October 29, 2024

বিধানসভার ভোট ঘোষণার আগেই কালিয়াগঞ্জ এ বিজেপি শহরের দেওয়াল লিখনের মাধ্যমে জানিয়ে দিল হরে কৃষ্ণ হরে হরে বিজেপি ঘরে ঘরে

1 min read

বিধানসভার ভোট ঘোষণার আগেই কালিয়াগঞ্জ এ বিজেপি শহরের দেওয়াল লিখনের মাধ্যমে জানিয়ে দিল হরে কৃষ্ণ হরে হরে বিজেপি ঘরে ঘরে

তনময় চক্রবর্তী হরে কৃষ্ণ হরে হরে বিজেপি ঘরে ঘরে। বিধানসভার নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে ততই যেন ভোটের উত্তাপ ক্রমশই চড়চড় করে বাড়ছে রাজনীতির ময়দানে। ইতিমধ্যে শাসক বিরোধী দুই পক্ষই নেমে পড়েছে দেওয়াল দখলের প্রতিযোগিতায়। তবে একটা কথা হল এবার বিধানসভা ভোটের আগে দেয়াল দখল করে ভোটের ছড়া লিখে গেরুয়া শিবির প্রথম রাউন্ডে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে কালিয়াগঞ্জ এ।

কালিয়াগঞ্জ শহরের বিভিন্ন জায়গায় দেখা গেল বিজেপির ভোটের দেওয়ালে নানান ছড়ার টিপ্পনী তে ভরিয়ে দিয়েছ তারা । আর এমন প্রচারের ক্ষেত্রে কালিয়াগঞ্জ শহরের প্রতিদ্বন্দ্বী শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং জোট বদ্ধ কংগ্রেস ও সিপিএমকে অনেকটাই পিছনে ফেলে দিয়েছে বিজেপি।

গেরুয়া শিবিরের নেতাদের দাবি গণতন্ত্রে ভোট হল একটি উৎসব। আর সেই উৎসবে একটু আনন্দ হবে না তা কি করে হয়। তাই তারা সেই আনন্দ এবার ভোটারদের কাছে পৌঁছে দিতে চান দেওয়াল লিখনের মাধমে  শাসক দলের বিভিন্ন অনৈতিক কাজ এর বিরুদ্ধে ব্যঙ্গচিত্র, টিপ্পনী আর হাসির ছড়া র আড়ালে সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক বার্তা দিয়ে ।বিজেপি এবার বিভিন্ন জায়গায় যে সমস্ত দেওয়াল লিখন ইতি মধ্যে  করেছে আগামী  বিধানসভার ভোট কে সামনে রেখে তার মধ্যে  সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ভাবে উঠে এসেছে সেগুলো হলো, সম্প্রতিকালের শাসক দল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার পরে শুভেন্দু অধিকারীর মুখে যে স্লোগান বিভিন্ন জনসভাগুলোতে শুনতে পাওয়া যাচ্ছে তার মধ্যে অন্যতম হরে কৃষ্ণ হরে হরে বিজেপি ঘরে ঘরে।

এই শ্লোগান এবার কালিয়াগঞ্জে বিভিন্ন জায়গায় দেওয়াল লিখনের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছে বিজেপি। অপরদিকে ছড়ার মাধ্যমে যে সমস্ত দেওয়ালগুলো ইতিমধ্যে বিজেপি লিখে ফেলেছে সেখানে দেখা গেল, দিদির পায়ে হাওয়াই চটি ভাইপো তার কোটিপতি। এই তৃণমূল আর না। এই লেখা যেমন ফুটে উঠেছে তার পাশাপাশি কয়েকটি জায়গায় দেখা গেল বিজেপি দেওয়াল লিখনের লিখেছে ,  দিদি শুধু মাতাল বোঝে শিশুর পেটে খাবার খোঁজে। এই তৃণমূল আর না। এমন ধরনের স্লোগান এবং ছড়ার মাধ্যমে ইতিমধ্যে জমজমাট হয়ে উঠেছে কালিয়াগঞ্জ শহর জুড়ে বিজেপির প্রচার। বিজেপির কালিয়াগঞ্জের কার্য কর্তাদের দাবি নিরক্ষর মানুষ ও ছড়ার ছন্দে আমোদিত হয়ে গড়গড়িয়ে আওড়ে যান। গ্রামে আজও ঘুমপাড়ানি ছড়ার প্রচলন রয়েছে। ছড়ার মাধ্যমে খুব সহজে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরা যায়। ছড়া ভালো হলে তা মানুষের মুখে মুখে ফেরে। আর তাই ছড়া কে হাতিয়ার করে বিধানসভা নির্বাচনে এবারে  প্রচারে তারা জোর দিতে চান। 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *