October 28, 2024

এবার কালিয়াগঞ্জ বাড়ি বাড়ি ডাস্টবিন । সৌজন্যে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা। অনুপ্রেরণায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।

1 min read

এবার কালিয়াগঞ্জ বাড়ি বাড়ি ডাস্টবিন । সৌজন্যে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা। অনুপ্রেরণায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।

তনময় চক্রবর্তী এবার বাড়ি বাড়ি ডাস্টবিন দিল কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা।কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার উদ্যোগে আজ থেকে শুরু হয়ে গেল বসতবাড়ির বর্জ্য পদার্থ পৃথকীকরণ করতে নয়া উদ্যোগ। দেওয়া হচ্ছে প্রতিটি নাগরিকের বাড়িতে দুটি করে ডাস্টবিন। যে ডাস্টবিনে বাড়ির পচনশীল বর্জ্য পদার্থ ও অপচনশীল বর্জ্য পদার্থ গুলো এক জায়গায় রেখে দিতে পারবে বাড়ির মানুষরা । তারপর সেই বর্জ্য পদার্থ গুলো নিয়ে যাবে পৌরসভার সাফাইবাহীনিরা।

এরপর সেই বর্জ্য পদার্থ গুলো থেকে অভিনব উপায়ে তৈরি হবে উন্নতমানের সার। এই উপলক্ষে আজ কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা অফিস থেকে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে ইকো ডাস্টবিন প্রদান করা হয়। আজ শহরের নাগরিকদের কাছে এই ইকো ডাস্টবিন সামগ্রী তুলে দেন কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসক কার্তিক চন্দ্র পাল।

এক সাক্ষাৎকারে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসক কার্তিক চন্দ্র পাল বলেন , মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় এবং পৌর ও নগরায়ন দফতরের সহযোগিতায় রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে সমগ্র পৌর শহরে পৌরসভার মাধ্যমে ডাস্টবিন বাড়ি বাড়ি দিয়ে শহরে কে পরিবেশ দূষণের হাত থেকে রক্ষা করতে অভিনব উপায় । সেই লক্ষ্যে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা আজ থেকে ডাস্টবিন বিতরণ শুরু করে দিলো শহরজুড়ে বাড়ি বাড়ি।

প্রশাসক বলেন রাজ্য নগর উন্নয়ন দপ্তরের সহযোগিতায় স্টেট আরবান ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি সূডা  তারা বালতি গুলো সরবরাহ করেছে পৌরসভায়। যা আজ থেকেই শুরু হয়ে গেল শহরের নাগরিকদের জন্য বিলি বন্টন এর কাজ।প্রশাসক বলেন কালিয়াগঞ্জে প্রায় ত্রিশ হাজার পরিবার রয়েছে। তার মধ্যে প্রথম ধাপে বারো হাজার পরিবারগুলোর জন্য প্রথমে বালতি পেয়েছে পৌরসভা চব্বিশ হাজার। তিনি বলেন প্রতিটি বাড়িতে পৌরসভার পক্ষ থেকে এই ইকো বালতি অর্থাৎ ডাস্টবিন দেয়া হবে দুটি করে। একটা পচনশীল রাখার জন্য আরেকটি অপচনশীল রাখার জন্য।

তিনি বলেন পচনশীল যে ডাস্টবিনে থাকবে সেটিকে তারা আলাদা করে ফেলার ব্যবস্থা করবে। আর যেটি অপচনশীল থাকবে সেটি কেউ আলাদা করে ফেলার ব্যবস্থা করা হবে। এরপর যেখানে এই বর্জ্য পদার্থগুলো ফেলা হবে সেখানে প্রক্রিয়াজাত ন করে তার থেকে কোন রাসায়নিক সার তৈরি করে সেখান থেকে কিছু আয় করা হবে বলে তিনি বলেন। আর এই নির্দেশ সরাসরি রাজ্য সরকারের। প্রশাসক বলেন এতদিন যে অফ বৈজ্ঞানিক উপায় বাড়ির বর্জ্য পদার্থ সংগ্রহ করা হতো এখন তা পুরোপুরি বন্ধ করে বৈজ্ঞানিক উপায় তা সংগ্রহ করা হবে এবং সেই বর্জ্য পদার্থগুলো কে প্রক্রিয়াজাত করে তার থেকে রাসায়নিক সার তৈরি করা হবে। প্রশাসক কার্তিক চন্দ্র পাল বলেন এই সমস্ত বিষয় গুলো নিয়ে ইতিমধ্যে ডিপিআর তৈরি করছে রাজ্য সরকার। তিনি বলেন পরিবেশ দূষণের হাত থেকে রক্ষা পেতে এই অভিনব উপায়ে বাড়ি বাড়ি থেকে বৈজ্ঞানিক উপায় বর্জ্য পদার্থ সংগ্রহ কাজ শুরু হতে চলছে শহর জুড়ে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *