বাগদুযার বীর সিধু কানু ফুটবল কোচিং ক্যাম্পে আদিবাসী সমাজের খুদেদের ফুটবল কোচিং দিতেই ব্যাস্ত প্রদীপ মারডি
1 min readবাগদুযার বীর সিধু কানু ফুটবল কোচিং ক্যাম্পে আদিবাসী সমাজের খুদেদের ফুটবল কোচিং দিতেই ব্যাস্ত প্রদীপ মারডি
তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ(উত্তর দিনাজপুর),৮ জুন:না সর্বসাধারণের জন্য এই কোচিং ক্যাম্পটি প্রতিষ্ঠিত হয়নি।দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহাড়ি ব্লকের প্রত্যন্ত বাগদুযার আদিবাসী গ্রামে বাগদুয়ার বীর সিধু কানু কোচিং ক্যাম্পিটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল শুধুমাত্র আদিবাসী সমাজের পিছিয়ে পরা ছেলে মেয়েরা খেলাধুলায় এগিয়ে যেতে পারে সেই কারণেই।জানা যায় গ্রামের কিছু আদিবাসী যুবকের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই পিছিয়ে
পরা আদিবাসী ছেলে মেয়েদের নিয়ে ২০১৬সালে বাগদুয়ার বীর সিধু কানু আদিবাসী ফুটবল।কোচিং ক্যাম্প তৈরি হয়।এই কোচিং ক্যাম্পটি করবার সময় যারা আন্তরিকতার সাথে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন
তাদের মধ্যে ছিলেন গঙ্গারামপুর মহকুমার মহকুমা শাসক দেবাঞ্জন রায়,বংশী হাড়ি থানার আই সি বিশ্বজিৎ ঘোষ এবং গঙ্গারামপুর মহকুমা সাবডিভিশন ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক বিভূতি চক্রবর্তী।কোচিং ক্যাম্পের কোচ তথা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ফুটবল রেফারি প্রদীপ মারডি বলেন
এসব ব্যক্তি ছাড়া আদিবাসী গ্রামে এই ধরনের কোচিং ক্যাম্প করা তার পক্ষে কোন ভাবেই সম্ভব হতনা।কোচ প্রদীপ মারডি এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন বর্তমানে তার কোচিং ক্যাম্পে মোট ৪০ জন আদিবাসী সমাজের ছেলে মেয়েরা ফুটবলের কোচিং নিয়ে থাকে।একটা কোচিং ক্যাম্প চালাতে
প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হয়ে থাকে।এই কোচিং ক্যাম্পে মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক বিভূতি চক্রবর্তী দারুন ভাবে আর্থিক সহযোগিতা শুধু করে থাকে তা নয়,বিভিন্ন ভাবে এই কোচিং ক্যাম্পটি এগিয়ে যেতে পারে তারজন্য বুদ্ধি পরামর্শ দিয়ে থাকেন।কোচ প্রদীপ মারডি বলেন তার কোচিং ক্যাম্পের বেশ কয়েকটি ছেলে ইতিমধ্যেই ভালো ফুটবল খেলে
শুধু জেলায় নয় সমগ্র উত্তরবঙ্গে সুনামের সাথে খেলছে।যার মধ্যে তরুণ সোরেন,ফিলিপ হাসদা, বাপি মুর্মু,ইন্দ্রজিৎ হাসদা অন্যতম।কোচ প্রদীপ মারডি বলেন বিগত তিন মাসের উপর বাড়ি থেকে কেউ বের হতে পারেনি লকডাউনের জেরে।কিন্তূ এখন লকডাউন কিছুটা শিথিল হবার কারনে আমরা আবার দিন কয়েক হয় ফুটবল কোচিং শুরু করে দিয়েছি।আদিবাসী খুদে খেলোয়াড়েরা অনেকদিন বাদে মাঠে বল পেয়ে যার পর নাই খুশি হয়েছে।গঙ্গারামপুর মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক বিভূতি চক্রবর্তী বলেন আদিবাসী ছেলে মেয়েরা খেলাধুলায় খুব উৎসাহী হলেও ওদের প্রশিক্ষণ দেবার মত কেও ছিলনা।আমরা কিছু উৎসাহী মানুষ ওদেরকে এগিয়ে যাবার জন্য সবসময় উৎসাহ দিয়ে এই আদিবাসী ফুটবল কোচিং ক্যাম্পটি সবাই মিলে প্রতিষ্ঠা করে দিয়েছি।বর্তমানে এই কয় বছরের মধ্যে কোচ প্রদীপ মারডির অক্লান্ত পরিশ্রমে বেশ কয়েকজন আদিবাসী ছেলে ইতিমধ্যেই ভীষন ভালো খেলছে দেখে খুব গর্ব বোধ করছি।
বাগদুয়ার বীর সিধু কানু ফুটবল কোচিং ক্যাম্পের কোচ প্রদীপ মারডি জানান তার ইচ্ছা পিছিয়ে পরা আদিবাসী সমাজের দুই একটা এমন ফুটবলার তৈরি করবো যারা রাজ্য তথা জাতীয় স্তরে ফুটবল খেলে আমাদের আদিবাসী সমাজের মুখ উজ্বল করতে পারে।