October 27, 2024

বিধায়কের প্রতিশ্রুতিই সার,মৃতের পরিবারকে প্রতিশ্রুতির তিন মাসের মধ্যে কোন সাহায্য ও সহানুভূতি না দেখানোয় ক্ষুব্ধ বৈদলের গ্রাম বাসীরা-

1 min read

বিধায়কের প্রতিশ্রুতিই সার,মৃতের পরিবারকে প্রতিশ্রুতির তিন মাসের মধ্যে কোন সাহায্য ও সহানুভূতি না দেখানোয় ক্ষুব্ধ বৈদলের গ্রাম বাসীরা-

তন্ময় চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ,২জানুয়ারি:আসলে কালিয়াগঞ্জ বিধান সভার বিধায়কের কথার সাথে কাজের কোন মিল খুঁজে পাওয়া ভার।উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের বোচাডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন বৈদ্ল গ্রামে তিনমাসের বেশি হয়ে যাওয়া একটি জমিতে কাজ করতেগিয়ে বিদ্যুৎযের তার মঃ আফাজুদ্দিনের গাযে পড়লে সাথে সাথে তার মৃত্যু হয়।

খবর পেয়ে কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায়, তৃণমূলের কালিয়াগঞ্জ ব্লক সভাপতি নিতাই বৈশ্য দ্রুত মৃতের পরিবারের পাশে গিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছিলেন তিনি মৃতের পরিবারকে সব রকম সাহায্য করবেন।সেই বিধায়কে গ্রাম বাসীরা বার বার ফোন করেও তার সাথে কথা বলার সুযোগ পায়না বলে গ্রাম

বাসীদের অভিযোগ।বৈদল গ্রামের তৃণমূলের বুথ সভাপতি  বলেন আমি নিজে একজন তৃণমূলের সদস্য।আমাদের বিধায়কের কাজকর্মে আমরা লজ্জিত।নাজিমুল ইসলাম বলেন আমাদের গ্রাম বাসীদের সামনে বিধায়ক সৌমেন রায় এবং নিতাই বৈশ্য কথা দিয়ে ছিলেন তারা এই অসহায় পরিবারকে সবরকম সাহায্য করবে।যাতে মৃতের অভাবে পরিবারের কোন সমস্যা না হয়।

মৃতের স্ত্রী আনোয়ারা বিবি কাঁদতে কাঁদতে বললেন তিনি একটি ছোট চায়ের দোকান করে পরিবার নিয়ে অর্ধাহারে অনাহারে দিন গুজরান করছেন।বিধায়কের প্রতিশ্রুতি পেয়ে ভেবে ছিলাম হয়তো কিছু সরকারি সাহায্য পাবো।তাতে করেই চলে যাবে।কিন্তু একটি পয়সাও আজ পর্যন্ত তিনি দেননি বা আর কোন খোঁজ খবর আমাদের নেয়নি।তাকে আমাদের এলাকাতে আর দেখাই যায়না।

 

তিনি অনেককেই প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকেন কিন্তু কাজের বেলায় কেও কিছুই পায়না বলে অভিযোগ করেন।গ্রামের মানুষরা ক্ষুব্ধ হয়ে জানালেন তাদের কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায়কে বর্তমানে কালিয়াগঞ্জের পরিবর্তে তার আসল বাড়ি ফলাকাটাতেই থাকতে দেখা যায়।

আমরা আমাদের কাজে পাইনা কোন সময়।তিনিতো কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক।মৃত মঃ আফা জুদ্দিনের ছেলে ও মেয়ে বলেন বাবার মৃতের কাগজপত্র জোগাড় করতে আমাদের হিমসিম খেতে হচ্ছে।পয়সা ছাড়া কোথাও কোন কাজ  হছে না ।

সাহায্য তো পেলামই না তার পরিবর্তে সব জায়গায় পয়সা ছাড়া কোন কাজ করতে পারছিনা।জানা যায় গ্রাম বাসীরা বিধায়কের কাজ কর্মে প্রচন্ড ক্ষুব্ধ।বিধায়কের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *