পুজোয় এবার থিম জীবনের জয়
1 min readপুজোয় এবার থিম জীবনের জয়
করোনার তাণ্ডবের আঁচ থেকে বাদ নেই বাঙালির সবথেকে বড় উত্সবও। আশা-আশঙ্কার দোলাচলের মধ্যেই শহরের ছোট-বড় দুর্গাপুজো উদ্যোক্তারা নিউ নর্মাল পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে শারদোত্সবের পরিকল্পনায় ব্যস্ত। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শহরের পুজো উদ্যোক্তারা থিমের ভাবনা করছেন। ‘ পরিবেশের বিষণ্ণতা কাটিয়ে জীবনযুদ্ধে জয়ের উত্সব’-এর বার্তা রয়েছে শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণের পুজোর থিমে।মুদিয়ালি ক্লাবের পুজোর থিমে বিষণ্ণতা সরিয়ে জীবনের জয়গান। মণ্ডপ পরিকল্পনায় গৌরাঙ্গ কুইলা। ক্লাবের সম্পাদক অশোক দে জানালেন, ‘৮৬ বছর পূর্ণ হচ্ছে পুজোর। জাঁকজমক কমলেও প্যান্ডেল একই থাকবে।
অঞ্জলি, সন্ধিপুজো, কুমারী পুজো হবে। বাজেট কমলেও স্যানিটাইজিং টানেলের জন্য খরচ বেশি হচ্ছে। মণ্ডপে মাস্ক মাস্ট।’দক্ষিণ কলকাতার জনপ্রিয় পুজো বোসপুকুর শীতলা মন্দিরের থিমেও করোনাসুর বধ করে মানুষের জীবনের জয়গান। পুজো কমিটির সম্পাদক তথা ফোরাম ফর দুর্গোত্সব-এর সভাপতি কাজল সরকার জানালেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুজো হবে। ৭১ বছরে আমাদের পুজো। পরিকল্পনায় গোবিন্দ গিরি।’ করোনায় সব পেশার মানুষই কর্মহীন হয়েছেন। করোনাকে হারিয়ে শ্রমজীবী মানুষের যুদ্ধজয়ের বার্তা হরিদেবপুরের বিবেকানন্দ স্পোর্টিং ক্লাব মণ্ডপে। ক্লাবের পক্ষ থেকে রঞ্জিত দে জানালেন, ‘৫৫ বছরের পুজো। করোনাকালে গ্রামগঞ্জের হস্তশিল্পীদের পাশে দাঁড়াতেই এই ভাবনা। মণ্ডপ ভাবনায় মানস দাস।’উত্তর কলকাতার বাগবাজার সার্বজনীন দুর্গোত্সব কমিটির পুজোর এবার ১০২ বছর। পুজোর এখনও কিছু সময় রয়েছে প্রস্তুতির। ‘জাঁকজমক নয়, মানুষকে নিয়ে উত্সব, না হলে উত্সবের কোনও জৌলুস থাকে না। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে মানুষ কীভাবে পুজোয় আসতে পারে, সেই ভাবনায় আছি।’ জানালেন কমিটির সাধারণ সম্পাদক গৌতম নিয়োগী। তিনি জানান, ‘এবার অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে পুজো। প্যান্ডেলে আড়ম্বর কমবে। সিঁদুর উত্সব হবে না। কিন্তু মূর্তিতে সাবেকিয়ানা ও ঐতিহ্যের ছোঁয়া থাকবে।’ হাতিবাগান সার্বজনীনের উদ্যোক্তা তথা ফোরাম ফর দুর্গোত্সব-এর সাধারণ সম্পাদক শাশ্বত বসু জানালেন, ‘৮৬ বছরের পুজো। এবার জাঁকজমক কম থাকলেও নান্দনিকতা একই। পুজো ভাবনায়, সঙ্কটময় পরিবেশ সরিয়ে মানুষের জয়। পরিকল্পনায় সঞ্জীব সাহা। মানুষ ছাড়া পুজো হয় না। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে ফোরাম ৮০ জন মৃত্শিল্পীর পাশে দাঁড়াতে চলেছে।’ উত্তর কলকাতার আরও একটি জনপ্রিয় পুজো টালা প্রত্যয়। এবারের ভাবনা ‘লোকহিত’। পরিকল্পনায় শিল্পী সুশান্ত পাল। ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ শুভঙ্কর সাহা জানালেন, ‘পুজোর বার্তা মানুষের হিত। মানুষের মঙ্গল হোক।’