ফের দলকে নিশানা শুভেন্দুর,কে আটকাবে আমাদের!
1 min readফের দলকে নিশানা শুভেন্দুর,কে আটকাবে আমাদের!
কিছুতেই শুভেন্দু অধিকারীকে সামলাতে পারছেন না তৃণমূল নেতৃত্ব। প্রতিদিনই নাম না করে তৃণমূল নেতৃত্বকে নিশানা করছেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী তথা নন্দীগ্রাম আন্দোলনের প্রধান কান্ডারী শুভেন্দু অধিকারী। কালীপুজোর আগের দিন ভূত চতুর্দশীতে নন্দীগ্রামে একটি পুজোর উদ্বোধন করে শুভেন্দু ফের সরব হলেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শুভেন্দু বলেন,” আমাদের আটকানোর ক্ষমতা কারোর নেই। কে আটকাবে? আপনাদের পাশে ছিলাম, আছি, থাকব”।এরপরে তৃণমূলের এক যুবনেতা তথা দলের সাংসদকে নাম না করে কটাক্ষ করেন তিনি। শুভেন্দু বলেন,” নিজে যাকে বড় বলে বড় সেই নয়। লোকে যাকে বড় বলে বড় সেই হয়”।
এরপরই তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে চরৈবেতি, চরৈবেতি । অর্থাত্ এগিয়ে চলো, এগিয়ে চলো। নন্দীগ্রামে পুজো উদ্বোধন করে শুভেন্দু রওনা দেন বাঁকুড়ার উদ্দেশ্যে। সেখানে আজ তিনটি কালীপুজোর উদ্বোধন করার কথা রয়েছে তাঁর।বৃহস্পতিবার রাতেই শুভেন্দুর বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন তৃণমূলের ভোট ম্যানেজার প্রশান্ত কিশোর। শুভেন্দুকে দলের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনতে তৃণমূল চেষ্টার যে কোনো কসুর করছে না তা প্রশান্তর এই পদক্ষেপে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। কিন্তু শুভেন্দু বাড়ি না থাকায় তাঁর সঙ্গে প্রশান্তের কথা হয়নি। যদি একটি সূত্রে জানা গিয়েছে প্রশান্ত নাকি শুভেন্দুর সঙ্গে টেলিফোনে অল্প কিছুক্ষণ কথা বলেছেন।কাল রাতে তাই শুভেন্দুর বাবা শিশির অধিকারীর সঙ্গে কথা বলেই কলকাতা ফিরে আসেন প্রশান্ত। আর শুক্রবার দলের তরফে শিশিরবাবুকে নির্দেশ দেওয়া হয় তিনি যেন শুভেন্দুকে পরিষ্কার ভাবে বুঝিয়ে দেন দলীয় শৃঙ্খলা না মানলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে দল। এমনকি ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি যাতে শিশির অধিকারী নিজেই কার্যকর করেন সেই বার্তাও দেওয়া হয়েছে বলে একটি সূত্রে জানা গিয়েছে। যদিও শিশির অধিকারী এমন ধরনের সতর্কবার্তার কথা পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছেন।আর সব কিছু শোনার পরেও শুভেন্দু যে নিজেকে এত টুকু বদলাননি তা ফের বোঝা গেল নন্দীগ্রামে তাঁর বক্তব্যে। শুভেন্দু ওই যুবনেতাকে নিশানা করে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, বড় নেতা তিনিই হন যার জনসংযোগ থাকে। যিনি তৃণমূল স্তর থেকে উঠে এসেছেন আন্দোলন করে। তাই শুভেন্দুকে বলতে শোনা গিয়েছে লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়। আর সেই সঙ্গে বলেছেন আমাদের আটকানোর ক্ষমতা কারোর নেই। সব মিলিয়ে শুভেন্দু যে প্রবলভাবে আছেন শুভেন্দুতেই, তা ফের বোঝা গেল নন্দীগ্রামে তাঁর বক্তব্যে এহেন বক্তব্যে।