লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে নজরকাড়া কেন্দ্র রায়গঞ্জ
1 min read
তন্ময় চক্রবত্তী ঃ লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে নজরকাড়া কেন্দ্র রায়গঞ্জ। একদিকে সিপিআইএমের মোহাম্মদ সেলিম উল্টোদিকে কংগ্রেসের দীপা দাশমুন্সি। লড়াই জমিয়ে দিয়েছেন কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে আসা কানাইলাল আগারওয়াল আর বিজেপির দেবশ্রী চৌধুরী। সামান্য ভোটের ব্যবধানে এই আসনে হিসাব উলটপালট করে দিতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সীমান্ত লাগোয়া উত্তর দিনাজপুর রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে অন্যতম ।দ্বিতীয় দফা অর্থাৎ 18 এপ্রিল এখানে ভোট ।এবার লোকসভা নির্বাচনে বামফ্রন্ট ও আগেরবারের মতই কংগ্রেস প্রার্থী মোঃ সেলিম ও দীপা দাশমুন্সি কে টিকিট দিলেও বিজেপি শিবিরে নতুন মুখ দেবশ্রী চৌধুরী ।
অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস ২০১৬ সালে বিধানসভা ভোটে ইসলামপুরের কংগ্রেসের জয়ী কানাইয়া লাল আগরওয়াল উপরে ভরসা রেখেছেন। ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে রায়গঞ্জে খুব কম ব্যবধানে দখল রাখে বামফ্রন্ট।
মাত্র ১৬৩৪ টি ফোটে দীপা দাশমুন্সি কে হারান মোহাম্মদ সেলিম। উল্লেখযোগ্যভাবে দুই লক্ষের বেশি ভোট পেয়েছিলেন তৃণমূল ও বিজেপি ।শতকরা হিসাব ধরলে বামেরা পেয়েছিল ২৯ শতাংশ ভোট। কংগ্রেস পেয়েছিল ২৮.৫ শতাংশ ভোট। বিজেপি পেয়েছিল ১৮.৩২ শতাংশ ভোট এবং তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছিল ১৭.৩৯ শতাংশ ভোট।
রাজ্যজুড়ে জোড়া ফুলের ঝড়ে ও উত্তর বঙ্গের এই কেন্দ্রে কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের দাপট দেখা দেয়। ২০১৬ সালে বিধানসভা ভোটে ইসলামপুর, কালিয়াগঞ্জ, রায়গঞ্জ কংগ্রেস দলে রাখে। গোয়ালপোখর ও করণদিঘি জেতে তৃণমূল কংগ্রেস।
চাকুলিয়া ফরওয়ার্ড ব্লক ও হেমতাবাদ দখল করে সিপিআইএম ।দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের উপর বিশ্বাস রেখে রায়গঞ্জ বাসী আবারো তাকে ফিরিয়ে আনবেন বলে আশাবাদী কংগ্রেস প্রার্থী দীপা দাশমুন্সি।
তবে রায়গঞ্জের লড়াই টা একমুখী বলে মনে করেন সিপিএম প্রার্থী মোঃ সেলিম। টাকা দিয়ে প্রার্থী ,ভোট কেনাবেচা করে কাজে আসবে না বলে মন্তব্য করেন গতবারের বিজয়ী সিপিআইএমের মোহাম্মদ সেলিম।
অন্যদিকে উন্নয়নের প্রশ্নে এই কেন্দ্রে তৃণমূলকেই মানুষ বেছে নেবেন বলে নিশ্চিত দলের সাংগঠনিক নেতা তথা তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কানাইলাল আগরওয়াল। এই কেন্দ্রে ডার্ক হর্স হিসেবে অনেকে আবার বিজেপি কেই দেখছেন।
সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল গড়ে তুলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে ভোট চাইছেন বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী।
পরিস্থিতি এমনই যে রায়গঞ্জ কেন্দ্র নিয়ে বাজি ধরে কেউ নিশ্চিত থাকতে পারছে না। সামান্য কিছু ভোটেও শেষ মুহূর্তে বদলে দিতে পারে এই কেন্দ্রের রং।