October 26, 2024

কালিয়াগঞ্জ ব্লক ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের আতুর ঘর হলেও উন্নয়নে নেই কোন সরকারি উদ্যোগ

1 min read

কালিয়াগঞ্জ ব্লক ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের আতুর ঘর হলেও উন্নয়নে নেই কোন সরকারি উদ্যোগ

তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ,(উত্তর দিনাজপুর),২জুন:উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লককে গ্রামীন ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের আতুর ঘর বলা হলেও তার উন্নয়নে নেই সরকারী কোন উদ্যোগ।গ্রামীন ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পকে স্বনির্ভর করতে কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি একটি প্যাকেজ ঘোষণা করলেও রাজ্য সরকারের এ ব্যাপারে নেই কোন হেলদোল। ।পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলাগুলির মধ্যে কয়েক দশক ধরে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লক গ্রামীন ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের আতুর ঘর বলে পরিচিত।তার কারণ একটি ব্লকে তিন তিনটি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প আছে যা রাজ্যের অনেক জেলায় মেলা ভার।

কালিয়াগঞ্জ ব্লকের মালগাঁযে যেমন কয়েক দশক থেকেই সেখানকার উন্নতমানের কার্পেটের জন্য বিখ্যাত হয়ে আসছে।যে শিল্পে গ্রামের পিছিয়ে পড়া মহিলারা কার্পেটের প্রশিক্ষণ নিয়ে নিয়মিত আয়ের পথ তৈরি।করে নিয়েছে।এলাকায় আরো অনেক মহিলারা আছে যারা কাজ পাবার জন্য চেষ্টা করেও কাজ পায়না সংস্থার আর্থিক সামর্থ না থাকার কারনে।কালিয়াগঞ্জের মহিলাদের তৈরি কার্পেট ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করা হয়। অথচ আর্থিক স্বচ্ছলতা থাকলে কার্পেট সংস্থাটি আরো অনেক মহিলার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারতো।আসলে সীমিত মূলধন থাকায় ইচ্ছা থাকলেও তারা করতে পারছেনা। তেমনি কালিয়াগঞ্জের কুনোর হাট পাড়া ঘরে ঘরে টেরাকোটা কাজের জন্য বিখ্যাত কয়েক দশক ধরে।আজ পর্যন্ত সেখানকার টেরাকোটা শিল্পিদের দাবি কুনোর হাট পাড়ায় একটি ওয়ার্কশপ নির্মাণ করা হলে

সেখানে অনেক যুবক যুবতীরা এই কাজের প্রশিক্ষণ নিয়ে স্বনির্ভর হতে পারতো।কিন্তু কে কার কথা শোনে।অথচ রাজ্য সরকার বার বার ঘোষণা করে যাচ্ছে সরকার থেকে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।কর্মসূচি যদি গ্রহণ করা হয়েই থাকে তাহলে কি সেটা শুধুই কাগজ কলমেই সীমাবদ্ধ? অপর দিকে কালিয়াগঞ্জের বালাস গ্রামের রাজবংশী সমাজের মহিলারা নিজেদের তাগিদে ধকরা শিল্প প্রতিষ্ঠা করেছে।ঘরে ঘরে রাজবংশী সমাজের মহিলারা সংসারের কাজকর্ম সেরে অবসর সময়ে ধকরা বানিয়ে তা থেকে ভালো পয়সার মুখ দেখছে বলে জানা যায়।কিন্তূ নেই কোন রকম পরিকাঠামো।।সরকারি পরিকল্পনার অভাবে এই গ্রামীন ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প গুলি বর্তমানে ধুঁকছে।যাদের সম্ভাবনা ছিল প্রচুর। কালিয়াগঞ্জ ব্লকের গ্রামে গঞ্জে যারা ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের সাথে যুক্ত তাদের বক্তব্য এই মুহূর্তে এই শিল্পগুলিরর উন্নয়নে সরকার দৃষ্টি দিলে কর্মহীন যুবক যুবতীদের প্রশিক্ষনের মধ্য দিয়ে দক্ষ করে তুলতে পারলে কালিয়াগঞ্জ ব্লকেই কমপক্ষে দশ হাজারের যুবক যুবতীদের কর্মসংস্থান সম্ভব হতে পারে।
কালিয়াগঞ্জ ব্লকের মালগাঁও গ্রামের কার্পেট শিল্পের প্রবর্তক আবু তাহের বলেন কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন যে সমস্ত ক্ষুদ্র ও কুটির আর্থিক কারনে ধুকছে তাদের আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে স্বনির্ভর হবার জন্য।সরকার ঘোষণা করলেও আমরা সেই সুযোগগুলি কেন নিতে পারছিনা?সরকারি দপ্তর গুলো কিসের জন্য রাখা হয়েছে?এই মুহূর্তে যদি কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকার আমাদের এই সুযোগ সুবিধা গুলি পাইয়ে দেবার ব্যবস্থা করতো তাহলে আমরা আরো অনেক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারতাম। বর্তমানে শুধু মহিলারাই করছে।আর্থিক মূলধন পাওয়া গেলে এই শিল্পে যুবকদেরও কাজ দেওয়া যেতে পারতো। ভালোভাবে এই কার্পেট শিল্পের উন্নয়ন ঘটাতে পারতাম।ঠিক একই দাবি কুনোর হাট পাড়ার টেরাকোটা মৃৎশিল্পী তথা রাজ্যস্তরে পুরস্কৃত গোপাল রায় এবং বালাস গ্রামের ধকরা শিল্পী খগেন দেবশর্মার।বৃহস্পতিবার এ ব্যাপারে এই প্রতিবেদকের রাজ্য সরকারের উত্তর দিনাজপুর জেলা শিল্প কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার সুনীল সরকারকে কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের উন্নয়নে আর্থিক সাহায্য দেবার কথা বললেও কালিয়াগঞ্জ ব্লকের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পীরা বঞ্চিত হচ্ছে কেন?এই প্রশ্নের উত্তরে জেনারেল ম্যানেজার সুনীল সুনীল সরকার বলেন তিনি খুব শীঘ্রই কালিয়াগঞ্জের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের উন্নয়নে কালিয়াগঞ্জ ব্লকের কুনোর হাটপাড়া গ্রাম এবং বালাস গ্রামে কুটির শিল্পের উন্নয়নের জন্য দুটি সভা করবেন বলে জানান।সেখানে টেরাকোটা ও ধকরা শিল্পের সার্বিক উন্নয়নে বেশ কিছু পরিকল্পনা নেওয়া হবে।যার মাধ্যমে এলাকার যুবক যুবতীরা কর্মসংস্থানের সুযোগ পেতে পারে।জেনারেল ম্যানেজার বলেন কালিয়াগঞ্জ ব্লক সত্যি সত্যিই কুটির শিল্পের আতুর ঘর বলা যায়।
আমি চেষ্টা করছি কি ভাবে সরকারি সুযোগ সুবিধাগুলো এই এলাকার শিল্পীদের উন্নয়নের জন্য দেওয়া যেতে পারে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *