ভালো থেকো সুখে থেকো সবে। আসবো আবার দেখা হবে। এখন আমি চলে যায় । টাটা বাই বাই। অভিষেক বার্তা দিলেন কালিয়াগঞ্জ এর তৃণমূলের নেতাকর্মীদের।
1 min readভালো থেকো সুখে থেকো সবে। আসবো আবার দেখা হবে। এখন আমি চলে যায় । টাটা বাই বাই। অভিষেক বার্তা দিলেন কালিয়াগঞ্জ এর তৃণমূলের নেতাকর্মীদের।
তনময় চক্রবর্তী, ভালো থেকো সুখে থেকো সবে, আসবো আবার দেখা হবে। এখন আমি চলে যাই। টাটা বাই বাই। হ্যাঁ আজ প্রায়ই এই গানের সুরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কালিয়াগঞ্জ এর উপর দিয়ে চলে গেলেন রাজ্য তৃণমূল যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর যাকে ঘিরে কালিয়াগঞ্জ শহরের উৎসাহী নেতাকর্মীদের ভিড় ছিল সেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু এক মিনিটের জন্যও দাঁড় করালেন না তার গাড়ি কালিয়াগঞ্জ বিবেকানন্দ মোরে ।স্বভাবতই নেতাকর্মীদের মধ্যে একটু হতাশার ছায়া লক্ষ করা গেল সেই সময়।
যেই সময় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালিয়াগঞ্জ এর উপর দিয়ে গেলেন সেই সময় এই বিবেকানন্দ মরেই ফুল নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা এই কারণেই অভিষেক বাবু হয়তো দাঁড়াবেন এক মিনিটের জন্য অগণিত নেতাকর্মীদের একটু ভালবাসার উষ্ণ অভ্যর্থনা নেওয়ার জন্য।কিন্তু না দীর্ঘ প্রতীক্ষায় দাঁড়িয়ে থেকেও রাজ্য তৃণমূলের যুব সভাপতি যুবরাজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে দাঁড় করাতে পারলেন না এখানকার তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।
স্বভাবতই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চলে যাওয়ার পর চোখেমুখে ধরা পরল নেতাকর্মীদের মধ্যে একটু হতাশার চিহ্ন। সেই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন কালিয়াগঞ্জ এর বিধায়ক তপন দেব সিংহ , তৃণমূল রাজ্য সম্পাদক অসীম ঘোষ, কালিয়াগঞ্জ শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি কমল ঘোষ, কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসক শচীন সিংহ রায় সহ নেতা ও কর্মীরা।
তবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে বরণ করার জন্য বিন্দুমাত্র খামতি রাখেনি কালিয়াগঞ্জ শহর তৃণমূল কংগ্রেস। ছিল নেতাকর্মীদের হাতে দশটি গোলাপ ও গেন্দা ফুল।চারিদিকে ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর ছবি লাগানো ফ্লেক্স তাকে স্বাগত জানানোর জন্য। কিন্তু শত আয়োজন করে ও বিফলে গেল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষণিকের জন্য কালিয়াগঞ্জ এ না দাঁড়ানোর ফলে।স্বভাবত দশটি গোলাপ ফুল এবং গেন্দা ফুল গুলো কর্মীদের কাছেই থেকে গেল।আর অনেককেই বলতে শোনা গেল বড় বড় নেতারা নাকি এমনি করে থাকেন।আবার অনেককেই বলতে শোনা গেল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অনেকদিন পর এই দিক দিয়ে গেল।
যখন তার অগণিত প্রিয় দলের নেতাকর্মীরা হাজির হয়েছিলেন তাকে বরণ করার জন্য তখন তার কিছুক্ষণের জন্য দাঁড়িয়ে থেকে নেতাকর্মীদের সংবর্ধনা নিতেই পারতেন।যাক মন ভার করে আমাদের আসতে হল। আমরা তো দেখতেই পারলাম না আমাদের নেতা কে ঠিকঠাক। যেভাবে কালো গাড়িতে চারিদিকে কাজ বন্ধ ছিল আমরা দেখব কি করে ?
আবার কিছু কর্মী বললেন আমরা ঠিক জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিলাম তাই আমরা দেখতে পেয়েছি হাত নারছিল কর্মীদের উদ্দেশ্যে আমাদের প্রিয় নেতা। আবার অনেক তৃণমূল নেতা বলছিলেন আজকে অভিষেক বাবু দাঁড়াতে পারতেন এখানে কারণ তিনি একটা সময় কালিয়াগঞ্জে প্রথম সভা করেছিলেন তৃণমূল যুবার হয়ে। আর তারপর থেকেই তিনি দাঁড়িয়ে গেলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। তাই এই মাটিকে একটু সম্মান দেওয়া উচিত ছিল।যাক রাজনীতিতে সবই সম্ভব। হয়তো আমাদের প্রিয় নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আবারো কালিয়াগঞ্জে আসবেন নির্বাচনের সময় প্রচারে। তবে কালিয়াগঞ্জ এর উপর দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যাওয়ার সময় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে হাত নাড়িয়ে একটি গানের কলি সকলকে মনে করিয়ে দিলেন , ভালো থেকো সুখে থেকো সবে। আসবো আবার দেখা হবে। এখন আমি চলে যায় । টাটা বাই বাই।