October 29, 2024

‘‌ঘরের মেয়ে’‌ মমতা!‌ নয়া স্লোগানে বাজিমাতের চেষ্টা তৃণমূলের

1 min read

‘‌ঘরের মেয়ে’‌ মমতা!‌ নয়া স্লোগানে বাজিমাতের চেষ্টা তৃণমূলের

এখনও দিনক্ষণ ঘোষণা করেনি কমিশন উপনির্বাচন কবে? । তৃণমূল কংগ্রেস তবে লাগাতার দরবার চালিয়ে যাচ্ছে । রাজ্যে সদ্য বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে। সেখানে বড়সর সাফল্য এসেছে তৃণমূলের দখলে। কিন্তু নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে হেরে গিয়েছিলেন মমতা ব্যানার্জি। একজন তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। নিয়ম অনুযায়ী ৬ মাসের মধ্যে উপনির্বাচন করে জিতে আসতে হবে তাঁকে। এর মধ্যে ৩ মাস ইতিমধ্যেই কেটে গেছে। নির্বাচন কমিশন যাতে ভোটের দিন ঘোষণা করে, সে বিষয়ে সম্প্রতি দিল্লি সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কেও অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। তৃণমূল অন্দরের খবর, এবার ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়বেন তৃণমূল নেত্রী। এই কেন্দ্র থেকে আগেই পদত্যাগ করেছেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়।

সব মিলিয়ে মোট ৬ টি আসনে উপনির্বাচন হওয়ার কথা। আর এবার তৃণমূল নেত্রীর সমর্থনে নতুন স্লোগান বানান হল। ভবানীপুর কেন্দ্রে মমতার জন্য নতুন স্লোগান বানিয়ে দেওয়ালে দেওয়ালে টাঙাতে শুরু করেছে জয় হিন্দ বাহিনী। ” উন্নয়ন ঘরে ঘরে/ ঘরের মেয়ে ভবানীপুরে”।

শাখারী পাড়া, যদু বাজার, পূর্ণ সিনেমার পাশের গলি সহ ভবানীপুরের বিভিন্ন এলাকায় চোখে পড়ছে এই নয়া স্লোগান।বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের স্লোগান ছিল, “বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়”। সহজ এবং ছোট এই স্লোগান যে মন কেরেছিল বাংলার ভোটারদের, তা ভোটের ফলেই স্পষ্ট।

পাল্টা বিজেপির তরফে “মাননীয়া”, “পিসি”, “বেগম” নানান সম্বোধনে তৃণমূল নেত্রী কে ডাকা হলেও ভোট প্রচারে তা ধোপে টেঁকেনি তাও স্পষ্ট। ভবানীপুর কেন্দ্রের স্থানীয় তৃণমূল নেতারা বলছেন,  মুখ্যমন্ত্রী নিজে এই কেন্দ্রের বাসিন্দা এবং ভোটার। তাই “ঘরের মেয়ে” বিষয়টি এখানে খুব গুরুত্বপূর্ণ। “দিদি” দাঁড়াবেন বলে নাকি এলাকার তৃণমূল কর্মীরাই উৎসাহিত হয়ে এসব বানিয়ে ফেলেছেন।

যা অনেকেরই পছন্দ হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১১ তে দল জেতার পরে নিজের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে ভবানীপুর থেকেই ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন মমতা।জানা গেছে, শনিবার রাতে দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির অফিসে একটি বৈঠক হয়।

 

যেখানে ছিলেন ফিরহাদ হাকিম, দেবাশিস কুমার সহ অন্য নেতারা। তৃণমূল শিবির মনে করছে, এই মাসের শেষেই উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করতে পারে কমিশন। সেক্ষেত্রে পুজোর আগে ভোট হতে পারে ধরে নিয়ে এগোতে চাইছে ঘাসফুল শিবির। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *