‘ফিনান্সিয়াল পেনাল্টি’বা আর্থিক জরিমানা বলবৎ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য
1 min read‘ফিনান্সিয়াল পেনাল্টি’বা আর্থিক জরিমানা বলবৎ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য
বাড়ি তৈরি করতে গিয়ে বিল্ডিং প্ল্যানের থেকে সামান্য হেরফের হয়েছে। অথবা কোনও মালিক তাঁর কারখানার শ্রমিক সংক্রান্ত বিষয়ে সামান্য ভুল করেছেন। এরকম বহু ছোট ছোট বিষয় রয়েছে যে সব ক্ষেত্রে নিয়মের সামান্য লঙ্ঘন করলে মহাভারত অশুদ্ধ হয় না। অথচ আজও এজন্য রয়েছে ‘ক্রিমিনাল পেনাল্টি’র ব্যবস্থা। যার জেরে এক মাস পর্যন্ত হাজতবাসের শাস্তিও হয়ে থাকে। তবে ‘ক্রিমিনাল পেনাল্টি’র পর্যায়ে পৌঁছনোর আগেই এই সমস্ত নিয়মের কারণে হয়রানির শিকার হতে হয় ভুক্তভোগী মানুষকে। দেশের মোটামুটি অধিকাংশ প্রান্ত থেকেই পাওয়া যায় এই ধরনের অভিযোগ।
সেই কারণে একেবারে ভিন্ন পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। বাংলায় এবার এই সমস্ত ক্ষেত্রে ‘ক্রিমিনাল পেনাল্টি’র জায়গায় শুধু মাত্র ‘ফিনান্সিয়াল পেনাল্টি’বা আর্থিক জরিমানা বলবৎ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। ২০১১ সালে পালা বদলের পর থেকেই বিনিয়োগ টানতে ‘ইজ অব ডুইং বিজনেজ’ (ইওডিবি)-এ জোর দিয়েছে রাজ্য। এবার ‘ইওডিবি’র পাশাপাশি একেবারে নতুন ‘ইজ অব লিভিং’বিষয়টিও বাংলায় প্রচলিত করার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য।
আর এই প্রচেষ্টার প্রথম ধাপেই রয়েছে অকারণে মানুষের হয়রানি কমানোর বিষয়টি। সেই কারণেই ক্রিমিনালের বদলে ফিনান্সিয়াল পেনাল্টি করার সিদ্ধান্ত নিয়ে এই সমস্যায় ইতি টানার পক্ষেই সাওয়াল করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।নবান্নে মঙ্গলবার এই বিষয়ে সমস্ত দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সেখানেই সূত্রপাত হয় রাজ্যের নতুন উদ্যোগ ‘ইজ অব লিভিং’-এর।
উঠে আসে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ‘ক্রিমিনাল পেনাল্টি’র পরিবর্তে আর্থিক জরিমানা করার বিষয়টি। সেই বৈঠকেই প্রতিটি দপ্তরকে তাদের নিজেদের ক্ষেত্রে এই ধরনের কী নিয়ম বা আইন আছে, তার তালিকা নবান্নে জমা দিতে বলা হয়ছে। এই তালিকা তৈরি করতে তারা আইন দপ্তরের সাহায্য নিতে পারে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রতিটি দপ্তরকেই তাদের তালিকা জুলাই মাসের মধ্যে জমা দিতে হবে। নবান্ন সূত্রের খবর, যেহেতু দপ্তরগুলি তাদের সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলি সম্পর্কে বেশি ওয়াকিবহাল, তাই তাদেরই এই ধরনের নিয়মগুলি চিহ্নিত করার কাজ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের এক আধিকারিক জানান, ‘এটি রাজ্যের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হতে চলেছে। বাস্তবে এই নিয়মগুলির প্রচুর অপব্যবহার হয়ে থাকে। মূলত নিচুতলার কর্মীরা এর অপব্যবহার করে। ফলে হয়রানির শিকার হয় সাধারণ মানুষ। সারা দেশেই মোটামুটি এই সমস্যা রয়েছে। তবে রাজ্য এবার এই সমস্যার সমাধানের পথে হাঁটছে।’