October 28, 2024

 ইস্তফা জিতেন্দ্রর, সত্যিই হল জল্পনা

1 min read

 ইস্তফা জিতেন্দ্রর, সত্যিই হল জল্পনা

মুখ্যমন্ত্রীর সাথে কথা হওয়ার আগেই ইস্তফা জিতেন্দ্র তিওয়ারির । আসানসোলের পুরপ্রশাসক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারির। যাবার আগে জিতেন্দ্র বলে গেলেন, কোনও চিন্তা করবেন না, সবাই ভালো থাকবেন ।আগামীকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল আসানসোলের‌ পুর প্রশাসক জিতেন্দ্র তিওয়ারির। কিন্তু তার আগের দিন পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তিনি। এদিন নিজের দপ্তরে কর্মী ও আধিকারিকদের সামনে বক্তব্য রেখে জানালেন কি কারণে তাঁকে ইস্তফা দিতে হল। আর সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম নজিরবিহীন আক্রমণ করেছেন।

 তিনি বলেন,” রাজ্যের পুরমন্ত্রীর চেয়ারে যতদিন ফিরহাদ হাকিম থাকবেন ততদিন আসানসোলের উন্নতি হবে না।চারটে মাস অপেক্ষা করুন। আবার সব পুরনো অবস্থায় ফিরে আসবে। আপনারা সরকারি কর্মী। একটু কষ্ট করে সবকিছু মেনে কাজটা করে যান। তিনি যাতে ওই চেয়ারে আবার ফিরে আসতে না পারেন সেটা আমরা বাইরে থেকে করে নেব। এখানে রাজনৈতিক কথা বলার জায়গা নয়।ওটা আমার উপর ছেড়ে দিন। আসানসোলের উন্নয়ন জারি থাকবে”। একথা বলেই তিনি এদিন পুর প্রশাসক পদ থেকে ইস্তফা দেন।উল্লেখ্য কেন্দ্রীয় সাহায্যে স্মার্ট সিটি প্রকল্পের আওতায় আসানসোলকে আনতে চেয়েছিলেন জিতেন্দ্র। কিন্তু রাজ্য সরকারের বাধায় সেটা করতে পারেননি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে তিনি চিঠি লিখেছেন ফিরহাদকে। সেই চিঠি ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর শুরু হয় বিতর্ক। এরপরই গতকাল তৃণমূল সাংসদ সুনীল মন্ডলের বাড়িতে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে দেখা যায় শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বৈঠক করতে। আর বৈঠকের পরদিন তিনি পুর প্রশাসকের পদ ছেড়ে দিলে।সেইসঙ্গে পশ্চিম বর্ধমানের জেলা সভাপতির পদও ছাড়তে চলেছেন বলে জানা গেছে। নিঃসন্দেহে এই ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে পশ্চিম বর্ধমান তথা রাজ্য রাজনীতিতে। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর আহ্বানকে যেভাবে ফিরিয়ে দিলেন, যেভাবে তাঁর কথা মেনে বৈঠক করার আগের দিনে এমন একটা বড় সিদ্ধান্ত নিলেন, তাতে তিনি যে বিজেপিতে যাচ্ছে না সেটা বলে দেওয়াই যায়। শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভায় তাঁকে বিজেপিতে যোগদান করতে দেখা যায় কিনা এখন তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *