আসন পুনর্বিন্যাসের খসরা তালিকা অনুযায়ী এবারের কালিয়াগঞ্জ ব্লকে গ্রাম পঞ্চায়েতের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি পেল ৫৪ টি –
1 min readআসন পুনর্বিন্যাসের খসরা তালিকা অনুযায়ী এবারের কালিয়াগঞ্জ ব্লকে গ্রাম পঞ্চায়েতের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি পেল ৫৪ টি
তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ,,২৮ অক্টোব: গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোটার বৃদ্ধির সাথে সামঞ্জস্য রেখে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকে এবারের গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে মোট ৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতে পূর্বের তুলনায় ৫৪টি আসন বৃদ্ধি পেল। জানা যায় গত ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে 5কালিয়াগঞ্জ ব্লকের ৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন সংখ্যা ছিল ১৪৮টি।সেখানে খসড়া তালিকা অনুযায়ী আসন পুনর্বিন্যাসের ফলে কালিয়াগঞ্জ ব্লকের গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট সংখ্যা দাঁড়ালো২০২ টি।কালিয়াগঞ্জ ব্লকে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও এবার পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদ স্তরে কোন আসন বৃদ্ধি হয়নি।কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতি স্তরে পূর্বের মতই ২৪টি আসন ও ,জেলা পরিষদ স্তরে কালিয়াগঞ্জ ব্লকে পূর্বের মতই ৩টি আসনই আছে বলে ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা যায়।রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে উত্তর দিনাজপুর জেলার জেলা সাশক অরবিন্দ কুমার মিনা গত ১৯শে অক্টোবর জেলার পঞ্চায়েত স্তরের আসন পুনর্বিন্যাসের খসড়া তালিকা প্রকাশ করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় কালিয়াগঞ্জ ব্লকের (১)নম্বর অনন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েত মোট ৫টি আসন বৃদ্ধি পেয়ে ২১টি,(২)নম্বর ধনকোল গ্রাম পঞ্চাযেতে মোট ৭টি আসন বৃদ্ধি পেয়ে ২৮ টি, (৩) নম্বর রাধিকাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ৬ টি আসন বৃদ্ধি পেয়ে ২২টি,(৪) নম্বর বোচা ডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতে ৬টি আসন বৃদ্ধি পেয়ে ২৭ টি,(৭)নম্বর ভান্ডার গ্রাম পঞ্চায়েত ৬টি আসন বৃদ্ধি পেয়ে ২৩ টি,(৮) নম্বর মুস্তাফা নগর গ্রাম পঞ্চায়েতে ৮টি আসন বৃদ্ধি jপেয়ে ৩০টি,(৯) নম্বর বরুণা গ্রাম পঞ্চায়েতে ৬টি আসন বৃদ্ধি পেয়ে ২৩টি এবং (১০) নম্বর মালগাও গ্রাম পঞ্চায়েতে ১০টি আসন বৃদ্ধি পেয়ে ২৯টি আসন হয়েছে বলে জানা যায়।কালিয়াগঞ্জ ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা যায় কালিয়াগঞ্জ ব্লকে গ্রাম পঞ্চায়েতের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি হলেও গ্রাম সংসদের আসন সংখ্যা ১৭২ টিই আছে তার কোন পরিবর্তন ঘটেনি বলে জানা যায়।
গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে আসন সংখ্যার পুনর্বিন্যাসের খসড়া প্রকাশ হবার সাথে সাথে কালিয়াগঞ্জ ব্লকের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির স্থানীয় নেতৃত্বরা নরে চড়ে বসতে শুরু করে দিয়েছে।দুর্গা পূজা ও কালী পূজা শেষ হতে না হতেই শাসক ও বিরোধী দল গুলির মধ্যে গ্রামে গঞ্জে কে কার আগে গ্রামের মানুষ নিয়ে গ্রাম বৈঠক করবে তার প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানা যায়।কালিয়াগঞ্জ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি নিতাইবৈশ্য এক সাক্ষাৎকারে বলেন আগামি ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস আগের তুলনায় ভালো ফল আশা করছে।এদিকে কালিয়াগঞ্জ বিজেপির শহর মণ্ডল সভাপতি গৌরাঙ্গ দাস বলেন আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে গ্রামাঞ্চলের মানুষ তৃণমূল কংগ্রেস থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করে দিয়েছে।এই দলে কোন সভ্য এবং সৎ মানুষের জায়গা নেই।
বর্তমানে এই দলের উপর থেকে নীচ সর্বত্রই দুর্নীতিবাজদের দখলে চলে গেছে।মানুষ তৃণমূল দলের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করে দিয়েছে বলে গৌরাঙ্গ দাস জানান। তাই বিজেপি শুধু কালিয়াগঞ্জ নয় রাজ্যেও বিগত বছরের তুলনায় অনেক ভালো ফল করবে বলে তার ধারণা।অন্যদিকে কালিয়াগঞ্জ ব্লক কংগ্রেস সভাপতি সুজিত দত্ত বলেন মানুষ নুতন করে তৃণমূল কংগ্রেসকে আর ভোট দিয়ে নিজের সর্বনাশ ডেকে আনবে না।এই দলটি এই রাজ্যের সার্বিকভাবে সব দিক দিয়ে শুধু ক্ষতিই করেনি অনেক অনেক পিছিয়ে দিয়েছে।
রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী থেকে গোটা শিক্ষা দপ্তর জেলের অধীনে। এত খারাপ একটি সরকার এর পূর্বে কখনো আসেনি।সিপিআই এম দলের জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য ভারতেন্দ্র চৌধুরী বলেন তৃণমূল কংগ্রেস কোন মুখে মানুষের কাছে ভোট চাইতে যাবে।যে হারে গ্রামে গঞ্জের মানুষদের কাছ থেকে চাকরি দেবার নাম করে টাকা নিয়েছে সেখানে চাকরি ও নেই টাকাও নেই। তা ছাড়া গত ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে এখনকার মত প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী থেকে শিক্ষা দপ্তরের প্রাথমিক পর্ষদের সভাপতি, এস এস সির সভাপতি, উপাচার্যসহ পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা দপ্তরের মনি মানিক্যরা জেল হেফাজতে যা ইতিপূর্বে কোন সরকারের আমলেই দেখা যায়নি। এ বড় লজ্জার ঘটনা।কালিয়াগঞ্জ ব্লকের বিরোধী দলের রাজনৈতিক দলের নেতাদের বক্তব্য এর পরেও কি ভাবে তৃণমূল দলের নেতারা গ্রামেগঞ্জে ভোট চাইতে যাবে কোন মুখে?