১২৫ বছরের দানগ্রামের চৌধুরী বাড়ির দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র চলছে জোর তৎপরতা
1 min read১২৫ বছরের দানগ্রামের চৌধুরী বাড়ির দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র চলছে জোর তৎপরতা
তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ,৭অক্টোবর: হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন।তাই একটি বর্ধিষ্ণু গ্রাম দানগ্রামের চৌধুরী বাড়ির পূজাকে নিয়ে চলছে জোর তৎপরতা। ১২৫ বছরের হরিরামপুর ব্লকের দানগ্রামের দুর্গাপূজার মুল বৈশিষ্ঠ হল দশমীর দিন মহামিলনের মেলা।দানগ্রামের চৌধুরী বাড়ির ছেলে সত্যব্রত চৌধুরী এক সাক্ষাৎকারে জানান এই পূজা ১২৫ বছর পূর্বে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন দানগ্রামের চৌধুরী বংশের জমিদার স্বর্গীয় ঈশ্বর চন্দ্র চৌধুরী।এক সময়কার দানগ্রামের চৌধুরী বাড়ির দুর্গাপূজা আজ দান গ্রামের বারোয়ারী পূজার রূপ নিয়েছে।
দানগ্রাম চৌধুরী বাড়ির ছেলে অনুপম চৌধুরী জানান তাদের চৌধুরী পরিবারের দুর্গা মন্দিরের পূজা সার্বজনীন পূজার রূপ পেলেও চৌধুরী পরিবারের মধ্যেই পালা করে পুজোর দায়িত্ব পালন করা হয়ে থাকে।তিনি জানান চৌধুরী পরিবারের দুর্গাপূজার সমস্ত খরচ খরচা হয় মন্দিরের নামে যে দেবত্র সম্পত্তি আছে তার মাধ্যমেই।দানগ্রামের দুর্গা পূজার দশমীর দিন যে বুড়ির মেলা বসে তার মূল আকর্ষণ আদিবাসী মহিলাদের অসাধারন নৃত্য।দানগ্রাম চৌধুরী পরিবারের দুর্গা প্রতিমা সাবেক নিয়ম মেনেই একচালা প্রতিমা তৈরি করেন বিশিষ্ট মৃৎশিল্পী সুব্রত সরকার।
চৌধুরী পরিবারের সদস্য সত্যব্রত চৌধুরী জানান তাদের চৌধুরী পরিবারের দুর্গা পূজা উপলক্ষে এবার চৌধুরী পরিবারের স্বর্গীয় যতীন্দ্র মোহন চৌধুরীর স্মরনে একটি স্মরণিকা প্রকাশ হতে চলেছে। সত্যব্রত বাবু জানান তার উপরেই পত্রিকা প্রকাশের দায়িত্ব পড়েছে বলে তিনি পত্রিকা প্রকাশ নিয়েই বেশিরভাগ সময় ব্যাস্ত।বহু বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিকদের লেখনীর সম্ভারে তা প্রকাশ পাবে মহা সপ্তমীর দিন বিকেলে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। দানগ্রামের চৌধুরী বাড়ির দুর্গা পূজা উপলক্ষে চৌধুরী পরিবারের সদস্যরা যারা বিভিন্ন কারণ বশত এই রাজ্য বা রাজ্যের বাইরে থাকেন পূজার কটা দিন ঘরের ছেলেমেয়েরা ঘরে এসে পরিবারের সাথে কয়েকটা দিন কাটিয়ে আবার নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে চলে যায়।জানা যায় দানগ্রামের চৌধুরী পরিবারের দুর্গা পূজার চারদিন অত্যন্ত নিয়ম নিষ্ঠার সাথে সব কিছু পালন করা হয়ে থাকে।