October 25, 2024

বন্ধন ব্যাঙ্কের ঋণ মুকুবের প্রচার আসলে কিছু সোশ্যাল মিডিয়ার গুজব,ভারত সরকার কোন ব্যাঙ্কের ঋণ মুকুব করেনি

1 min read

বন্ধন ব্যাঙ্কের ঋণ মুকুবের প্রচার আসলে কিছু সোশ্যাল মিডিয়ার গুজব,ভারত সরকার কোন ব্যাঙ্কের ঋণ মুকুব করেনি

তপন চক্রবর্তী–কালিয়াগঞ্জ–উত্তর দিনাজপুর–সম্প্রতি কিছু সোশ্যাল মিডিয়ার একটি চক্র বন্ধন ব্যাঙ্ক সহ বিভিন্ন ব্যাঙ্কের ঋণ মুকুব হয়েছে বলে গল্প ফেঁদেছে আসলে তাদের সোশ্যাল মিডিয়ার সাবস্ক্রাইবার বৃদ্ধি করবার জন্য।এই অপপ্রচার তাদের সোশ্যাল মিডিয়ার প্রচারের শ্বার্থে।সাধারণ মানুষদের উপকারের জন্য একদমই নয়।তাদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য সাধারণ ঋণ গ্রহীতাদের বিপদে ফেলায় তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য।

এক শ্রেণীর সোশ্যাল মিডিয়া এই অপ প্রচার চালিয়ে ব্যাঙ্কের ঋণ গ্রহীতাদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে চলেছে। যার কোন সত্যতা বা সারবত্তা নেই বলে বন্ধন ব্যাঙ্কের কর্তৃপক্ষ দৃঢ়তার সাথে জানিয়েছেন।এই অপপ্রচারের ফলে ব্যাঙ্কের ঋণ গ্রহীতাদের কিছু কিছু মানুষের মধ্যে একটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। রবিবার এক সাক্ষাৎকারে বন্ধন ব্যাঙ্কের রায়গঞ্জ ডিভিশনের এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার রবীন্দ্র সরকার জানান।

ব্যাঙ্কের ঋণ মুকুব সাধারণত করে থাকে ভারত সরকার।ভারত সরকার কোন সময় ঋণ মুকুব করলে তা শুধুমাত্র বন্ধন ব্যাঙ্কের জন্য করবে না।সরকার ঋণ মুকুবের সিধান্ত নিলে ভারতবর্ষের সমস্ত ঋণ প্রদানকারী ব্যাঙ্কের ঋণ মুকুব একসাথে ভারত সরকার ঘোষনা করে থাকে। বন্ধন ব্যাঙ্কের রায়গঞ্জ ডিভিউশনের এসিস্ট্যান্ট ডিভিশনাল ম্যানেজার রবীন্দ্র সরকার বলেন ভারত সরকার ঋণ মুকুব করলে সেখানে বন্ধন ব্যাঙ্ক

কেন সব ব্যাকের ঋণের অর্থ ভারত সরকার দিয়ে থাকে সমস্ত ঋণ দাদনকারী ব্যাঙ্কেই।ঋণ মুকুব হলে তারাই সবার আগে তাদের ব্যাঙ্কের ঋণ গ্রহীতাদের জানাবে।এটাই নিয়ম।এক শ্রেণীর সোশ্যাল মিডিয়ার কাজই মানুষকে ভুল বোঝানো।তিনি বলেন ঋণ মুকুব হলে তারা সমস্ত ঋণের অর্থ ভারত সরকারের কাছ থেকে পেয়েই যাবে।তাদেরতো কোন অসুবিধা নেই।যেখানে ভারত সরকার বা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ঋণ মুকুবের কোন সিধান্তই নিলনা অথচ সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য এই সমস্ত অপপ্রচার করে চলেছে। লকডাউন চলা কালীন সময়ে ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ঘোষণা করেছে যে কোন ব্যাঙ্কের ঋণের কিস্তি তিন মাসের জন্য পিছিয়ে দেওয়া যেতে পারে তবে সেটা নির্ভর করবে ঋণ দানকারী ব্যাঙ্ক এবং ঋণ গ্রহীতাদের সিদ্ধান্তের উপর।এই টুকুই মাত্র। তিনি বলেন তিন মাস ঋণের কিস্তি পিছিয়ে গেলেও ঋণের সুদ বহাল থাকবে বলে জানান।এর ফলে ঋণগ্রহীতাদের উপর ঋণের চাপ যেমন বাড়বে ঠিক তেমনি ভাবেই ঋণ পরিশোধের সময়সীমাও বেড়ে যাবে।এই নির্দেশ ভারত বর্ষের সমস্ত ঋণ দাদনকারী সংস্থায় যেমন দেশের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক পাঠিয়েছে তেমনি বন্ধন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষও তা পেয়েছে বলে রবীন্দ্র বাবু জানান।তিনি বলেন এই মুহূর্তে অনেকেই ঋণ পরিশোধ করছেন।আবার কেউ কেউ সেই লকডাউনের সুবিধা নিচ্ছেন।এসব স্বত্বেও কিছু কিছু সোশ্যাল মিডিয়ার একটি চক্র অনবরত ছোট ছোট ঋণ গ্রহীতাদের মধ্যে অযথা ঋণ মুকুবের মত অসত্য প্রচার চালিয়ে গেলেও বন্ধন ব্যাঙ্ক মনে করেন বন্ধন ব্যাঙ্কের ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহীতারা সেই সব অসত্য প্রচারের ফাঁদে নিজেদের স্বার্থের কথা ভেবেই পা দেবেন না বলেই তার দৃঢ় বিশ্বাস।কারণ বন্ধন ব্যাঙ্ক এমন একটি ব্যাঙ্ক যে ব্যাঙ্ক সবসময় সাধারণ মানুষের আপদে বিপদে তাদের অতি সহজ সরল ভাবে তাদের ঋণ দিয়ে ব্যবসা করার সুযোগ করে দেয়। নিজের পায়ে দাঁড়ানোর ব্যবস্থা করে আসছে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে।যার ফলে সাধারণ মানুষ মনে করে বন্ধন ব্যাঙ্ক দুস্থ্য মানুষদের বেঁচে থাকার একটা হাতিয়ার মাত্র।এই ব্যাঙ্ক শুধু মুনাফা করবার জন্যই প্রতিষ্টিত হয়নি। দুস্থ্য মানুষদের ব্যবসা বাণিজ্য করে বর্তমান কালের এই কঠিন সময়ে পরিবার পরিজনদের নিয়ে জীবন জীবিকার রাস্তা প্রসস্থ করতে সবসময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে থাকে বলে রবীন্দ্র বাবু মনে করেন। তাই রবীন্দ্র বাবু ঋণ গ্রহীতাদের উদ্দেশ্যে বলেন আপনারা গুজবে কান দেবেন না।গুজব ছড়াবেনও না।নিজের জীবনের উন্নয়নকে স্তব্ধ করবেন না কিছু কুচক্রীদের অপ প্রচারে।আপনারা ব্যাঙ্কে আসুন প্ৰকৃত সত্য জেনে নেবার জন্য।তাহলেই সমস্ত জলের মত পরিস্কার হয়ে যাবে।তাছাড়া আপনারাও বুঝতে পারবেন এক শ্রেণীর সোশ্যাল মিডিয়া আপনাদের কিভাবে ভুল পথে যাবার জন্য অনবরত চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছে।যা আপনাদের কাছেও পরিষ্কার হয়ে যাবে এবং সোশ্যাল মিডিয়ার আসল রূপ সম্পর্কে আপনাদেরও ধারণা জন্মাবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *