রাঙাদার মৃত্যুতে আড্ডার সদস্যরা একজন পরম আত্মীয়কে হারিয়ে শোকে মুহ্যমান_
1 min readরাঙাদার মৃত্যুতে আড্ডার সদস্যরা একজন পরম আত্মীয়কে হারিয়ে শোকে মুহ্যমান
তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ,২৭,আগস্ট: এ যেন অনেকটা কলকাতার কফি হাউসের আঙ্গিকে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ স্টেশন রোডে ১৯৬৮ _৬৯ সালে কালিয়াগঞ্জ হাসপাতাল পাড়ার সদ্য প্রয়াত রাধা রমন সাহা তার টেইলারিং এর দোকানের মালিক রাঙাদাকে ঘিরে তার দোকানকে আড্ডার একটি নির্ভেজাল স্থান হিসাবে বেছে নিয়েছিল রাঙ্গাদার নেতৃত্বে।সেই রাঙা দার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই যেন সেই সময়কার আড্ডার সদস্যরা শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়ে।গত ২০ আগস্ট ৮৬ বছর ব্যসে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।রঙাদার দোকানের আড্ডার অন্যতম সদস্য চঞ্চল রায় বলেন তাদের আড্ডার যে সমস্ত সদস্যরা বর্তমানে এ রাজ্য ছাড়াও চাকরির সুবাদে যারা বিভিন্ন রাজ্যে আছেন রাঙাদার মৃত্যুর খবর পেয়ে তারা শোকাহত। চঞ্চল রায় জানান তাদের আড্ডার সদস্যদের মধ্যে যেমন আছেন চিকিৎসক,ইঞ্জিনিয়ার,পুলিশ অফিসার তেমনি রাজ্য সরকারের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা।
রাঙাদার মৃত্যুর খবর পেয়েই তার বাড়িতে যান চঞ্চল রায়,অরুণ মোদক, দিবেন্দু চৌধুরী, আবির দাস, সুবীর চক্রবর্তী।পরিবারের সদস্যের সমবেদনা জানিয়ে আসেন আড্ডা গ্রুপের পক্ষ থেকে। গত ২৫ আগস্ট প্রয়াত রাধা রমন সাহার হাসপাতাল পাড়ার বাড়িতে গিয়ে একটি লিখিত শোক প্রস্তাব পাঠ করে রাঙাদার স্ত্রী মতি মিনা সাহার হাতে শোক প্রস্তাবটি তুলে দেন।এর পূর্বে রাঙাদার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আড্ডার সদস্যরা এক মিনিট নীরবতা পালন করে বলে জানান আড্ডার অন্যতম সদস্য চঞ্চল রায়।
শোক প্রস্তাবে বলা হয় আড্ডার সদস্যরা তাদের রাঙাদাকে হারিয়ে যেন মনে করছে তাদের একজন বড় দাদাকে হারালেন।বলা হয় আজ থেকে ৫৪/৫৫ বছর পূর্বের রঙাদার দোকানের আড্ডার সদস্যরা আজও তাদের কাছে বর্তমান বলেই মনে হয় বলে জানান।রাঙা দাকে তারা একজন দর্জি বলে কোন সময় মনেই করতেন না।রাঙাদাকে আড্ডার উচ্চ শিক্ষিত যুবকরা তাদের কাছে একজন আদর্শ চরিত্রের নিজের দাদা বলেই ভাবতেন।আড্ডার সদস্যদের বক্তব্য এমন মানুষ খুব কম দেখা যায়।তিনি তার কথার জাদুতে শিক্ষিত যুবকদের তার দোকানের চার দেওয়ালের মাঝে আনতে তিনি নিজেই সক্ষম ছিলেন তার মিষ্টি ব্যাবহার,নিঃস্বার্থ ভালোবাসা সেই সময়কার যুবকরা রাঙ্গাদাকে একজন একালের আদর্শ মানুষ বলেই ভাবতেন।