October 28, 2024

উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ এ জমল না রাখির বাজার

1 min read

উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ এ জমল না রাখির বাজার

তন্ময় চক্রবর্তী ও শুভ আচার্য সামনে রাখি পূর্ণিমা। তার আগের উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ সহ জেলার সবর্ত বাজার জমল না। গত বারের তুলনায় অর্ধেক রাখিও এ বার বিক্রি হয়নি বলে জানাচ্ছেন অধিকাংশ ব্যবসায়ী। তবে করোনা-আবহে অনলাইনে রাখি কেনা ও পাঠানোর ঝোঁক এ বার বেশ বেড়েছে।‘অনলাইন ডেলিভারি’-র সঙ্গে যুক্ত কালিয়াগঞ্জ এর হিরালাল সাহা বলেন, ‘‘করোনা পরিস্থিতিতে পার্সেলের চাপ বেড়েছিল। রাখির আগে সেই চাপ কয়েক গুন বেড়েছে।’’ কালিয়াগঞ্জ এর পূজা মণ্ডল বলেন, ‘‘এ বার রাখি, উপহার সব অনলাইনে আনিয়েছি। বাইরে বাজারে যেতে সাহস হয়নি।’’ কালিয়াগঞ্জ এর শিপ্রা দত্ত ও পায়েল দাস জানান, উল আর বিভিন্ন ধরনের রঙিন সুতো দিয়ে বাড়িতেই রাখি তৈরি করেছেন তাঁরা।

এ দিকে, কালিয়াগঞ্জ শহরের ব্যবসায়ী বিশ্বনাথ চট্যোপাধ্যায় আক্ষেপ করছেন, ‘‘রাখির কোনও আমেজই নেই। উৎসবটা জলে গেল।’’ কালিয়াগঞ্জ এর মহেন্দ্রগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী চিরঞ্জিৎ মণ্ডল এ বার কোনও রাখিই আনাননি। , অন্য বছর এই সময়ে নানা দামের চকোলেট কেনার ধুম পড়ে যেত। এ বার বিক্রি ঠেকেছে তলানিতে। বাজারের ব্যবসায়ী প্রদীপ দাস জানান, প্রতিবার রাখি কিনতে আসে প্রচুর স্কুল-কলেজের পড়ুয়া। এ বার করোনা-আবহে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ রয়েছে।

তাতেও বিক্রিবাটা ধাক্কা খেয়েছে। তবে রাজু রজক নামে এক রাখি বিক্রেতা বলেন, ‘‘করোনা-পরিস্থিতির জন্য এ বার বাইরে থেকে রাখি আনা সম্ভব হয়নি। ’’ দোকানদার গৌতম ঘোষ জানাচ্ছেন, আগে অবাঙালি লোকজন আগে থেকে ছবি দেখিয়ে নির্দিষ্ট রাখির ফরমায়েশ করতেন। এই বার তা পুরোপুরি বন্ধ। গৌতম বলেন, ‘‘এ বার যতটুকু বিক্রি হয়েছে, তা মূলত ১৫-১০ টাকা দামের রাখি।’

’তবে কালিয়াগঞ্জ এর মা বয়রা কালী বাড়ি রোডে অবস্থিত একটি দোকানদার সুনিল গুপ্তা বলেন, গত বছরের তুলনায় এবছর একটু পরিস্থিতি ভালো হওয়ায় তিনি রাখি বিভিন্ন ধরনের এনেছেন নেপাল সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে। তার আশা এবার হয়তো বিক্রি বাড়বে রাখির। তাই আশায় বুক বেঁধে রয়েছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *