ফ্রিজ বা ওয়াশিং মেশিনের বয়স মাত্র ১০ বছর!
1 min readফ্রিজ বা ওয়াশিং মেশিনের বয়স মাত্র ১০ বছর!
প্রায় প্রত্যেক বাড়িতেই ফ্রিজ বা ওয়াশিং মেশিন প্রয়োজনীয় জিনিসের মধ্যেই পড়ে। তবে সে সব জিনিস কেনা মানেই তা যে অনন্তকাল ধরে চলবে তা নয়। নির্দিষ্ট সময় অন্তর প্রতিটি জিনিস পদলাতে হবে। আজ থেকে ১০ বছর পর এর মধ্যে বেশিরভাগ জিনিসেরই মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাবে। অন্তত ১৩৪টি জিনিসের ক্ষেত্রে মেয়াদ ফুরনোর সময় বেঁধে দেওয়া হচ্ছে নতুন পলিসিতে।এই সব জিনিসের তালিকায় রয়েছে গাড়ি, মোবাইল, ল্যাপটপ ইত্যাদি। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর এগুলি ইলেকট্রনিক ওয়েস্ট বা ইলেকট্রনিক বর্জ্য হিসেবে গণ্য হবে।পরিবেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে ১৩৪ টি এমন জিনিসের তালিকা তৈরি করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। মেয়াদ ফুরনোর পর আপনাকে সেগুলি নষ্ট করে ফেলতে হবে। এরপর নতুন জিনিস কিনতে পারবেন কিছুটা ছাড়ে। এগুলির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর নষ্ট করে ফেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকেই।
কোন জিনিসের মেয়াদ কবে শেষ হচ্ছে?
ফ্রিজ- ১০ বছর পর
সিলিং ফ্যান- ১০ বছর পর
ওয়াশিং মেশিন- ১০ বছর পর
রেডিও- ৮ বছর পর
স্মার্টফোন, ল্যাপটপ- ৫ বছর পর
ট্যাবলেট- ৫ বছর পর
স্ক্যানার- ৫ বছর পর
ইলেকট্রনিক ট্রেন অ্যান্ড রেসিং কার- ২ বছর পর
সংস্থাগুলি কী করবে এগুলি নিয়ে?
ই ওয়েস্ট থেকে যে রাসায়নিক নির্গত হয়, তা ক্ষতিকারক। এর মধ্যে পারদ, আর্সেনিক, লিড, ক্যাডমিয়াম। এগুলি ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। শ্বাসকষ্ট, ফুসফুস বা ত্বকের ক্যানসারের কারণও হতে পারে। তাই একটা নির্দিষ্ট সময় পর এই জিনিসগুলি নিয়ম মেনে নষ্ট করে ফেলবে ওই সংস্থা।
জিনিস নষ্ট করে ফেলার পর একটি সার্টিফিকেট দেওয়া হবে সংস্থার তরফ থেকে। সেটি দেখিয়েই পরে ছাড় পাওয়া যাবে।