October 27, 2024

অখ্যাত গ্রামের ছেলেমেয়েদের খেলা ধুলায় পথ দেখতে সাই প্রশিক্ষিত পবিত্র বর্মনের নিরলস প্রয়াস

1 min read

অখ্যাত গ্রামের ছেলেমেয়েদের খেলা ধুলায় পথ দেখতে সাই প্রশিক্ষিত পবিত্র বর্মনের নিরলস প্রয়াস

তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ,৩,সেপ্টেম্বর:উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের গ্রাম্য পরিবেশ বাঘন বটতলিতে সাই প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত পবিত্র বর্মন বাঘন স্পোর্টস একাডেমি কোচিং সেন্টার প্রতিষ্ঠা করে অখ্যাত গ্রামের দুস্থ্য পরিবারের ছেলেমেয়েদের খেলা ধুলায় উৎসাহ জোগাতে নিরলস নীরবে কাজ করে চলেছে। পবিত্র জানায় সে এই গ্রামের ছেলে হয়ে সাই থেকে প্রশিক্ষন নিয়ে যদি এই গ্রামের ছেলেমেয়েদের জন্য যদি কিছু না করতে পারে তাহলে তার প্রশিক্ষণ নেবার কোন যুক্তি নেই।তাই পবিত্র ও মজনু আলী দুজন সবার সহ যোগীতা নিয়ে বাঘন স্পোর্টস একাডেমি কোচিং সেন্টার গড়ে সেখানে ফুটবল,এথে লেটিক্স এর প্রশিক্ষণ শুরু করে দেয়।

 

শুধু তাই নয় এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বিএস এফ,আর্মি,কলকাতা পুলিশের চাকরীর জন্য মাঠ পাশের প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে বলে পবিত্র বর্মন জানান।পবিত্র বর্মন বলেন প্রথমে তাদের এই বাঘন স্পোর্টস একাডেমি কোচিং ক্যাম্পকে কেউ কেউ গুরুত্ব না দিলেও দিন যত যাচ্ছে তাদের একাডেমির গুরুত্ব ততই বেড়ে চলেছে বলে পবিত্র বর্মন জানান।পবিত্র বর্মন জানান বর্তমানে তাদের একাডেমিতে ৪৫,জন ছেলে মেয়েদের নিয়মিত ফুটবল ও এথেলেটিক্স দুটি বিভাগেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।পবিত্র বর্মন বলেন বাঘন স্পোর্টস একাডেমির ছেলেমেয়েদের আজ পর্যন্ত ড্রেস জোগাড় করতে পারা যায়নি।তবে বাঘন কালিতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শুভ প্রকাশ মন্ডলের ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় খেলাধুলার পর ছেলেনেয়েদের টিফিনের ব্যবস্থা করে থাকেন।ভান্ডার গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বলেছেন গ্রামের ছেলেমেয়েদের খেলাধুলার উন্নয়নের স্বার্থে তিনি খেলার মাঠকে উপযুক্ত করে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন বলে পবিত্র বর্মন বলেন।পবিত্র বর্মন সাই প্রশিক্ষিত প্রশিক্ষক এবং কলকাতার সি আর এর রেফারিও বটে।পবিত্র বর্মন বলেন তিনি জীবনে যা করতে পারেন নি,গ্রামের ছেলেমেয়েদের তৈরী করে সেই স্বপ্ন পূরণ করবে বলে জানায়।সাই প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত পবিত্র বর্মন জানায় সবাই পড়াশোনায় ভালো হয়না।আবার অনেকেই খেলাধুলায় যথেষ্ট ভালো হয়।পবিত্র বর্মন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন ক্রীড়া ক্ষেত্রে যারা ভালো তাদের চাকরির জন্য সরকার থেকে একটা কোটা করে দেওয়া উচিৎ বলে তিনি মনে করেন।চাকরী ক্ষেত্রে কোটা করে দিলে খেলা ধুলায় অনেকটাই উৎসাহ বাড়বে যুবক যুবতীদের মধ্যে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *