October 28, 2024

ধবিঘাট ভেঙে দেবার তালিবানি সিদ্ধান্তে পৌর প্রসাশক মন্ডলীর সদস্যরা প্রশাষকের সিদ্ধান্তে চরম ক্ষুব্ধ

1 min read

ধবিঘাট ভেঙে দেবার তালিবানি সিদ্ধান্তে পৌর প্রশাসক মন্ডলীর সদস্যরা প্রশাসকের সিদ্ধান্তে চরম ক্ষুব্ধ

তপন চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ ,২৬,সেপ্টেম্বর: কালিয়াগঞ্জের পৌর প্রসাশক ধবিঘাটও ভেঙে দেবার মত একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত প্রসাশক মন্ডলীর অধিকাংশ সদস্যদদের অন্ধকারে রেখে করায় কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার অধিকাংশ প্রসাশক মন্ডলীর সদস্যরা পৌর প্রশাষকের এই ধরনের কাজকে তালিবানি কাজকর্মের সাথে তুলনা করতে পিছপা হয়নি।

প্রশ্ন উঠেছে কে তাকে এত বড় একটা সিদ্ধান্ত নিতে সাহস জুগিয়েছ?পৌর প্রসাশক এককভাবে তালিবানি সিধান্ত কি করে নিতে পারে এই নিয়ে কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার পৌর প্রশাষকের সাথে প্রসাশক মন্ডলীর সদস্যদের মধ্যে তীব্র মতবিরোধ দেখা দিয়েছে বলে জানা যায়।জানা যায় দুর্গা পূজার বিসর্জনের ঘাট দীর্ঘদিন ধরেই পুলিশের জায়গার উপর করা হযে আসছিল।এবার কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ রায়গঞ্জের পুলিশ সুপারের নির্দেশে তাদের নিজের জমিঘেরা দেবার ফলে দশমীর বিসর্জন কোথায় হবে তা নিয়ে পৌর প্রসাশক সমস্যায় পড়েছে।জানা যায় এই সমস্যা সমাধানে পৌর প্রসাশক একক ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে শ্রীমতি নদীর তীরে যে ধবিঘাট পৌর সভা ২০১১সালে বানিয়ে দিয়েছিল সেই ধবি ঘাট ভেঙে ফেলে সেখানেই বিসর্জনের জায়গা করবার মনস্থ করেছেন পৌর প্রসাশক।

কিন্তু ধবি ঘাট ভেঙে দিয়ে সেখানকার অপরিসর জায়গায় কি ভাবে প্রতিমা বিসর্জন হতে পারে পৌর প্রসাশক এ সব নিয়ে কোন চিন্তা করেননি। বিসর্জন ঘাটের স্থান নিয়ে এবং ধবিঘাট ভাঙা নিয়ে কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার পৌর প্রসাসক মন্ডলীর তিন জন সদস্যকে পাশ কাটিয়ে তাদের সাথে কোন রকম আলোচনা না করেই পৌর প্রসাশক এই সিদ্ধান্ত কোন ভাবেই নিতে পারেনা বলে জানান কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার সিনিয়ার মোস্ট পৌর প্রসাশক বসন্ত রায়।তিনি বলেন আমাকে কোন কিছু জানানো হয়নি।তা ছাড়া বিসর্জন ঘাট কি ভাবে একটি অপরিসর স্থানে হতে পারে সে সব নিয়ে কোন রকম আলোচনা না করে প্রসাশক শচিন সিংহ রায় কি ভাবে এত বড় একটি সিধান্ত একাই নিতে পারে?যদিও পৌর প্রসাশক জানান বিসর্জনের ঘাট নিয়ে সব সদস্যদের তিনি জানিয়েছেন।

 

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার পাঁচ জনের পৌর প্রসাশক মন্ডলীর সদস্যদের মধ্যে তিন দুই গোষ্ঠিতে বিভক্ত হয়ে পড়েছে।জানা যায় শুধু বসন্ত রায়ই নয় ধবি ঘাট নিয়ে কোন রকম আলোচনা করা হয়নি পৌর প্রসাশক মন্ডলীর অন্যতম সদস্য কমল ঘোষের সাথেও।পৌর প্রসাশক মন্ডলীর সদস্য কমল ঘোষ এক সাক্ষাৎকারে বলেন পৌর সভার যে কোন সিধান্ত সদস্যদের সাথে আলোচনা করেই নেওয়া উচিৎ ছিল।এতবড় একটি সিধান্ত কি ভাবে এককভাবে পৌর প্রসাশক শচিন সিংহ নিতে পারেন? অপর পৌর প্রসাশক রাজীব সাহা বলেন পৌরসভার সিধান্ত গুলি যদি প্রসাশক নিজেই নিতে পারেন তাহলে আমাদের সদস্য করে আনার কোন যুক্তি আছেকি?কালিয়াগঞ্জ রজক সমিতির সম্পাদক রাম রজক বলেন ধবিঘাট ভেঙে মোটেই ঠিক করেনি পৌর প্রসাশক। জানা যায় কংগ্রেসের পৌর বোর্ডের আমলে ২০১১সালে তৃণমূলের কমিশনার ঈশ্বর রজকের উদ্দ্যোগে একরকম জোর করেই এই ধবিঘাট নির্মাণ করা হয়েছিল কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে।বর্তমানে ধবি ঘাটটি ভেঙে ফেলার ফলে জনগনের অর্থ শ্রীমতি নদীতে ফেলে দেওয়া হল। কালিয়াগঞ্জ পৌর করে পৌর প্রসাশক এককভাবে তালিবানি সিধান্ত কি করে নিতে পারে এই নিয়ে কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার পৌর প্রশাষকের সাথে প্রসাশক মন্ডলীর সদস্যদের তীব্র মতবিরোধ দেখা দিয়েছে বলে জানা যায়।জানা যায় দুর্গা পূজার বিসর্জনের ঘাট দীর্ঘদিন ধরেই পুলিশের জায়গার উপর করা হত।

এবার কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ রায়গঞ্জের পুলিশ সুপারের নির্দেশে বিসর্জনের ঘাট ঘেরা দিয়ে বাগান তৈরি করেছে।ফলে বিসর্জন ঘাট কোথায় হবে এই নিয়ে চরম সমস্যা দেখা দেয়।জানা যায় এই সমস্যা সমাধানে পৌর প্রসাশক একক ভাবে ধবি ঘাট ভেঙে দিয়ে যেখানে বিসর্জন ঘাট করতে চলেছে সেই বিসর্জন ঘাটের স্থান নিয়ে এবং ধবিঘাট ভাঙা নিয়ে কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার পৌর প্রসাশক প্রসাশক মন্ডলীর তিন জন সদস্যকে পাশ কাটিয়ে তাদের সাথে কোন রকম আলোচনা না করেই পৌর প্রসাশক এই সিদ্ধান্ত কোন ভাবেই নিতে পারেনা।

কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার সিনিয়ার মোস্ট পৌর প্রসাশক বসন্ত রায় বলেন আমাকে কোন কিছু জানানো হয়নি।তা ছাড়া বিসর্জন ঘাট কি ভাবে একটি অপরিসর স্থানে হতে পারে সে সব নিয়ে কোন রকম আলোচনা না করে প্রসাশক শচিন সিংহ রায় কি ভাবে এত বড় একটি সিধান্ত একাই নিতে পারে?যদিও পৌর প্রসাশক জানান বিসর্জনের ঘাট নিয়ে সব সদস্যদের তিনি জানিয়েছেন।জানানো হয়নি বলে যা বলা হচ্চে তা সম্পুর্ন মনগড়া কথা।বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার পাঁচ জনের পৌর প্রসাশক মন্ডলীর সদস্যদের মধ্যে তিন দুই গোষ্ঠিতে বিভক্ত হয়ে পড়েছে।জানা যায় শুধু বসন্ত রায়ই নয় ধবি ঘাট নিয়ে কোন রকম আলোচনা করা হয়নি পৌর প্রসাশক মন্ডলীর অন্যতম সদস্য কমল ঘোষের সাথে।পৌর প্রসাশক মন্ডলীর সদস্য কমল ঘোষ এক সাক্ষাৎকারে বলেন পৌর সভার যে কোন সিধান্ত সদস্যদের সাথে আলোচনা করেই নেওয়া উচিৎ চিল।এতবড় একটি যায়সিধান্ত কি ভাবে এককভাবে পৌর প্রসাশক শচিন সিংহ নিতে পারেন? অপর পৌর প্রসাশক রাজীব সাহা বলেন পৌরসভার সিধান্ত গুলি যদি প্রসাশক নিজেই নিতে পারেন তাহলে আমাদের সদস্য করে আনার কোন যুক্তি ছিল?কালিয়াগঞ্জ রজক সমিতির রাম রজক ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন পৌর প্রসাশক রজক সমিতির সাথে এ ব্যাপারে আলোচনা করতে পারতেন।কিন্তূ তিনি কারো সাথে কোন আলোচনা না করেই এই কাজ করতে চলেছে।রাম রজক বলেন যেখানে বিসর্জনের ঘাট তৈরি করা হচ্ছে সেখানে কোন ভাবেই ট্রাক ঢুকতে পারবেনা।দর্শকদের সেখানে দাঁড়িয়ে থাকাটাই অত্যন্ত রিক্স হয়ে যাবে।।এই অপরিসীম জায়গাকে কি ভাবে কালিয়াগঞ্জ পৌর সভা বিসর্জনের স্থান হিসেবে নির্বাচিত করলেন কার সাথে আলোচনা না করে? এই প্রশ্ন যেমন কালিয়াগঞ্জের মানুষের মুখে মুখে তেমনি এই প্রশ্ন প্রসাশক মন্ডলীর অধিকাংশ সদস্যদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *