শীতের হাত ধরে কালিয়াগঞ্জ শহরে জাকিয়ে বসেছে প্রেমচরনের ভাকা,পিঠে ও পুলির সম্ভার
1 min readশীতের হাত ধরে কালিয়াগঞ্জ শহরে জাকিয়ে বসেছে প্রেমচরনের ভাকা,পিঠে ও পুলির সম্ভার
তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ,২৭ নভেম্বর:উত্তর এর হাওয়ার হাত ধরে উত্তরবঙ্গের উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ শহরের মহেন্দ্রগঞ্জ বাজারের রাস্তার ধারে প্রেমচরনের ভাখার সাথে পিঠে পুলির ব্যাপক সম্ভারে আকৃষ্ট করেছে আট থেকে আশি বছরের মানুষদের।গত পাঁচ বছর ধরে কালিয়াগঞ্জের শেঠ কলোনীর পূর্ব আখানগরের প্রেমচরন এবং তার স্ত্রী প্রতিমা দেবী শীতের বিকেলে প্রতিদিন সবার সামনেই চাহিদা মত তৈরি করে দিচ্ছে ভাখা,পাটি সাপ্টা,পুলি,দুধ পুলি,মালপোয়া,গোকুল পিঠা।
প্রেমচরন বর্মন বলেন শীতের এই মরশুমে প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত শীতের মুখরোচক খাবার তৈরি করে থাকে তার স্বামী স্ত্রী।তিনি বলেন প্রতিদিন তিনি ও তার স্ত্রী প্রতিমা দুজনে মিলে ২৫কেজি চালের গুঁড়া দিয়ে এই সব তৈরি করে থাকে।প্রেম চরণ বর্মন বলেন প্রতিদিন ভাখা বানাতে লাগে চালের গুঁড়া,৫কেজি গুড়,১০টি নারকেল।প্রতিদিন তার মোট বিক্রি হয় ২৫০০-৩০০০হাজার টাকা।এর থেকে লাভ হয় প্রতিদিন ৭০০-৯০০টাকার মত।আমাদের গরিব মানুষদের খুব ভালো ভাবেই চলে যায়।প্রেম চরনের স্ত্রী প্রতিমা দেবী বলেন একদম সুস্বাদু নির্ভেজাল খাবার তৈরী করতে আমাদের প্রাথমিক সামগ্রী তৈরী করতে প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়।সেই পরিশ্রম অনুসারে পয়সা নেই।যেমন একটা ভাখার দাম মাত্র পাঁচ টাকা,একটা পাটি সাপ্টার দাম ১০ টাকা।আমরা যেটুকু জিনিষ বাজারে আনি তা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই বিক্রি হয়ে যায়।পরিবারে মোট ৬ জন সদস্য নিয়ে কোন রকমে চলে যায় ঠাকুরের আশীর্বাদে।প্রেম চরণ বলেন পুঁজি বেশি থাকলে আরো বেশি আয় করা যেত।কিন্তূ আমাদের পুঁজির বড় অভাব।এই সমস্ত ব্যবসায় আমাদের ব্যাঙ্ক থেকে কোন ঋণের ব্যবস্থা নেই।সরকার থেকে আমাদের যদি সামান্য ঋণের ব্যবস্থা করে দিত তাহলে আমাদের কোন অসুবিধাই থাকতো না বলে আক্ষেপ করেন প্রেমচরণ বর্মন।প্রেম চরনের দোকানের ভাখার ক্রেতা অরিন্দম সরকার বলেন কালিয়াগঞ্জের মহেন্দ্রগঞ্জের প্রেমচরনের ভাখা ও পিঠে পুলির দোকানের নাম এখন সবার মুখে মুখে।ওর দোকানের জিনিসের স্বাধের কোন তুলনা হয়না।মনে হয় বাড়িতেই আমরা বানিয়েছি।সন্ময় চ্যাটার্জি বললেন একটু ঠান্ডা পড়লেই প্রেমচরনের কথা মনে পড়ে যায়।সন্ধ্যায় মহেন্দ্রগঞ্জে ওর দোকানে না গেলে মন মানেনা একদম।