October 24, 2024

ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা UNESCO-র!  শান্তিনিকেতনকে 

1 min read

ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা UNESCO-র!  শান্তিনিকেতনকে 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রাণের আশ্রম শান্তিনিকেতনের মুকুটে নয়া পালক। ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ঘোষণা করল ইউনেস্কো। রবিবার X হ্যান্ডেলে ইউনেস্কো সেকথা জানায়। ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টারের উপদেষ্টা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অফ মনুমেন্টস অ্যান্ড সাইটসের তরফে শান্তিনিকেতনের নাম সুপারিশ করা হয়েছিল আগেই। অবশেষে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা পেল শান্তিনিকেতন।“রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আদর্শের পীঠস্থান, গুরুদেবের দর্শনের ধারক ও বাহক শান্তিনিকেতন এই মর্যাদা পাওয়ায় আমি উছ্বসিত” বলেই মন্তব্য করে ট্যুইট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর সুখবর পেতেই আবেগ ধরে রাখতে পারলেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

 

উছ্বসিত প্রতিক্রিয়া জানালেন মাদ্রিদে বসেই।প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে তৎকালীন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি সচিব জহর সরকার এবং পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের তৎকালীন ডিরেক্টর গৌতম সেনগুপ্ত উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তবে সেইসময় স্বীকৃতি মেলেনি। ২০২১ সালে শান্তিনিকেতনের জন্য সওয়াল করেছিলেন স্থপতি আভা নারায়ণ।

তার ঠিক দুবছর পর মিলল সাফল্য। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি এ বিষয়ে একটি ট্যুইট করেন। শান্তিনিকেতনকে যে ইউনেস্কো স্বীকৃতি দিতে চলেছে, সেকথা জানিয়েছিলেন মন্ত্রী নিজেই। অবশেষে রবিবার জল্পনার অবসান। স্বপ্ন সফল হল শান্তিনিকেতনবাসীর।ইতিমধ্যেই দার্জিলিংয়ের টয়ট্রেন থেকে রয়েল বেঙ্গল টাইগার-খ্যাত সুন্দরবন পেয়েছে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা। বাংলার দুর্গাপুজোও গত বছরই পেয়েছে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি।

 

এবার শান্তিনিকেতনও ঐতিহ্যবাহী স্থানের স্বীকৃতি পাওয়ায় গর্বিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় X হ্যান্ডলে শুভেচ্ছা জানান।মমতার তাঁর ট্যুইটে লেখেন, “যারপরনাই আনন্দিত এবং গর্বিত যে অবশেষে গুরুদেবের ভূমি শান্তিনিকেতনকে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তকমা দিয়েছে।

 

এটা বাঙালির গর্ব। প্রজন্মের পর প্রজন্ম গোটা বাংলার মানুষ, কবি শান্তিনিকেতনের সাহচর্য পেয়েছে। রাজ্যের তরফে আমরা গত ১২ বছর আগেই স্বীকৃতি দিয়েছি শান্তিনিকেতনকে। যাঁরা বাংলা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ভালোবাসেন তাঁদের কুর্নিশ। জয় বাংলা। গুরুদেবকে প্রণাম।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *