December 10, 2024

করণদিঘী নাম টি এসেছে কর্ণ রাজার পুকুর থেকে, সেই পুকুরকে ট্যুরিজম পার্কে পরিণত করার একটা পরিকল্পনা!

1 min read

করণদিঘী নাম টি এসেছে কর্ণ রাজার পুকুর থেকে, সেই পুকুরকে ট্যুরিজম পার্কে পরিণত করার একটা পরিকল্পনা!

মোহাম্মদ জাকারিয়াঃ করণদিঘীঃ করণদিঘির নাম টি এসেছে কর্ণ রাজার পুকুর থেকে। এই পুকুরের অনেক ঐতিহাসিক এবং পৌরাণিক তথ্য আছে। এই পুকুরে পহেলা বৈশাখে আদিকাল থেকে একটা মেলা বসে, যা শিরুয়া মেলা নামে বিখ্যাত। ৬০ দশকে স্মৃতিতে পাই গরুর গাড়ি , পালকি, পায়ে হেঁটে, করণদিঘির পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষ এখানে মেলা দেখতে আসতেন বিভিন্ন পাড়ার মোড়ল, জমিদার, লোকেরা তাদের অনুগামী বা প্রজা দের সাথে করে আভিজত্ব দেখানোর জন্য এখানে আসতেন বলে জানা গেছে। এখানে মেলা চলত প্রায় মাঝখানে, এখনকার মত পাড়ায় পাড়ায় হাট বাজার ছিল না, আগে মানুষ এই মেলাতেই প্রয়োজনীয় শৌখিন জিনিস পত্র ক্রয় বিয়ের সামগ্রী রান্না বান্নার বাসনপত্র বিভিন্ন রকম কাজের সামগ্রী এই মেলা বাজার থেকে ক্রয় করত। এই মেলা ছিল অতিথিদের মিলনের একটি স্থান। দূর দূরান্ত থেকে আত্মীয়-স্বজনরা আসতেন। এমনকি আগের দিনের ছেলে মেয়ে না দেখেই বিয়ের পর্ব হতো।

 

তাই এই মেলাতে বর মনের সাথে দেখা পরিবারের সাথে দেখা আত্মীয়-স্বজনদের সাথে দেখিয়ে যদি পছন্দ হয়ে যেত তাহলে রাজবংশী সম্প্রদায়ের মধ্যে বিবাহ দানের কথা পাশাপাশি অনুসারে, হাতে শাখা পেরিয়ে দেওয়া হতো মেয়েদের। এই মেলাকে ঘিরে থাকতো করণদিঘির মানুষের মধ্যে আলাদা রকম উত্তেজনা, আবেগ, শিল্পীদের ব্যবসায়ী কেন্দ্র। উত্তরবঙ্গের যেকোনো জায়গার মানুষ এখানকার কর্মস্থলে থাকলে বা বৈবাহিক সূত্রে থাকলেও তারা এই এক মাসের মধ্যে এসে একবার করণদিঘী বাজার দেখে যেতেন। ১ লা বৈশাখে পুকুরে স্নান করে মানত দিয়ে মেলার শুরু হতো। বাদ পড়তো না ভোট পাখি নেতারা, এই মেলা কে কেন্দ্র করে সর্বদলের প্রার্থী জনসংযোগ করতেও ছাড়তেন না। প্রিয় রঞ্জন দাস মুন্সী সম্মানীয় মন্ত্রী ও সাংসদেব একটি প্রিয় স্থান ছিল এই মেলাটি। এই মেলায় বিশাল বড় বড় মাছ মারা হতো, বছরে দুইবার করণদিঘি পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে ফিশিং এর জন্য টিকিট কেটে দূর দূরান্ত থেকে যারা মাছ মারতে উৎসাহী এরকম আধিকারিক থেকে ব্যবসায়ী এর মনোরঞ্জন চলে এই পুকুর পাড়ে। সামগ্রিক বিষয়টি বুঝতে পেরে করণদিঘীর বিধায়ক গৌতম পাল করণদিঘির আবেগকে সম্মান দিয়ে এই পুকুরটি কে ট্যুরিজম পার্কে পরিণত করার একটা পরিকল্পনা করে চলেছেন যাতে করণ দীঘির মানুষ তাদের ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে ট্যুরিজম পার্কে এসে আনন্দ উপভোগ করতে পারেন এবং বাইরের তাগু খাটিয়ে যারা মাছ ধরতে এসে থাকতেন তাদের জন্য অতিথি নিবাস এর ব্যবস্থা করছেন। বিধায়ক বিভিন্ন দপ্তরে তদারকি করে। বর্তমানে কিছুদিন ধরে উত্তর দিনাজপুরের জেলা সমহর্তা/ ডি এম সাহেব করণদিঘির বিডিও জেলা থেকে বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়াররা এসে এই পুকুরের ইতিহাস বিধায়কের কাছ থেকে শুনে ট্যুরিজম পার্কের জন্য ডিপিআর তৈরি করছেন ,পরিকল্পনা করে চলেছেন। বিধায়ক নিজ এবং অনন্য তহবিল থেকে প্রায় তিন কোটি টাকা দিয়া ধাপে ধাপে দিয়ে কাজটি শুরু করছেন বিশেষ সূত্রে জানা গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপি নেতৃত্ব বিধায়ক গৌতম পালের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং বলেছেন গৌতম বাবু যেভাবে উন্নয়নের কাজ করছে তাদের নৈতিক সমর্থন গৌতম বাবুর পক্ষে আছে।

1 thought on “করণদিঘী নাম টি এসেছে কর্ণ রাজার পুকুর থেকে, সেই পুকুরকে ট্যুরিজম পার্কে পরিণত করার একটা পরিকল্পনা!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *