October 25, 2024

বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ শিক্ষা নিজের জীবন গড়ার কাজে না লাগিয়ে পাড়ার ছেলে মেয়েদের ভলিবলে দক্ষ করে তুলতে টিঙ্কু নাগের জুড়ি মেলা ভার

1 min read

বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ শিক্ষা নিজের জীবন গড়ার কাজে না লাগিয়ে পাড়ার ছেলে মেয়েদের ভলিবলে দক্ষ করে তুলতে টিঙ্কু নাগের জুড়ি মেলা ভার

তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ(উত্তর দিনাজপুর),১৪ জুন : বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিকে নিজের জীবন গড়ার কাজে না লাগিয়ে খেলা ধুলাকে প্রাধান্য দিয়ে পাড়ার ছেলে মেয়েদের ভলিবল খেলায় পারদর্শী করে তুলতে যার জুড়ি মেলা ভার তিনি আর কেও নন দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের টিঙ্কু নাগ। বিদ্যালয়ের পড়াশোনার ফাঁকে কোন সময় যে ভলিবলের প্রেমে পরে গিয়েছিল টিঙ্কু নাগ তা আর অতশত তার মনে নেই।বিদ্যালয়ের পড়াশোনা চলাকালীন টিঙ্কু নাগ ২০০১ সালে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হয়ে প্রথম ডাক পায় সাব জুনিয়র অল বেঙ্গল ভলিবল চ্যাম্পিয়নশিপের খেলায়।এর পর ২০০৪ সালে অল বেঙ্গল ভলিবল চ্যাম্পিয়ন শিপের খেলায় চ্যাম্পিয়নের গৌরব অর্জন করে টিঙ্কু নাগ।


মহকুমা ও জেলা ক্রীড়া সংস্থ্যের নির্দেশে বেশ কয়েকবার সিনিয়ার দলের হয়েও খেলার সুযোগ পায় টিঙ্কু।টিঙ্কু নাগ বলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা কোন কারনে জেলাগত ভাবে না যেতে পারলেও পার্শবর্তী জেলা উত্তর দিনাজপুর জেলার হয়ে রাজ্য স্তরের খেলায় অংশগ্রহণের ডাক পেত বলে টিঙ্কু নাগ জানায়।ছেলেদের ভলিবলে কি করে পারদর্শী করে তোলা

যায় রাতদিন সেই নেশাতেই কাজ করে চলেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের ভলিবল কোচ টিঙ্কু নাগ।২০০৭-৮সালে টিঙ্কু নাগ বলেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টার ডিস্ট্রিক্ট কলেজ ভলিবল প্রতিযোগিতায় আমার নেতৃত্বে গঙ্গারামপুর কলেজ চ্যাম্পিয়নের গৌরব অর্জন করে।

পরবর্তীতে কোচ সুবীর ব্রম্মের নেতৃত্বে উত্তর বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে পূর্ব ভারতের দ্বারভাঙা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্য ভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় ভলিবল প্ৰর্তিযোগীতায় প্রতিনিধিত্ব করবার সুযোগ পাই।ভলিবল কোচ টিঙ্কু নাগ বলেন এরপর শুরু হয় ভলিবল প্রশিক্ষনের কাজ।এলাকার প্রতিভাবান ছেলেমেয়েদের নিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের কালিতলায় তরুণ সংঘের মাঠে নিয়মিত ভলিবল প্রশিক্ষনের তালিম দেওয়া শুরু করি।তিনি বলেন নিজের কথা না ভেবে এলাকার ছেলে মেয়েদের মধ্যে থেকে ভালো ভলিবল খেলোয়াড় তৈরী করার আনন্দই আলাদা।টিঙ্কু নাগ বলেন আমি নিজ হাতে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন ভালো ভলিবল খেলোয়াড় তৈরি করতে পেরেছি। যাদের মধ্যে রানা চক্রবর্তী,পুলক পাণ্ডে,দেবা কর্মকার,রানা ঘোষ,পূর্ণ চন্দ্র সেন এবং সুদর্শন চক্রবর্তী এরা বর্তমানে প্রচন্ড ভালো খেলে সুনামের অধিকারী হয়েছে।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর শহরের কালিতলার তরুণ সঙ্ঘের মাঠে কচি কাঁচাদের নিয়ে ভলিবলের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় নিয়মিত।কিন্তু লকডাউনের কারনে ঘর থেকে বের হবার কোন উপায় না থাকায় বেশ কিছুদিন প্রশিক্ষনের কাজ বন্ধ হয়ে আছে।তবে খুব শীঘ্রই আবার প্রশিক্ষনের কাজ শুরু করে দেবার চিন্তা ভাবনা করছি। গ্রামের ছেলে মেয়েদের মধ্যে খেলাধুলার আগ্রহ যথেষ্টই আছে।ওদেরকে শুধু আন্তরিকতার সাথে কোচিং দিলে ওরা সহজেই তা রপ্ত করে নিতে পারে।বর্তমানে তার কাছে ২৫জন ছাত্র ছাত্রী নিয়মিত ভলিবলের প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকে।
টিঙ্কু নাগ বলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও গঙ্গারামপুর মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার নির্দেশে আমি পুরাতন গঙ্গারামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের একমাসের একটি বিশেষ ভলিবলের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি।২০১৬ এবং ২০১৮ সালে আমাকে সিনিয়ার ভলিবলের দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।ভলিবলের কোচ হিসেবে মাঝেমধ্যেই বুনিয়াদপুরের খিদিরপুর ভলিবল স্পোর্টস একাডেমীতে ভলিবল কোচিং ক্যাম্পে গিয়ে পরামর্শ দিয়ে থাকি।সমস্ত রকম খেলা ধুলার ব্যাপারে গঙ্গারামপুর মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক বিভূতি চক্রবর্তী যে ভাবে সবাইকে উৎসাহ দিয়ে থাকে তার ফলে আমরা উনার উৎসাহে যথেষ্ট উৎসাহী হই।ভলিবল কোচ টিঙ্কু নাগ বলেন ভলিবল কোচিং এর ব্যাপারে সি এ বির সদস্য দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের গৌতম গোস্বামীর ভূমিকাও যথেষ্টই উল্লেখযোগ্য।তিনি আমাকে সবসময় সুপরামর্শ দিয়ে সাহায্য করেন।বিভূতি চক্রবর্তী এবং গৌতম গোস্বামী এনারা দুজনেই আমাদের অভিভাবকের কাজ করে থাকে।ভলিবল কোচ টিঙ্কু নাগ বলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় খেলা ধুলার চর্চা প্রতিদিন বেড়েই চলেছে।তাই রাজ্য সরকারের ক্রীড়া দপ্তর যদি এগিয়ে এসে আমাদের সাহায্য করে তাহলে খেলা ধুলার মানচিত্রে দক্ষিণ দিনাজপুর অচিরেই ভালো জায়গা দখল করতে সমর্থ হবে বলেই তার বিশ্বাস।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *