October 29, 2024

দিনাজপুর খন পালাগান সমিতির উদ্যোগে পালিত হলো, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের তিরোধান দিবস পালন, শিল্পীর আত্মার শান্তি কামনায় নীরবতা পালন ও গুনিজন সংবর্ধনা।

1 min read

দিনাজপুর খন পালাগান সমিতির উদ্যোগে পালিত হলো, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের তিরোধান দিবস পালন, শিল্পীর আত্মার শান্তি কামনায় নীরবতা পালন ও গুনিজন সংবর্ধনা।

লোকনাথ সরকার, কুশমন্ডি ৮ -ই আগষ্ট দিনাজপুর খন পালাগান সমিতির উদ্যোগে পালিত হল, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮০ -তম তিরোধান দিবস পালন। এদিন সমিতির সকল সদস্যরা পুষ্পর্ঘ্য দিয়ে শ্রদ্ধা অর্পণ করেন রবি ঠাকুরের প্রতিকৃতিতে। গত বৃহস্পতিবার ৫ -ই আগস্ট কুশমন্ডির পারফর্মার পথনাটক ও অভিযান বাংলাব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা বাদ্য শিল্পী অর্ণব রাউতের (৩৬) পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়। তার আত্মার শান্তি কামনায় এক মিনিট নীরবতা পালন করেন সমিতির সদস্যরা ।এরপর দিনাজপুর খন পালাগান সমিতির সভাপতি ও খন গুরু মাননীয় শ্রী খগেন্দ্রনাথ সরকারকে (খুশি)

দিনাজপুর খন পালাগান সমিতির পক্ষ থেকে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়। বিগত কিছু দিন আগে খন গুরু খগেন্দ্রনাথ সরকারকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের রাজবংশী ভাষা আকাদেমির পক্ষ থেকে, “রাজবংশী ভাষা বান্ধব সন্মান ২০২১” সন্মান প্রদান করেন। সেই কারনেই এদিন গুনিজন হিসেবে খন পালাগান সমিতির পক্ষ থেকে এই সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।এই বিষয়ে খন গুরু খগেন্দ্রনাথ সরকার জানান। আমি ভীষণ আপ্লুত এবং ভীষণ আনন্দিত। এই সন্মান পেয়ে আমি ভীষণ খুশী। এই সন্মান যে আমি পাবো সেই কথা কোনো দিনো ভাবিনি।এই সন্মান শুধু আমার একার নয়! এই সন্মান সকল উত্তরবঙ্গবাসীর। এবং এই সন্মান আমি সকল উত্তরবঙ্গবাসীর কাছে উৎসর্গ করছি। এই সন্মানের জন্য আগামী দিনে মানুষ আরো আরো আরো এই ভাষাকে নিয়ে ভাষা চর্চা করবে, এবং লেখা লেখি করবে বলে আশাবাদী খন গুরু। খন পালা গান কে বাঁচিয়ে রাখতে এবং ধারাবাহিক ভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে এই সন্মান ছোটোদের মনে উৎসাহ এবং আগ্রহ জাগাবে বলে জানান খন গুরু।খন পালাগান সমিতির সম্পাদক, বিশিষ্ট নাট্যকার ও গবেষক, শ্রদ্ধেয় সৌরভ রায় জানান।

এই খন পালাগান কে উলিতে-গুলিতে পৌঁছে দেওয়া এবং নতুন প্রজন্ম কে এই খন পালাগান এর সামনে এনে দাঁড় করিয়ে, যুগ যুগান্তর ধরে টিকিয়ে রাখাই হলো খন পালাগান সমিতির মূল লক্ষ্য।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খন পালাগান সমিতির সম্পাদক খগেন্দ্রনাথ সরকার, সভাপতি সৌরভ রায় সহ, আদিবাসী লোক শিল্পী সংগঠক বুধন হেমরম, ঝুমুর শিল্পী সংগঠক দীলিপ মাহাতো, মুখা (মুখোশ) শিল্পী মাধব সরকার, এবং খন পালাগান সমিতির সকল সদস্যরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *