কালিয়াগঞ্জের মহেন্দ্রগঞ্জ বাজার যেন নরকজন্ত্রনার আতুর ঘর,বাজার কমিটির নেই কোন হেলদোল
1 min readকালিয়াগঞ্জের মহেন্দ্রগঞ্জ বাজার যেন নরকজন্ত্রনার আতুর ঘর,বাজার কমিটির নেই কোন হেলদোল
তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ,২৫,নভেম্বর:একদিকে করোনা আবার অন্যদিকে ডেঙ্গু থেকে সতর্ক হবার জন্য কালিয়াগঞ্জ পৌর সভা অনবরত প্রচার চালালেও যেন সর্ষের মধ্যেই ভুত বিরাজ করছে।কালিয়াগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্র মহেন্দ্রগঞ্জ বাজারের মধ্যে প্রকাশ্য রাস্তার পাশের যত রকমের আবর্জনার স্তূপাকৃতি পরে থাকলেও মহেন্দ্রগঞ্জ বাজার কমিটির এ ব্যাপারে নেই কোন রকম হেলদোল আবর্জনারস্তূপকে কেন্দ্র করে।মহেন্দ্রগঞ্জ বাজারে আসা ক্রেতারা বলছেন বাজারের উন্নয়নের জন্য প্রাক্তন রায়গঞ্জের সাংসদ মঃ সেলিম বাজারের ভেতরের সর্বত্র পাকা রাস্তা করে দিয়েছেন তার সাংসদ কোটার টাকায়।যদিও বছর দুই যেতে না যেতেই পাকা রাস্তার হাল অনেকটাই বেহালের রূপ সামনে চলে এসেছে। অথচ বাজারের হাল ফিরিয়ে দেবার ব্যবস্থ্যা করে দিলেও বর্তমান মহেন্দ্রগঞ্জ বাজার কমিটি এসব দেখেও না দেখার ভান করে থাকে বলে সাধারণ মানুষের বক্তব্য থেকে জানা যায়।
অন্যদিকে মহেন্দ্রগঞ্জ বাজারে কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার পক্ষ থেকে বাজারের ভেতরে হাইমাস্ক আলোর ব্যবস্থ্যা করে দিয়েছে যাতে মহেন্দ্রগঞ্জ বাজারটি সবসময়ের জন্য বাজার কমিটি রাখে।কিন্তূ বাজারের উন্নয়নে সবাই এগিয়ে এলেও বাজারের উন্নয়ন এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন যাদের উপর বর্তায় তাদের এসব ব্যাপারে কোন রকম নজর নেই বাজারে আসা সাধারণ মানুষের অভিযোগ।কালিয়াগঞ্জ মহেন্দ্রগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক প্রকাশ কুন্ডুকে মহেন্দ্রগঞ্জ বাজারের এই হাল সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন করোনা আবহে বাজারের দোকানদারদের সবসময় বাজারের ভেতরে পরিষ্কার রাখবার জন্য আবেদন করা হলেও তারা এসব ব্যাপারে কোন কর্ণপাত করেন না।অবিলম্বে যাতে বাজারের ভেতর থেকে এই আবর্জনার স্তুপ সরিয়ে দেবার ব্যবস্থা করা যায় সেদিকে অবশ্যই আমরা নজর দেব বলে জানান।মহেন্দ্রগঞ্জ বাজারের এই হাল সম্পর্কে কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার পৌর প্রসাশক।কার্তিক চন্দ্র পালকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন সরকার থেকে সব কিছু করে দেবার পরও যদি আমরা নিজেরাই সচেতন না হই তাহলে কে আমাদের সচেতন করে দেবে?আমরা যারা সমাজের বিভিন্ন দায়িত্ব নিয়ে কাজ করি প্রথমে আমাদেরকেই সেই দায় দায়িত্ব সম্পর্কে অবহিত হতে হবে।আমরা তা অনেক ক্ষেত্রেই হই না।এতবড় করোনার আতঙ্ক নিয়ে আমরা চলছি।এরপরেও ডেঙ্গুর মত রোগ প্রতিনিয়ত আমাদের কুরে কুরে খাচ্ছে।অথচ আমরা নিজেরাই সচেতন হতে পারিনি।এটা অত্যন্ত দুঃখের ঘটনা বলে তিনি জানান।আমরা যদি নিজেরাই আমাদের দায়িত্ব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল না হই তাহলে সরকারি প্রসাশনের উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকলে যা হবার তাই মহেন্দ্রগঞ্জ বাজারে হয়ে আসছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।