ধর্না তুলতে গিয়েছিল পুলিশ, থানায় এসে ওড়নার ফাঁসে আত্মঘাতী
1 min readধর্না তুলতে গিয়েছিল পুলিশ, থানায় এসে ওড়নার ফাঁসে আত্মঘাতী
প্রেমের সম্পর্কের চরম পরিণতি। সম্পর্কের টানাপোড়েনের আঁচ এসে পড়ল থানায়। আটক করে নিয়ে আসা নাবালিকা নিজের ওড়নায় ফাঁস লাগিয়ে থানার মধ্যেই হলেন আত্মঘাতী। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো চাঞ্চল্য উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) হেমতাবাদে (Hemtabad)।পুলিশের উপস্থিতিতে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ! অভিযোগের আঙুল উঠেছে নাবালক প্রেমিকের দিকেই।পুলিশ সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, কালিয়াগঞ্জ থানার অন্তর্গত মাধবপুর সংলগ্ন কাশিডাঙ্গা এলাকায় বসবাস ওই বছর সতেরোর কিশোরীর।
সে তাঁর প্রেমিকের বাড়ির সামনে বসে ছিল ধর্নায়। কারণ প্রেমের সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও বিয়েতে রাজি হচ্ছিল না তাঁর নাবালক প্রেমিক। এই কারণেই দশম শ্রেণীর পড়ুয়া ওই ছাত্রের বাড়িতে ধর্না দেয় নাবালিকা । এই ঘটনায় ওই ছাত্রের পরিবার খবর দেয় হেমতাবাদ থানায়। সেখান থেকে দুজন সিভিক ভলেন্টিয়ার এবং একজন লেডি কনস্টেবল এসে আটক করে নিয়ে যায় ওই নাবালিকাকে।
তাকে বসিয়ে রাখা হয় মহিলা কয়েদিদের ঘরে।বেশ খানিকক্ষণ সময় কেটে যাওয়ার পরে ওই নাবালিকা থানার শৌচালয়ে যান। কিন্তু আচমকাই অদ্ভুত শব্দ শুনতে পাওয়ায় সন্দেহ হয় পাহারায় থাকা পুলিশ কর্মীদের। শৌচাগারে গিয়ে খোঁজ করতেই দেখা যায় নিজের ওড়নায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছেন ওই নাবালিকা। তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় হেমতাবাদ গ্রামীণ হাসপাতালে। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ।
এই ঘটনায় মৃতা ওই নাবালিকার পরিবারের তরফ থেকে পুলিশের বিরুদ্ধে কোনরকম অভিযোগ ওঠেনি। তবে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেওয়া হয়েছে নাবালক প্রেমিকের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই পুলিশ সেই ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে বলে জানা গিয়েছে ।