রায়গঞ্জে রক্ত সংকটে রক্তদান কর্মসূচি পালিত হলো প্রজাপিতা ব্রহ্মকুমারি ঈশ্বরীয় বিশ্ববিদ্যালয়ার উদ্দোগে
1 min readরায়গঞ্জে রক্ত সংকটে রক্তদান কর্মসূচি পালিত হলো প্রজাপিতা ব্রহ্মকুমারি ঈশ্বরীয় বিশ্ববিদ্যালয়ার উদ্দোগে
জয়ন্ত বোস,কালিয়াগঞ্জ।করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এবং আতঙ্কের মাঝে যখন রাজ্যের সাথে উঃ দিনাজপুরের সকল স্তরের মানুষ কার্যত দিশেহারা ঠিক এমন পরিস্থিতির মাঝে রক্তের বড় সংকট দেখা দিয়েছে উঃ দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ ব্লাড ব্যাংকে। একজন মূমূর্ষ রুগীর বেঁচে থাকার প্রয়োজনে রক্ত আবশ্যিক তা ঠারে ঠারে টের পান মূমূর্ষ রুগীর আত্মীয় স্বজনেরা।
দিকভ্রান্ত হয়ে পাগলের মতো ছুটতে থাকেন তাদের আপনজন কে বাঁচানোর আপ্রান প্রয়াসে এক ইউনিট রক্ত জোগাড়ে। রক্ত তৈরীর কারখানা তো মানুষের শরীরে, মানুষের শরীরে তৈরী রক্ত বাঁচিয়ে তুলে একজন মূমূর্ষ রুগীকে। তাই রক্তদান শিবির, রক্তদান কর্মসূচি প্রতিটি মানুষের মানবিক প্রচেষ্টায় সমাজের এক মূল্যবান কর্তব্য ও দায়িত্বে একে অপরের জন্য এগিয়ে আসার এক সেতু। আর এই সেতু বর্তমান পরিস্থিতিতে রক্ত সংকটের আকালে ব্লাড ব্যাংক কে সচল রাখতে এগিয়ে এলো উঃ দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের প্রজাপতি ব্রহ্মকুমারি ঈশ্বরীয় বিশ্ববিদ্যালয়া সংগঠন।
আজ ১৯ সেপ্টেম্বর শনিবারে রায়গঞ্জ মোহনবাটী এলাকায় মারোয়াড়ী ভবনে উক্ত সংগঠনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো রক্তদান শিবির। সকাল ১০.৩০ মিনিটে সংগঠনের কর্তাব্যক্তিদের মাঝে এসে রক্তদান শিবির উদ্বোধন করেন রায়গঞ্জ পৌরসভার পৌরপতি সন্দ্বীপ বিশ্বাস। উক্ত রক্তদান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন উত্তর দিনাজপুর জেলার রক্তদান আন্দোলনের অগ্রনী ব্যক্তি ,
বিশিষ্ট সমাজসেবী সুব্রত সরকার , রায়গঞ্জ মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের জেনারেল সেক্রেটারি অতনু বন্ধু লাহিড়ী সহ বিশিষ্টজনেরা।
রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকের সহযোগিতায় আজকের রক্তদান শিবিরে উদ্দ্যোক্তা সংগঠনের সদস্যরা এগিয়ে এসে ৬৮ ইউনিট রক্তদান করেছেন। বর্তমানের করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ছোবল কে উপেক্ষা করে যেভাবে আজকের রক্তদান শিবিরে সকলেই সামাজিক বিধি নিয়ম মেনে রক্তদান করতে এগিয়ে এলেন সেই দায়িত্ব ও কর্তব্য সমাজের কাছে যেমন ভাবে প্রশংসা কুড়িয়েছে তেমনি মূমূর্ষ রুগীকে বাঁচাতে এই মুহূর্তে রক্ত সংকটের কিছুটা পূরন হয়েছে বলে অনেকেই সাধুবাদ জানিয়েছেন রায়গঞ্জের এই উদ্যোগ সংগঠনকে। আগামী দিনে সকলের ঐকান্তিক মানবিক প্রচেষ্টায় জেলার বিভিন্ন প্রান্তে আরো বেশি করে এমন রক্তদান কর্মসূচি ও রক্তদান শিবির গড়ে উঠুক যা দৈনন্দিন মূমূর্ষ রুগীকে বাঁচিয়ে তুলতে পারে।