October 29, 2024

খাগাইলের মুখোশ শিল্পীরা অতিমারী কোভিডের থাবায় মেলায় যেতে না পারায় লেবারের কাজ করে দিন কাটাচ্ছে-

1 min read

খাগাইলের মুখোশ শিল্পীরা অতিমারী কোভিডের থাবায় মেলায় যেতে না পারায় লেবারের কাজ করে দিন কাটাচ্ছে-

তপন চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ,১০আগস্ট:দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমন্ডি ব্লকের ৫ নম্বর দেউল গ্রাম পঞ্চায়েতের খাগাইল গ্রামের মুখোশ শিল্পীরা অতিমারি করোনার কারনে রাজ্যের সমস্ত মেলা বন্ধ হয়ে যাবার ফলে বর্তমানে মুখোশ শিল্পীর কাজ বাদ দিয়ে কোন রকমে লেবারের কাজ করে কোন রকমে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে চলেছে বলে জানা যায়।দুই বছরের বেশি সময় ধরে রাজ্য অথবা ভারত বর্ষের বিভিন্ন প্রান্তের কোথাও আমাদের নিজের হাতের বানানো মুখোশ নিয়ে কোভি ডের প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারনে বাড়ির বাইরে কোথাও যেতে পারছিনা।বর্তমানে মুখোশ বানিয়ে বিক্রি না হবার কারনে মুখোশ আর বানাছিনা।কারন বানিয়ে লাভ।কি আছে?বিক্রী না হলে বানিয়ে লাভ।কি আছে? তাই পেট চালাতে লেবারের কাজ করে জীবন জীবিকা কোন রকমে নির্বাহ করছি। দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমন্ডি ব্লকের ৫নম্বর দেউল গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫২বছরের মুখোশ শিল্পী মাধব সরকার।বলেন কোভিডের প্রথম ঢেউ দ্বিতীয় ঢেউ আমাদের।মুখোশ।শিল্পীদের মাঝা ভেঙে দিয়েছে।আবার শুনছি তৃতীয় ঢেউ আসার কথা।আমাদের জাতিগত ব্যবসা ছেড়ে যে কাজের কথা কোন দিন স্বপ্নেও ভাবিনি সেই লেবারের কাজ করে কোন ভাবে সংসার চালাতে হচ্ছে।

মুখোশ শিল্পী মাধব সরকার জানান মুখোশের কাজ করে যেমন আনন্দ পেতাম তেমনি অর্থও উপার্জন করতাম।সেই।কাজে যথেষ্ট সন্মানও ছিল।কিন্তূ অতিমারী কোভিড আমাদের কাছ থেকে সব।কেড়ে নিয়ে সর্বশান্ত করেছে আমাদের।মুখোশ শিল্পী মাধব সরকার বললেন আমরা বাড়িতে বসে প্রচুর বিভিন্ন ধরনের মুখোশ।বানিয়ে তা নিয়ে আমাদের রাজ্যের মেলায় যেতাম।সেখানে বিভিন্ন ধরনের মুখোশ বিক্রি করে ভালই পয়সা পেতাম।তা ছাড়া এই রাজ্যের বাইরে বিভিন্ন শিল্প মেলায় যেতাম।আজ সব হারিয়ে গ্রামে লেবারের কাজ করতে হচ্ছে।কেনই বা এসব মূল্যবান কাজ শিখলাম।শিখেই বা কোন দাম পেলাম?

মাধব বাবুর ছেলে লোকনাথ সরকার বললেন তিনিও মুখোশ বানায় বাবার সাথে। দীর্ঘদিন ধরে সব কাজ বন্ধ হয়ে আছে।তাই ইচ্ছা থাকলেও আর এসব করতে ইচ্ছা করেনা।কি কি ধরনের মুখোশ আপনারা তৈরি করেন তার উত্তরে মাধব সরকার এবং লোকনাথ সরকার বলেন দুর্গার মুখোশ,কালীর মুখোশ,নরসিংহের মুখোশ ,বিভিন্ন রাজা রানীর মুখোশ,বিভিন্ন পাখির মুখোশ আমরা কাঠ কেটে তৈরি করি।এক একটি দেবদেবীর মূর্তি তৈরি করতে মোট খরচ হয় তিন হাজার টাকার মত।আমরা বিক্রি করি সাড়ে চার হাজার টাকার মত।এই ভাবে বিভিন্ন ধরনের মুখোশের বিভিন্ন ধরনের দাম হয় বলে জানান।মাধব সরকার বলেন।সব কিছুই খুলে গেছে আর মেলা বন্ধ করে আমাদের।ক্ষতি করে লাভ।কি?আমরা যাতে আবার মেরুদন্ড সোজা করে দাঁড়াতে পারি তার জন্য সরকারের কাছে আমাদের মুখোশ শিল্পীদের আবেদন আমাদের মত মুখোশ শিল্পীদের মাসে চার হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হোক।এক হাজার টাকা ভাতা দিয়ে কোন কাজ হয়না।এটা আমাদের সরকারের কাছে আবেদন।লোকনাথ সরকার বলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা শিল্প কেন্দ্র আমাদের এ ব্যাপারে।সব রকম সাহায্য করে থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *