর্যাপ্ত বৃষ্টির দেখা নেই। ফলে পাট চাষ নিয়ে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন পাট চাষিরা। কালিয়াগঞ্জ ব্লক মূলত কৃষি প্রধান। ব্লকের আট টি পঞ্চায়েত এলাকায় কমবেশি পাট চাষ হয়। এবছর ব্লকে পাঁচ হাজার হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। কালিয়াগঞ্জ এ মূলত মেস্তাপাট, তিতা ও মিঠা পাট চাষ হয়ে থাকে।পাট চাষের শুরু থেকেই এবছর বৃষ্টি কম। অনাবৃষ্টির জেরে কিছু জমিতে পাট চারা অঙ্কুরিত হতেই পারেনি।

 

যেসব জমিতে চারা বেরিয়েছে, সেই সমস্ত পাট গাছের বৃদ্ধি তেমন হয়নি। অনাবৃষ্টির জেরে কিছু জমির মাটি ফেটে গিয়েছে। ঘনঘন জলসেচ করে গাছ বাঁচিয়ে রাখতে হচ্ছে কৃষকদের। জলসেচ করতে গিয়ে খরচ সামলাতে তাঁদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। বৃষ্টি না হলে ফসল ঘরে ফিরবে না বলে আশঙ্কা করছেন চাষিরা।এবিষয়ে কালিয়াগঞ্জ এর নারায়ন পুরের বাসিন্দা সুব্রত মণ্ডল বলেন, বিঘা খানেক জমিতে পাট চাষ করেছিলাম। বৃষ্টির অভাবে গাছ বের হয়নি। পাঁচ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখন মনে হচ্ছে পুরোটাই নষ্ট হবে। মুস্তাফা নগরের কৃষক মকবুল হোসেন সরকার বলেন, বৃষ্টির দেখা নেই। পাটে বিঘা প্রতি একবার জলসেচ করতে প্রায় হাজার টাকা খরচ হয়। এবার দেখছি চাষের খরচ ওঠাই মুশকিল হবে। একই বক্তব্য ইউসুফ সরকার ও সুভাষ মাহাতর। তাঁরা বলেন, ইতিমধ্যেই তিন বার জলসেচ করা হয়ে গিয়েছে। এতদিনে পাটগাছ যতটা বৃদ্ধির প্রয়োজন ছিল তার অর্ধেকও বৃদ্ধি পায়নি।
এনিয়ে কালিয়াগঞ্জ ব্লক কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে সম্প্রতি প্রখর রোদে কিছু পাটগাছ দিনের বেলা নেতিয়ে পড়ত, আবার সন্ধ্যার পর ঠিক হতো। কৃষকদের গ্লুকোজ মেশানো জল স্প্রের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। সেইমতো কিছু এলাকায় কাজও হয়েছে। কিছু জমিতে পাট চারা অঙ্কুরিত হতে পারেনি। তবে যে পাটগাছ এখনও টিকে আছে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বৃষ্টি হলে সেভাবে প্রভাব পড়বে না। বৃষ্টি না হলে পাট চাষে খারাপ প্রভাব পড়বে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *