৪০০ বছরের পুরোনো কালি পূজা প্রস্তুতি
1 min read৪০০ বছরের পুরোনো কালি পূজা প্রস্তুতি
প্রদীপ সিনহা উওর দিনাজপুর জেলা করণদিঘী ব্লকের টুঙ্গিদিঘী ডুমরাডাঙ্গি গ্ৰামে রাজার আমলের ৪০০ বছর পুরোণা কালি পূজার প্রস্তুতির কাজ চলছে। স্বপ্নাদেশে রাজার আমলের এই পূজা বর্তমানে ডুমরাডাঙ্গি গ্রাম বাসীরা করছেন। সুশীল সিংহের বাড়িতেই তৈরি করা হয় প্রতিমা। সুশীল সিংহ জানান বিহারের পূর্নিয়ার জমিদার রাজা পৃথ্বীরাজ চাদ তিনি করতেন। জমিদারের এই কালি পূজার পূজারি ছিলেন মুনজির।
জানা যায় জমিদার আমলে মা কালীর পূজা হত কলার পাতায় এবং পূজারি মুনজির নিজের রক্ত দিয়ে পূজা করতেন। চন্ডিপাঠের পর মহিষবলি ও ভেড়া বলি দেওয়া হতো। এছাড়াও ১০১ টি পাঠা বলি দেওয়া হতো। সাতটি গ্ৰামের লোকজন মধ্যে মিষ্টি নাড়ু প্রসাদ বিতরণ হতো। জমিদার আমলে লোকজন কম ছিলো। জমিদার রাজা পৃথ্বী চাদ খুব কাছের লোক ছিলেন সুশীল সিংহের দাদু লালকেশর সিংহ। রাজার সাথেই থাকতেন একজন সুনামধন্য বিচারক ।
জমিদারের হাত ধরেই কালি পূজা ধুম ধাম করেই হতো। লালকেশর ও রাজা মারা যাওয়ার পড়ে জামাই কাটুলাল সিংহ পূজা করতে শুরু করেন। তবে এই কালি পুজায় জমিদার রাজা পৃথ্বী চাদ মৃত্যুর পড়ে তারা সবাই ছেড়ে চলে যায়। আগে রাজার বংশের লোকজন আসতেন তবে এখন আর কেউ আসেন না। সুশীল সিংহ জানিয়েছেন ডুমরাডাঙ্গি গ্রামবাসীদের সাথে নিয়ে ৫০ বছর ধরে ধুম ধাম করেই পূজা করেন সকলেই। ডুমরাডাঙ্গি গ্ৰামে মা কালীর পূজা দিতে বাইরে থেকে প্রচুর ভক্ত আসেন। সারারাত জেগে গোটা গ্ৰামের লোকজন পূজা করেন এবং পরের দিন সকাল বেলায় মায়ের বিসর্জন দেওয়া হয়। সুশীল সিংহ বলেন মা কালীর নামেই ৪০ বিঘা জমি রয়েছে। বিসর্জনের সময় গোটা গ্ৰামে ঘোরানো হয় প্রতীমা। প্রায় ১ কিলোমিটার ধান ক্ষেতের মধ্যে দিয়ে প্রতিমা বিসর্জন জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। গ্রামবাসীরা বলেন প্রচুর লোকজন আসেন ধান ক্ষেতের মধ্যে দিয়ে কিন্তু তাদের যাতায়াতের ফলে ধানের তেমন ক্ষতি হয় না । যে কোনো ফসল ভালো হয় সেই জমিতে যেখান দিয়ে মা কালীর প্রতিমা বিসর্জনের জন্য নিয়ে যায়। করোণা ভাইরাস জেরে এবছর কিছুটা যাতে ভক্তদের নিয়ত্রণ কমানো যায় সুশীল সিংহ সহ গ্রামবাসীরা জানান। পূজার রাত থেকেই করণদিঘী পুলিশ প্রশাসন আধিকারিকরা উপস্থিত থাকেন।