October 25, 2024

ফুটবল খেলার সুবাদে চাকরি পেয়ে অবসর গ্রহণের পরেও রাম ঘোষ ফুটবল কোচিংয়ের নেশায় মশগুল-

1 min read

ফুটবল খেলার সুবাদে চাকরি পেয়ে অবসর গ্রহণের পরেও রাম ঘোষ ফুটবল কোচিংয়ের নেশায় মশগুল-

তপন চক্রবর্তী–কালিয়াগঞ্জ(উত্তর দিনাজপুর)--প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ার সময় থেকেই ছোট্ট রাম ঘোষ কখন কোন সময় যে ফুটবলের প্রেমে পড়েছিলেন রাম ঘোষের কাছেও আজও তা এখনো অজানা। ছোট বেলায় তার একমাত্র ফুটবলই ছিল প্রিয় খেলার সাথী।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গন্ডি পেরিয়ে হাই স্কুলে যাবার পর রামবাবুর ফুটবল খেলার ঝোঁক ক্রমশ বেড়ে যায়।ব্লকের পরিচালনায় ইসলামপুর মাঠে বিদ্যালয়ের হয়ে খেলতে গিয়ে ছাত্র রাম ঘোষের খেলা দেখতে গিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষকের চক্ষুচড়কগাছ হয়ে যায়।বিদ্যালয়ের ছাত্র রাম ঘোষের কর্নার কিক থেকে একটা দর্শনীয় গোল যখন হয় তখন তা দেখে বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রয়াত যতীন ঠাকুর আনন্দে আত্মহারা হয়ে যায়।খেলা শেষে

বিদ্যালয়ের প্রয়াত শিক্ষক প্রয়াত যতীন ঠাকুর তার প্রিয় ছাত্র রাম ঘোষের খেলা দেখে মুগ্ধ হয়ে তাকে একজোড়া বুট উপহার দিয়ে বলেন তুই ফুটবল খেলাকে কখনো অবহেলা করিস না।তোর হবে।তুই একদিন উত্তরবঙ্গের বড় খেলোয়াড় হবি বলে আশীর্বাদ করেন।রামবাবু শিক্ষকের হাত থেকে ফুটবল উপহার ও আশিবাদ পেয়ে বলেন এই পুরস্কার আমার জীবনের সর্বশ্রেষ্ট পুরস্কার।এর পর থেকে তার ফুটবল খেলার প্ৰতি নেশা অনেক মাত্রায়

বেড়ে যায়।পরবর্তীতে রামঘোষ আরো দক্ষতার সাথে খেলতে শুরু করে।পরবর্তীতে রাম ঘোষ শিলিগুড়িতে গিয়ে “বি” ডিভিশনের ফুটবল লীগের খেলার সুযোগ পায়।সেখানে দুই বছর খেলেন।পরবর্তীতে এক বছর “এ” ডিভিশনে খেলার সুযোগ করে নেয় রাম ঘোষ।পরবর্তীতে শিলিগুড়ি স্পোর্টিং ইউনিয়নে দুই বছর বাঘা যতীন ক্লাব এবং মহানন্দা স্পোর্টিং ক্লাবের লীগ খেলার সুযোগ পায় রাম বাবু।এরপর ১৯৭৮ সালে রামচন্দ্র ঘোষ পশ্চিম দিনাজপুর জুনিয়র দলের হয়ে উত্তর ২৪ পরগনার বিরুদ্ধে দারুন খেললেও হাওড়ার কাছে ১–০গোলে তার দল হেরে যায়।পরবর্তীতে রাম ঘোষ পুরা ফর্মে থাকায় রাম ঘোষের দুরন্ত ফুটবল খেলা দেখার সৌভাগ্য হয় উত্তরবঙ্গ তিস্তা প্রকল্পের এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের।ভালো ফুটবল খেলার সুবাদে রাম ঘোষকে তিস্তা প্রকল্পের ইন্জিনিয়ার ডেকে চাকরিতে বহাল করেন। পরবর্তীতে এক বছরের মধ্যেই তা নিয়মিত নিয়মিত হয়ে যায়।রামবাবু বলেন বাবার চায়ের দোকানের উপর খুব কষ্টে আমাদের পরিবার চলতো এক সময়।তিনি বলেন তিনটি বছর ডালখোলায় থাকার সময় আমার দুই ঘনিষ্ট বন্ধু দীপঙ্কর দে এবং রমেশ ভগৎ আমাকে নানাভাবে খেলা ধুলার ক্ষেত্রে সাহায্য করতো।দীপঙ্কর এক সময় আমার সাথে ভালো ফুটবল খেলতো।ও একসময় ভালো ফুটবলার ছিল।যদিও বর্তমানে দীপঙ্কর দে একজন প্রতিষ্ঠিত সাংবাদিক।রাম বাবু বলেন তিনি বাবু দাসমুন্সির কাছ থেকে ফুটবল কোচিং এর প্রশিক্ষণ নেন দীর্ঘ দিন।রামবাবু বলেন তিনি দীর্ঘদিন ফুটবল খেলেছেন কিন্তু বয়স হবার পর সিধান্ত নেন এবার কিছু খেলোয়াড় তৈরি করতে হবে।যারা আমার প্রশিক্ষণ পেয়ে বর্তমান উত্তর দিনাজপুর জেলার সন্মান উর্ধে তুলতে পারবে।তাই বর্তমানে ইসলামপুর তিস্তা কলোনীর মাঠে সম্পুর্ন ব্যক্তিগত উদ্যোগে ২৫-৩০ জন ছেলেমেয়েদের নিয়মিত ফুটবলের প্রশিক্ষন দিয়ে থাকি।যারা ফুটবলের প্রশিক্ষণ নিতে আসে তাদের অনেকেই দরিদ্র পরিবারের ছেলেমেয়ে।এদের প্রশিক্ষণ দিতেও একটা আর্থিক ব্যয় হয়।তাই ইসলামপুরের কোন ক্লাব যদি আমার এই কোচিং ক্যাম্প চালানোর ব্যাপারে সহযোগিতা করতো তাহলে আরো ভালোভাবে কোচিং ক্যাম্পটি চালানো আমার পক্ষে সম্ভব হত।কিন্তু যতই অসুবিধা থাক আমাকে খেলার মাঠে নিয়মিত যেতেই হবে।কারন আমার স্বপ্ন কিছু ভালো ফুটবলার আমাকে তৈরি করে যেতেই হবে।এক প্রশ্নের উত্তরে রাম ঘোষ বলেন তাকে ২০১৮ সালে রায়গঞ্জ টাউন ক্লাবের পক্ষ থেকে বড়সড় একটি সম্বর্ধনা দেওয়ায় রায়গঞ্জ টাউন ক্লাবের সম্পাদক অরিজিৎ ঘোষ সহ ক্লাব কর্তৃপক্ষকে তিনি অভিনন্দন জানান।রায়গঞ্জ টাউন ক্লাবের সম্পাদক তথা উত্তরবঙ্গের বিশিষ্ট ফুটবল খেলোয়াড় অরিজিৎ ঘোষ বলেন ইসলামপুরের ফুটবল খেলোয়াড় রাম ঘোষ একজন দক্ষ ফুটবল খেলোয়াড় ছিলেন।উত্তরবঙ্গের ফুটবল খেলার জগতে রাম ঘোষের নাম সবার মনে থাকবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *