“কাজ নেইতো খই ভাঁজ” তাই রাজ্যের এই দুঃসময়ে বিজেপির কোন কাজ না থাকায় শুধু রাজ্যের তৃণমূল দলের বিরুদ্ধে কুৎসমূলক প্রচার করেই চার মাস কাটিয়ে দিল–
1 min read“কাজ নেই তো খই ভাঁজ” তাই রাজ্যের এই দুঃসময়ে বিজেপির কোন কাজ না থাকায় শুধু রাজ্যের তৃণমূল দলের বিরুদ্ধে কুৎসমূলক প্রচার করেই চার মাস কাটিয়ে দিল—
তপন চক্রবর্তী–কালিয়াগঞ্জ(উত্তর দিনাজপুর)-রাজ্য যখন করোনার তান্ডবের সাথে আমফানের সাইক্লোনে একদিকে বিধ্বস্ত,রাজ্যের পরিশ্রমী মুখ্যমন্ত্রী যখন রাতদিন এক করে রাজ্যের মানুষদের বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়ে এই বিপদের হাত থেকে তাদের রক্ষা করবার চেষ্টায় অনবরত কাজ করে যাচ্ছে,তখন এই রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি হাতে কোন কাজ না থাকায় শুধু মাত্র একটি কাজ ব্যপক ভাবে করে যাচ্ছে তা হল রাজ্য সরকারের বিরূদ্ধে লাগাতার কুৎসা আর অপপ্রচার করে বিপদগ্রস্থ মানুষদের ত্রাণের কোন ব্যবস্থা না করে তাদের বিভ্রান্তিমূলক প্রচার করে যাচ্ছে।
যে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং নিন্দনীয় আমি শাসক দলের ইটাহারে বিধায়ক তার প্রতিবাদেই আজকের এই সাংবাদিক সম্মেলন ডাকা হয়েছে।রবিবার উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহারের উল্কা মোড়ের তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই কথা গুলি বললেন ইটাহারের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক অমল আচার্য।
বিধায়ক অমল আচার্য বলেন এই বিজেপি নামক দলটি রাজ্যের মা-মাটি-মানুষের সরকারকে সবদিক দিয়েই বিপদে ফেলার চেষ্টা করে যাচ্ছে।এই দল রাজ্যকে বিপদে ফেলার জন্য নিম্ন মানের করোনার কিটস দেয় যা লজ্জা জনক এবং ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ বলেই কেন্দ্রীয় সরকারকে সবাই ধীক্কার জানায়।বিধায়ক অমল আচার্য্য বলেন কেন্দ্রের দূরদর্শিতার অভাবে আমাদের রাজ্যের লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিকদের অসহনীয় বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছে মোদি সরকার।তাদের সাথে কুকুর বিড়ালের মত ব্যবহার করা হয়েছে।অথচ আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী জানিয়ে ছিলেন লকডাউন শুরু হবার আগে পরিযায়ী শ্রমিকদের যদি ঘরে ফেরার ব্যবস্থা কেন্দ্রীয় সরকার নিতেন তাহলে পরিযায়ী শ্রমিকদের কপালে এমন অমানুষিক দুর্ভোগ পোহাতে হত না।
বিধায়ক অমল আচার্য বলেন উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার ব্লকের ১২টা গ্রাম পঞ্চায়েতের লকডাউনের কবলে পড়ে যারা কাজকর্ম হারিয়ে গৃহবন্দি হয়েছিল তাদের প্রত্যেককে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।আমাদের তৃণমূল দলের কর্মীরা যে ভাবে নিজের জীবন বিপন্ন করে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে এবং এখনো দিয়ে যাচ্ছে তাদের জন্য আমার গর্ববোধ হয়।ইটাহার ব্লকে কি পরিমান খাদ্য দ্রব্য দুস্থ্য ব্যক্তিদের মধ্যে দেওয়া হয়েছে তার উত্তরে বিধায়ক অমল আচার্য বলেন ৩৪ হাজার শুকনো খাবার প্যাকেট দেওয়া হয়েছে।চাল দেওয়া হয়েছে ১৪২০ কুইন্টাল,ডাল-৮৫০ কুইন্টাল,আলু বিলি করা হয়েছে ৫৪০০ কুইন্টাল,পেঁয়াজ দেওয়া হয়েছে -১৭০০ কুইন্টাল সোয়াবিন–১৭ হাজার প্যাকেট, সাবান দেওয়া হয়েছে -৩৩হাজস্র পিস এবং, সর্ষের তেল দেইয়া হয়েছে -১৭ হাজার প্যাকেট।রবিবার ইটাহারের বিধায়কের ডাকা সাংবাদিক সম্মেলনে ইটাহার উচ্চ বিদ্যালয়ের তৃণমূল সমর্থিত শিক্ষক সংগঠনের পক্ষ থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দেবার জন্য ৩৫ হাজার টাকার একটি চেক বিধায়ক অমল আচার্যের হাতে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়।বিধায়ক অমল আচার্য উপস্থিত শিক্ষকদের অভিনন্দন জানান।রবিবারের সাংবাদিক সম্মেলনে বিধায়ক অমল আচার্য ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের ইটাহার ব্লক সভাপতি অমিত গাঙ্গুলী এবং তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের ব্লক সভানেত্রী পম্পা চৌধরী।