মনীষীরাই ভরসা তৃণমূলের ভোটের আগে জনসংযোগে
1 min readমনীষীরাই ভরসা তৃণমূলের ভোটের আগে জনসংযোগে
দলের কর্মীদের মনোবল আরও চাঙ্গা করার পাশাপাশি বিধানসভা ভোটের (Assembly Election 2021) আগে আরও নিবিড় জনসংযোগ শুরু করছে তৃণমূল। জানুয়ারির শুরু থেকে নেতাকর্মীদের জন্য টানা একমাসের কর্মসূচি ঘোষণা করল দল। বুধবার তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘কোভিড বিধি মেনে গোটা জানুয়ারি মাস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনমুখী প্রকল্পগুলির কথা সবাইকে আরও বেশি করে জানাতে হবে। মহাপুরুষদের জন্ম এবং মৃত্যুদিন সমবেতভাবে উদযাপন করতে হবে।’ স্মরণীয় দিনগুলিতে এলাকার দুস্থদের পাশে থাকা এবং অসুস্থ মানুষের সেবার আহ্বানও জানিয়েছেন তৃণমূল মহাসচিব।
১ জানুয়ারি তৃণমূলের (TMC) প্রতিষ্ঠা দিবস। প্রত্যেক পঞ্চায়েতে ও প্রত্যেক ওয়ার্ডে দলের পতাকা উত্তোলন, মহাপুরুষদের প্রতিকৃতিতে সম্মান প্রদর্শন ও গুণীজনদের সংবর্ধনার নির্দেশ দিয়েছেন পার্থবাবু। তিনি বলেন, ‘তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস থেকে ৭ তারিখ পর্যন্ত উদযাপন করা হবে।’ ১২ জানুয়ারি স্বামী বিবেকানন্দের জন্মজয়ন্তী। রাজ্যের প্রতি ওয়ার্ডে এবং প্রতি ব্লকে উদযাপন হবে। ২৩ জানুয়ারি নেতাজির ১২৫ তম জন্মজয়ন্তী। এই দিনটিকে এবার আরও বেশি গুরুত্ব দিয়ে পালনের নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল মহাসচিব। ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন করবেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। ৩০ জানুয়ারি গান্ধীজির প্রয়াণ দিবস। কোভিড বিধি মেনে এই দিনটিও পালিত হবে।তৃণমূল ভবনে দলের কর্মসূচি ঘোষণা ছাড়াও পার্থবাবু (Partha Chatterjee) ‘দুয়ারে সরকার’-এর সাফল্য তুলে ধরে বলেন, ‘বারোটি প্রকল্পের সুফল এক কোটি তেত্রিশ লক্ষ মানুষের কাছে পৌঁছেছে। স্বাস্থ্যসাথীর জন্য শিবিরে যোগাযোগ করেছেন ৭৯ লক্ষ ২৩ হাজার মানুষ। ‘দুয়ারে সরকার’ ১৫ নভেম্বর শুরু হয়েছে। অভিযান চলবে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ৮৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে।’ তৃণমূল মহাসচিব আরও বলেন, ‘সংসদে জোর করে কৃষি আইন পাশের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছে। বাংলার সরকার কৃষকদের কল্যাণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ২০১১ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে কৃষকের আয় প্রায় তিন গুণ বেড়েছে। কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের সংখ্যা বেড়েছে আড়াইগুণ। কৃষক বন্ধু প্রকল্পে ৭৩ লক্ষ কৃষক উপকৃত হয়েছেন। কৃষকের মৃত্যুর পরে পরিবারগুলি আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।’ কারও নাম না করেই তৃণমূল মহাসচিব বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের হয়ে যারা গুণগান গাইবার চেষ্টা করছেন তারা যে কত বড় কৃষক-শ্রমিক দরদি তা বোঝাই যায়।’