October 25, 2024

কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার পৌর প্রশাসকের মানবিক মুখ,৮৪ বছরের কানছু বালাকে পৌর প্রশাসক কার্তিক পাল খুঁজে বের করে তার হাতে ত্রাণ পৌঁছে দিলেন

1 min read

কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার পৌর প্রশাসকের মানবিক মুখ,৮৪ বছরের কানছু বালাকে পৌর প্রশাসক কার্তিক পাল খুঁজে বের করে তার হাতে ত্রাণ পৌঁছে দিলেন

তপন চক্রবর্তী–কালিয়াগঞ্জ –উত্তর দিনাজপুর–একেই বলে নিঃশব্দে দান।উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের ধনকোল গ্রাম পঞ্চায়েতের ৮৪ বছরের বৃদ্ধা কানছু বালা প্রতিদিন মধ্য দুর্গাপুর থেকে ক্রাচে ভর করে ভিক্ষাবৃত্তি করে অসুস্থ্য এক ছেলেকে ও বৌমা নাতনি নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তির উপর নির্ভর করে সংসার চালিয়ে আসছে।দীর্ঘ দিন আগেই লকডাউন চলার মধ্যেই কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার পৌর প্রশাসক এই প্রতিবেদককে বলে ছিলেন ,

ক্রাচে ভর করে এক বৃদ্ধা কালিয়াগঞ্জ শহরে ভিক্ষা করতে আসে তাকে যদি এর মধ্যে দেখতে পান তাহলে তাকে খবর দিতে। এই প্রতিবেদক এই কথা শুনে প্রতিদিন খোঁজ নেওয়া শুরু করে।হটাৎ করেই দূরের গঙ্গা

নিকটে পেয়ে গেলাম।সোমবার সকালে ভাগ্যক্রমে এই প্রতিবেদকের বাড়িতেই চলে আসে যেহেতু তার সাথে পূর্ব থেকেই পরিচয় ছিল।অশীতিপর বৃদ্ধা কানছু বালা বাড়িতে আসার পরেই পৌর প্রশাসক কার্তিক চন্দ্র পালকে এই খবর দিলে তিনি ভীষন খুশি হন।এরপর এই প্রতিবেদককে বলেন আপনার বাড়িতে বৃদ্ধা কানছু বালাকে অপেক্ষা করতে বলুন আমি সেখানেই তার জন্য ত্রাণ পাঠিয়ে দিচ্ছি।কথা মতই কাজ। যথারীতি এই প্রতিবেদকের বাড়িতে এক ব্যাগ ভর্তি বিভিন্ন ধরনের ত্রাণ চলে এলো।এর পর পৌর প্রশাসক এই প্ৰতিবেদককে ফোন করে বলেন আমার হয়ে ,৮৪বছরের বৃদ্ধা কানছু বালার হাতে বর্ষীয়ান সাংবাদিক হয়ে আপনিই ত্রানের জিনিষপত্র তুলে দিলে আমি খুশী হব।

কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার পৌর প্রশাসকের কথাকে সন্মান জানিয়ে বর্ষীয়ান সাংবাদিক কানছু বালার হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।ত্রাণ সামগ্রী পেয়ে ৮৪ বছরের বৃদ্ধা কানছু বালা বলেন আমার গ্রামে এত ত্রাণ বিলি হয়েছে কিন্তূ আমাকে কেউ দেখতে পায়নি।অথচ কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার কার্তিক বেটা আমার জন্য চিন্তা করে আমাকে ত্রাণ দেবার ব্যবস্থা করলো আমার কার্তিক বেটাকে কাছে না পেয়েও আমি আশিবাদ করলাম ও যেন অনেক দিন এইভাবে সমাজ সেবা করে যায়।আমার কার্তিক বেটা যেন জীবলে অনেক উন্নতি করতে পারে ভগবানের কাছে এটাই আমার প্রার্থনা।কালিয়াগঞ্জের পৌর প্রশাসক কার্তিক পাল বলেন এই রকম ধরনের ৮৪ বছরের বৃদ্ধার হাতে কিছু ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিতে পেরে আমি মনের দিক দিয়ে খুব তৃপ্তি পেয়েছি যা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবোনা।আর এর সাথে সাথে কালিয়াগঞ্জের মানুষ আবার দেখতে পেলো এই ঘটনায় সত্যি সত্যিই কালিয়াগঞ্জ পৌর প্রশাসক কার্তিক পালের মানবিক মুখের পরিচয়।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *