বিজয়া দশমীতে দশভূজার বিদায়ে বিষাদ তো নয়ই, উলটে আনন্দে মেতেছেন সেখানকার বাসিন্দারা
1 min readবিজয়া দশমীতে দশভূজার বিদায়ে বিষাদ তো নয়ই, উলটে আনন্দে মেতেছেন সেখানকার বাসিন্দারা
দশমী মানেই মন খারাপের সুর। কিন্তু ঠিক এর উলটো ছবি খাদিমপুরে। বিজয়া দশমীতে দশভূজার বিদায়ে বিষাদ তো নয়ই, উলটে আনন্দে মেতেছেন সেখানকার বাসিন্দারা। রায়গঞ্জ ব্লকের ১৪ নম্বর কমলাবাড়ি অঞ্চলের খাদিমপুর গ্রামের বাসিন্দারা চণ্ডীরূপী দুর্গা পুজোয় মেতেছেন আজ।
বুধবার দশমীর দিন থেকে গোটা গ্রামে উৎসবের আমেজ দেখা গেল। দশমীতে আগমন ঘটে এই দেবীর। এদিনই হয় বোধন। দেবী দুর্গা এখানে বলাই চণ্ডীরূপে পুজিত হন।সাধারণত দশমী থেকে দ্বাদশী পর্যন্ত চলে এই পুজো। তাই এদিনই পুজো পাঠ ও অঞ্জলির জন্য চলছে সবরকম প্রস্তুতি। প্রাচীন রীতি মেনে পুজো করেন গ্রামের রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষেরা। তবে দেবী বলাই চণ্ডীর প্রতিমার বিশেষত্ব আছে। দেবী এখানে চতুর্ভুজা। সিংহবাহিনী এই দেবী অসুরদমনী নন।
তবে তাঁর সঙ্গে রয়েছেন লক্ষ্মী, গনেশ, কার্তিক ও সরস্বতী। শুধু হিন্দুরা নন, মুসলিম পরিবারগুলিও শামিল হয় ওই পুজোতে।গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, এই পুজো কতটা প্রাচীন তা সঠিকভাবে জানা নেই। তবে কমপক্ষে ৩০০ বছরের বেশি সময় ধরে এই পুজোর প্রচলন হয়ে আসছে। প্রতিমা বিসর্জন না দেওয়ায়, সারা বছর নিত্য পুজো হয় এই দেবীর।
প্রতি বছর বিশ্বকর্মা পুজোর পরের দিন প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। তারপরেই মৃৎশিল্পীদের প্রতিমা গড়ার বরাত দেওয়া হয়। খাদিমপুর বারোয়ারী বলাইচণ্ডী পুজো কমিটির সভাপতি গোপাল চন্দ্র বর্মন জানান, গ্রামের মানুষ এই পুজোর জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। দশমীর দিনে মা বলাইচণ্ডীর পুজো শুরু হয়, দুই দিন চলে।
তবে মূল পুজো আজ হবে। পুজো কমিটির সম্পাদক বিশ্বনাথ বর্মন বলেন, ‘বংশপরম্পরায় পুরোহিতরাই দেবীর পুজো করেন। পুজোর পর চলে মঙ্গলযজ্ঞ। প্রসাদ হিসেবে ভক্ত ও বাসিন্দাদের মধ্যে খিচুরি, মিষ্টি ও ফল বিতরণ করা হয়। পুজো উপলক্ষ্যে আগামী রবিবার মেলা অনুষ্ঠিত হবে। এই মেলা চণ্ডীমেলা নামে খ্যাত।‘