October 28, 2024

তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দের মেরামতির আগে পি কে কে সবার আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মুখের ভাষা নাড্ডা,মাড্ডা ও চাড্ডা বন্ধ করার দিকে নজর দেওয়া বিশেষ প্রয়োজন

1 min read

তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দের মেরামতির আগে পি কে কে সবার আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মুখের ভাষা নাড্ডা,মাড্ডা ও চাড্ডা বন্ধ করার দিকে নজর দেওয়া বিশেষ প্রয়োজন

তপন চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ ,১২ডিসেম্বর:রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী আমাদের সবার কাছেই অত্যন্ত সন্মানিয়া ব্যক্তি। কিন্তু জনগনের মধ্যে সম্প্রতি জেপি নাড্ডাকে নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন এবং যে ভাবে তার উপস্থ্যাপনা ছিল সাধারণ মানুষের কাছে তা মোটেই গ্রহণযোগ্য হয়নি।তাদের মতে অবশ্যই তিনি বিরোধীদের উদ্দেশ্যে তীক্ষ্ণ বান ছুড়বেন যার মধ্যে শালীনতা অবশ্যই থাকবে।সাধারণ মানুষদের বক্তব্য তারা পশ্চিমবঙ্গের প্রথম থেকে আজ পর্যন্ত অনেক মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণ শুনেছেন কিন্তু আজকের মুখ্যমন্ত্রী যে ভাবে প্রতিটি স্থানে বক্তব্য রাখছেন তা নাকি হাসির খোরাকে পরিণত হয়ে যাচ্ছে।

পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম মুখ্যমন্ত্রী নন।আমাদের পশ্চিমবঙ্গে বিধান চন্দ্র রায়, প্রফুল্ল ঘোষ,অজয় মুখার্জি,সিদ্ধার্থ শংকর রায়,জ্যোতি বসু ও বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু তাদের সুলভ কথাবার্তা,আচার আচরণ আমাদের সবাইকে মুগ্ধ করার সাথে সাথে তাদের কথাবার্তার মধ্য দিয়ে অনেক কিছু শেখার ছিল।কিন্তু বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী প্রতিটি জনসভায়,কর্মিসভায় যে ভাবে অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে যে বার্তা মানুষদের দিচ্ছেন তাতে করে আর যাই হোক তার তৃণমূলের দলের নেতৃত্ব থেকে দলের সাধারণ সদস্যগন পর্যন্ত খুশি নন।তাই তৃণমূলের ভোট গুরু পি কের সবার আগে উচিৎ মুখ্যমন্ত্রীর বাক সংযম রোধে ব্যবস্থা নেওয়া।রাজ্যের একজন মুখ্যমন্ত্রী যখন অঙ্গভঙ্গি করে বিরোধী দলের বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা সম্পর্কে যে ভাবে কথাবার্তা বলেন তখন আমাদের লজ্জায় মুখ লুকাতে হয়।আমরা এর পূর্বে কোন মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে এমন কথা বার্তা শুনতে অভ্যস্ত নই।একজন মুখ্যমন্ত্রীর কথা বার্তা এমন কি করে হয়।আমাদের মুখ্যমন্ত্রী একজন সংস্কৃতি সম্পন্ন মানুষ বলেই জানতাম।তিনি কি করে বিজেপির সর্বভার্তীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে বহিরাগত বলেন?কি করে কৈলাস বিজয় বর্গীয়কে বহিরাগত গুণ্ডা আখ্যা দিয়ে থাকেন?যদি জে পি নাড্ডা দিল্লি থেকে এই রাজ্যে এলে বহিরাগত হয় তাহলে কৃষকদের আন্দোলনে দিল্লিতে গেলে ডেরেক ও ব্রায়েনকে সেখানকার লোকেরা যদি তাকে বহিরাগত বলে তাহলে কি তৃণমূলের ভালো লাগবে?দিল্লির কেও কি তাকে বহিরাগত বলে সম্বোধন করেছেন?উত্তর প্রদেশের নক্কারজনক ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে একটি প্রতিনিধি দল যখন মুখ্যমন্ত্রী পাঠিয়েছিলেন তাদেরকি কেউ বহিরাগত বলেছিলেন?।বলেন নি।তাহলে আমাদের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর নিজস্ব আইনে ভারতবর্ষের অন্য প্রান্ত থেকে পশ্চিমবঙ্গে যারা আসবেন তারা বহিরাগত কি করে হয়? পশ্চিমবঙ্গ থেকে ভারতের অন্য প্রান্তে কেও গেলে তাকে বহিরাগত বলা যাবেনা। কি সুন্দর নিয়মের মধ্যে আমরা বাস করছি। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন তাহলে বহিরাগতের ডেফিনেশন কি আমাদের নুতন করে জানতে হবে?যখন সাধারণ মানুষকে চায়ের দোকানে বা বাজারে আলোচনা শুনতে হয় আমাদের মুখ্যমন্ত্রী কি তাহলে বহিরাগত শব্দের আসল মানে জানেন না তখন মনটা খুব খারাপ হয়ে যায় এই কারনেই যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু তৃণমূলের মুখ্যমন্ত্রী নন উনি আমাদেরও প্রিয় মুখ্যমন্ত্রী।তার সম্পর্কে যখন আজে বাজে কেও মন্তব্য করেন তখন সত্যি সত্যি ভালো লাগেনা।হাটে বাজারে অনেকের মধ্যেই খুব গভীর আলোচনা হয়।যেমন অনেকেই বলছেন আমাদের মুখ্যমন্ত্রী যদি বিরোধী দলের নেত্রী থাকতেন তাহলে এই কথাগুলো খুব ভালো ম্যাচ করতো।কিন্তূ তিনি ভুলে গেছেন তিনি কিন্তু বর্তমানে বিরোধীদলের নেত্রী নন। তিনি ভারতবর্ষের সংস্কৃতির পীঠস্থান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।যার কথা বার্তা চাল চলন অন্য রাজ্যের মানুষকে আকৃষ্ট করবে অতি সহজেই।কিন্তু আমরা বা ভারতবর্ষের সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত এমন কিছু আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর কথাবার্তায় দেখছি যা দেখে সবাই বিরূপ মন্তব্য করতেই ব্যাস্ত।পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এই রাজ্যের জন্য যত উন্নয়ন মূলক কাজ করেছেন তার জন্য এমনিতেই এত কথা খরচের প্রয়োজনই ছিল না। হাসতে হাসতে জীতে যাবারই কথা।কিন্তু সব কিছু করেও যেন একমন দুধে একফোঁটা গরুর চোনা দেবার মত অবস্থা তৈরি হয়েছে।যত কাজ হয়েছে এর পর কিসের জন্য পিকের প্রয়োজন?তিনি একাই একশো।পিকেকে এনেই তিনি আরো বিপদে পড়েছেন।কারন তৃণমূলের যে সমস্ত বিধায়কদের মেরুদন্ড আছে তারা কোন ভাবেই পিকেকে মেনে নিতে পারছেন না। সাধারণ মানুষের বক্তব্য এই রাজ্যে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত যে সমস্ত পরিষেবা শহর ও গ্রামের মানুষ পেয়েছে তাতে করে সাধারণ মানুষ প্রচন্ড খুশি।কেননা এর আগে কোন সরকারই এত প্রকল্পের মাধ্যমে পরিষেবা দেবার কথা চিন্তা ভাবনার মধ্যেই আনেনি পূর্বের কোন সরকার।এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যত কাজ করেছেন তা যে কোন নিন্দুক কেও বলতে হবে অসাধারন কাজ হয়েছে।যে কোন মানুষকেও বলতে হবে।আবার এও আলোচনা শোনা যাচ্ছে সারা বিশ্বে কন্যশ্রী যেমন বিশ্বের স্বীকৃতি পেয়েছে তেমনি বেকার যুবকদের চাকরী দেবার নাম করে নাকি এই সরকার যত টাকা নিয়ে চাকরি দিয়েছেন এবং এখনো চাকরি দেবে বলে টাকা নিয়ে আছে তাতে এটাও একটা বিশ্বে প্রথম স্থান দখল করার জায়গায় যাবার পথে।এটা সাধারণ মানুষের আলোচনার বিষয় বস্তু।সাধারণ মানুষ বলছে রাজ্য সরকার বেশিরভাগ কাজ ভালো করলেও তৃণমূলের সর্বত্র গোষ্ঠীদন্ড এমন আকার ধারণ করেছে যে এই অসুখের কোন ভ্যাকসিন নাকি এখনো বের হয়নি। তাই একদিকে মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণে লাগাম টানার ব্যবস্থ্যা আর অন্যদিকে বিদ্রোহী বিধায়কদের কথার গুরুত্ব দিয়ে কাজ করলে এ যাত্রাতেও মা মাটি মানুষের সরকার টিকে থাকলেও থাকতে পারে বলে সাধারণ।দুয়ারে সরকার,দিদিকে বলো,মমতা আমাদের গর্ব এবং সর্বশেষ বঙ্গধ্বনি সব কিছুই ঠিক মত চললেও ঠিকমত চলছেনা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্যমন্ত্রী সুলভ বক্তব্য।সাধারণ মানুষ এসব নিয়েই আলোচনায় মগ্ন এই কদিন থেকে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *