October 24, 2024

উদ্যোগ নিলে বঙ্গ ললনার অঙ্গে বেনারসির পরিবর্তে আনারসি শাড়ি

1 min read

উদ্যোগ নিলে বঙ্গ ললনার অঙ্গে বেনারসির পরিবর্তে আনারসি শাড়ি

তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ,২৩ জুলাই:উত্তরবঙ্গের আনারসের পাতা থে ফককে তৈরি হবে সুতো।সেই সুতোয় তৈরি হয়ে বঙ্গ ললনাদের সুপ্ত আশা মিটে তাদের অঙ্গে উঠতেই পারে বেনারসি শাড়ির পরিবর্তে আনারসি শাড়ি। জানা যায় উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া এবং দার্জিলিং জেলার বিধান নগর এলাকায় একরের পর একর জমিতে আনারস চাষ হয়ে আসছে সুদীর্ঘকাল থেকে।চোপড়া ও বিধান নগর এলাকায় একসময় বামফ্রন্টের আমলে ঠিক হয়েছিল একটি আনারসের জুস কারখানা স্থাপন হবে।কিন্তু ঐ পর্যন্তই।

 

পরে আবার উদ্যোগ নিয়েছিল বিধান নগরে আনারসের পাতা থেকে সুতো তৈরির কারখানা করা হবে।এই কারখানা হলে এলাকার প্রচুর স্বর্ণ জয়ন্তী মহিলারা আনারসের পাতা থেকে সুতো তৈরি করতে পারলে তাদের যেমন আয় হবে তেমনি উত্তরবঙ্গে তৈরি হবে বেনারশী শাড়ির পরিবর্তে আনারশি শাড়ি।একসময় বেসরকারি উদ্যোগে বিধান নগরে আনারসের পাতা থেকে সুতো তৈরি শুরু হলেও কিছুদিন কাজ চলার পর বন্ধ হয় গেছে। কর্মসংস্থানের এত বর সুযোগ থাকলেও কি বামফ্রন্ট সরকার কি মা মাটি সরকার কোন সরকার কর্মসংস্থানের ব্যাপারে কোন উদ্যোগ আনারস কেন্দ্রিক কৃষি ভিত্তিক শিল্প স্থাপনে কোন আগ্রহ আজ পর্যন্ত দেখায় নি।বিধান নগর এবং চোপড়ার আনারস চাষী সফিকুল আলম এবং অসীম সিংহ বলেন আমাদের এই দুই জায়গায় কয়েক হাজার হেক্টর জমিতে আনারসের চাষ হয়।যদিও আনারসের উৎপাদন আগের তুলনায় কমে গেছে।আমরা সরকারের কাছে দাবি করে ছিলাম সরকার বিধাননগর অথবা চোপড়ার একটি আনারসের পাতা থেকে সুতোর কারখানা স্থাপন করুক সরকার এবং বেসরকারি মালিকানায়। কিন্তূ সরকারের কোনরকম ভূমিকা আমরা দেখতে পায়নি।বরং বিধান নগরে বেসরকারি উদ্যোগী আনারসের পাতা থেকে কিভাবে সুতো তৈরিকরা যায় তার উপর মহিলাদের একটি বেশ কিছুদিন ধরে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

এলাকার গ্রামের প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত মহিলারা আশায় বুক বেঁধে ছিল তাদের বুঝি রোজগারের একটা পথ খুলে গেল।কিন্তু মনের আশা মনেই থেকে গেল।বাঙ্গালোর থেকে বিধান নগরে আনারসের পাতা থেকে তৈরি শাড়ি নিয়ে এসে উত্তরবঙ্গে বিক্রি করে যেতে।পারে।কিন্তু এই রাজ্যের সরকার এসব।দেখেও কিছু।করতে পারেনি।বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রাজ্য সরকারের কাছে কারখানা খুলবার জন্য কিছু সুযোগ সুবিধা চাওয়ায় তারা কোন সাহায্য না পাওয়ায় এখান থেকে হাত গুটিয়ে চলে যায়।উত্তর দিনাজপুর জেলার প্রাক্তন জেলা শিল্প কেন্দ্রের চিফ জেনারেল ম্যানেজার সুনীল সরকার এক সাক্ষাৎকারে বলেন এখনো চোপড়া এবং বিধাননগর এলাকায় যে পরিমাণ আনারস উৎপাদন হয় তা থেকেই আনারসের পাতা থেকে সুতো তৈরির কারখানা করা যেতে পারে।এর ফলে চোপড়া ও বিধাননগর এলাকার প্রচুর মহিলাদের রুজি রোজগারের ব্যাবস্থা হতেই পারে।শুধু তাই নয় আমাদের আনারসের পাতার সুতো থেকে যদি বাঙ্গালোর আনারশি শাড়ি তৈরি করতে পারে তাহলে আমরা সেই ভাবে উদ্যোগ নিলে নিশ্চিত ভাবেই তার সাফল্য একদিন আমাদের ঘরে আসবে বলে মনে হয়। আসলে চাই শিল্প স্থাপনের সেই মানসিকতা।এলাকার মানুষের দাবি নূতন করে আবার আনারসের পাতা থেকে সুতো তৈরির কারখানা চোপড়া অথবা বিধান নগরে খোলা হোক বেকার দের স্বার্থের দিকে তাকিয়ে।তাহলেই বঙ্গ লল নাদের মনের আশা পূর্ন হয়ে তাদের অঙ্গে আনারসি শাড়ি শোভা বর্ধন করবে বলে এলাকা বাসীরা মনে করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *