এক নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় চোপড়া থানার চোতরাগছ এলাকায় তীব্র উত্তেজনা
1 min readএক নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় চোপড়া থানার চোতরাগছ এলাকায় তীব্র উত্তেজনা
দেবব্রত চক্রবর্তী ইসলামপুর এক নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় চোপড়া থানার চোতরাগছ এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ঘটনার জেরে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ বিক্ষোভে চোপড়া থানার কালাগছ এলাকা উত্তাল হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি চোপড়া থানার আইসিকে ঘিরে দোষীদের ফাঁসির দাবিতে সরব হয়েছে অবরোধ বিক্ষোভকারিরা। এদিনের অবরোধ বিক্ষোভে মহিলারাও অংশ নিয়েছে। অবরোধ বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে চোপড়া থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। জানা গিয়েছে, এদিন ভোর রাতে চোপড়া থানার সোনাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চোতরাগছ এলাকার নাবালিকা বাসিন্দা মামপি সিংহকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষন করে খুন করার অভিযোগ ওঠে।
ভোর রাতেই জানাজানি হতে নাবালিকাকে চোপড়ার দলুয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া থানার চতুরাগছ এলাকার ঘটনা। মৃত পড়ুয়ার নাম মাম্পি সিংহ। ওই পড়ুয়াকে শনিবার রাতে বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে এসে তারপর তাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। এরপর তাকে খুন করে স্থানীয় একটি চা বাগান সংলগ্ন বটগাছের নিচে দুষ্কৃতীরা ফেলে রেখে চলে যায় বলে অভিযোগ। ঘটনার বিবরণে দাসপাড়া গ্রাম সভা কমিটির কনভেনার অসীম বর্মন জানান , এই ঘটনায় কারা যুক্ত রয়েছে সেই বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে এবং এলাকায় যেখানে মৃতদেহটি পাওয়া গেছে সেখানে দুটি সাইকেল, আধার কার্ড,দুটি ছাতা ও মোবাইল ফোন পাওয়া গেছে। এখান থেকেই পুলিশ তদন্তের কিনারা করতে পারবে বলে মনে করছেন তারা। মৃতর দিদি পুলু দাস জানান, রাত থেকেই তার বোনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। সারারাত এবং সকালবেলা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করার পর সকালে অবশেষে একটি বটগাছের নিচে তার বোনের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাকে গণধর্ষণ করে বিষ খাইয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। এদিন ঘটনার প্রতিবাদে এবং দোষীদের শাস্তির দাবিতে প্রথমে ওই এলাকার রাজ্য সড়ক এবং পরে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় এলাকার বাসিন্দারা।টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ চলাকালীন অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করা না হলে তারা বিক্ষোভ এবং অবরোধ চালিয়ে যাবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন।ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।