October 25, 2024

সৃষ্টি সুখের উল্লাস এর মধ্য দিয়ে কালিয়াগঞ্জ এর পড়ুয়ারা আফ্রিকান পুতুল তৈরি করে বন্ধুদের উপহার দিবে।

1 min read

সৃষ্টি সুখের উল্লাস এর মধ্য দিয়ে কালিয়াগঞ্জ এর পড়ুয়ারা আফ্রিকান পুতুল তৈরি করে বন্ধুদের উপহার দিবে

পিয়া চক্রবর্তী এবার থেকে বন্ধুর জন্মদিনে আর দোকান থেকে কেনা কোন উপহার দিবে না এখন থেকে বন্ধুর জন্মদিনে তাদের হাতের বানানো আফ্রিকান পুতুলি দিবে বন্ধুকে উপহার।

যা তৈরি করতে এখন ভীষণ ব্যস্ত কালিয়াগঞ্জ এর কয়েকজন খুদে পড়ুয়ারা। তাই সৃষ্টি সুখের উল্লাস এর মধ্য দিয়ে খুদে পড়ুয়ারা নিয়েছে এখন থেকেই স্বনির্ভর হওয়ার অনবদ্য প্রয়াস।

কারো বয়স সাত বছর, কারো আট, কারো আবার দশ। এমন সব কচিকাঁচা পড়ুয়ারা লগ ডাউনে গৃহবন্দির মাঝেই অনবদ্য সৃষ্টি করে চলছে আগামী ভবিষ্যতের জন্য। যা ইতিমধ্যে এইসব খুদে পড়ুয়াদের তৈরি করা

চিত্র ও ভাস্কর্য নজীর সৃষ্টি করে দিয়েছে।তারা যেমন তৈরি করছে সংবাদপত্র দিয়ে আফ্রিকান পুতুল তেমনি নানা ধরনের চিত্র শিল্প তৈরি করে চলছে একের পর এক। খুদে এই পড়ুয়াদের দাবি

আগামী দিনে তারা বন্ধুর জন্মদিনে যেমন উপহার হিসেবে দিবে আফ্রিকান পুতুল নিজের হাতে বানিয়ে তেমনি আগামী দিনে তারা তাদের তৈরি করা আফ্রিকান পুতুল ও বিভিন্ন চিত্র ভাস্কর্য বিভিন্ন শিল্প মেলাতে গিয়ে বিক্রি করে যে আয় করবে সেই দিয়ে নিজেদের পড়াশোনার খরচ চালাবে।

তাই দক্ষ কারিগর এর মতন হয়ে উঠতে এসব পড়ুয়ারা এখন ভীষণ ব্যস্ত কালিয়াগঞ্জ এর হাসপাতাল পাড়ার কুশমন্ডি হাই স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক  দিলীপ দাস এর কাছে তালিম নিতে। পড়াশোনার পাশাপাশি খুদে শিল্পিরা এখন ভীষণ খুশি এইসব নতুন কিছু সৃষ্টি করতে পেরে।এদিকে খুদে পড়ুয়াদের পড়াশোনার পাশাপাশি এই চিত্র ভাস্কর্যে উৎসাহ দিতে কুশমন্ডি হাইস্কুলের শিক্ষক দিলীপ দাস কে দেখা গেল তার নিজের বাড়িতে সব পড়ুয়াদের তালিম দিতে খুব আনন্দের সাথে। তিনি বলেন হাতেকলমে পড়াশোনার পাশাপাশি কেউ যদি জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে চায় তাকে প্রথাগত শিক্ষার বাইরে বেরিয়ে এসে নিজেকে নতুন কিছু শেখার মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।দিলীপ বাবু আরো বলেন তার ইচ্ছে এই সমস্ত পড়ুয়াদের তিনি হাতে কলমে এমনভাবে এই চিত্র ভাস্কর্যে পটু করে তুলবেন যাতে আগামী দিনে তাদের চলার পথ সহজ হয়।নিজেরাই নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে পারে। তিনি বলেন এই সমস্ত পড়ুয়ারা তার কাছে পড়াশোনা শিখতে আসে। আর পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে তিনি তাদেরকে নানান ধরনের চিত্র ভাস্কর্য ও পুতুল তৈরি করা শেখান। শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ তারাই পারবে সৃষ্টি সুখের উল্লাস এর মধ্য দিয়ে সমাজের নতুন এক দিগন্ত খুলে দিতে। যা ইতিমধ্যে করে দেখিয়ে দিল কালিয়াগঞ্জ এর হাসপাতাল পাড়ার খুদে পড়ুয়ারা। কালিয়াগঞ্জ বাসীরা খুদে পড়ুয়াদের আগামী দিনের সাফল্য কামনা করে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *