“হাট বসেছে শুক্রবারে, বকশীগঞ্জের পদ্মা পাড়ে। জিনিসপত্র জুটিয়ে এনে, গ্রামের মানুষ বেচে কিনে।
1 min read“হাট বসেছে শুক্রবারে, বকশীগঞ্জের পদ্মা পাড়ে। জিনিসপত্র জুটিয়ে এনে, গ্রামের মানুষ বেচে কিনে।
গাজোল, সব্যসাচী মন্ডল:- “হাট বসেছে শুক্রবারে, বকশীগঞ্জের পদ্মা পাড়ে। জিনিসপত্র জুটিয়ে এনে, গ্রামের মানুষ বেচে কিনে। উচ্ছে, বেগুন, পটল, মুলো,-বেতের বোনা ধামা কুলো” রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা এই লাইনগুলি সত্যি বাস্তবে দেখল গাজলের মানুষ। তবে এক্ষেত্রে রয়েছে কিছু ব্যতিক্রম।
শুক্রবারে হাট বসলেও তবে সেটি বকশীগঞ্জের পদ্মা পাড়ে নয় সেটি বসেছে গাজলের নয়াপাড়া এলাকায়। সেই হাটে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন বহু মানুষ। এই হাটে বেতের বোনা ধামা কুলো না পাওয়া গেলেও মিলছে ঝিঙে, পটল, লঙ্কা, টমেটো, বাঁধাকপি, করলা, মিষ্টি কুমড়ো, সোয়াবিন,
লবণ, মসলা সবকিছুই। কিন্তু এই হাটে জিনিস নিতে হলে গ্রামের মানুষকে কিছুই বেচতে হচ্ছে না অথবা কোন কিছুই জুটিয়ে আনতে হচ্ছে না। হাতে একটা ব্যাগ থাকলেই করছেন বাজার। গাজোলে যুবক বিন্দের উদ্যোগে আয়োজন করা হলো বিনে পয়সার বাজার।
এই বাজারে বাজার করতে ভিড় জমালেন গাজোল ব্লকের বহু মানুষ। যার ফলে মাথায় হাত পরল দৈনিক বাজারের ব্যবসায়ীদের। আর এই বাজারে দোকান সামলাচ্ছে গাজোল বিধানসভার বিধায়িকা দিপালী বিশ্বাস, গাজোল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রেজিনা পারভিন, যুবক বিন্দের অন্যতম মুখ অমিত গুপ্তা (সনোজ)। খদ্দের আসছেন জিনিস নিচ্ছেন কিন্তু দিতে হচ্ছে না পয়সা।
বিনা পয়সাতেই নিজেদের পছন্দমত বাজার করছেন। টাকা নিয়ে বাজার করতে এসে বিনে পয়সায় বাজার সেরে ফেলে চরম খুশি সাধারন মানুষ।গাজোল ব্লকের নয়াপাড়া এলাকায় এই ধরনের বিনে পয়সার সবজি বাজারের আয়োজন করা হয় যুবক বিন্দের পক্ষ থেকে। বেশ কয়েক রকম সবজির পসরা ছিল এই বাজারে। সকাল হতেই শুরু হয়ে যায় এই।দোকানে হিসেবে দেখা যায় বিধায়িকা দিপালী বিশ্বাস পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রেজিনা পারভিন ও পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি জয়ন্ত ঘোষ কে। সকাল সকাল বাজার করতে বেড়ান বহু মানুষ। পকেটে টাকা কিন্তু যুবকরা প্রচার করছেন এই বাজার আপনাদের জন্যই এখান থেকে বাজার করুন কোন পয়সা দিতে হবে না। এই কথায় হতচকিত হয়ে পড়ে এলাকার সাধারণ মানুষ। বিনা পয়সায় বাজার খবর চাউর হতেই ভিড় বাড়তে শুরু করে বাজারে। সামাজিক দূরত্ব রেখে বাজার বজায় রাখার জন্য ছিল স্বেচ্ছাসেবক।যার ফলে সময় লাগলেও বিনে পয়সার বাজারে বাজার করেছেন সাধারণ মানুষ।এদিন অমিত গুপ্তা জানান সাধারণ মানুষকে বহু জায়গায় চাল, ডাল, আলু দিয়ে সাহায্য করছি। কিন্তু সবজি কিনে নিতে হচ্ছে তাদের। যার ফলে যারা গরিব মানুষ তারা আলু সেদ্ধ ভাত এই পেট ভরছে। হাতে পয়সা নেই তাই সবজির যোগান নেই।তাদের কথা মাথায় রেখেই আমরা সিদ্ধান্ত নেই সাধারণ মানুষের জন্য আমরা বিনা পয়সার বাজার করব যেখানে সাধারন গরিব মানুষ বিনে পয়সায় তাদের পছন্দমতো সবজি বাজার করতে পারবে। আর সিদ্ধান্ত মতোই আজকে বাজার বসে। সাধারণ মানুষকে সহযোগিতা করতে পেরে অত্যন্ত খুশি আমরা।আগামী দিনে আবার টাকা পয়সা জোগাড় করে এই ধরনের বিনে পয়সায় বাজার আমরা বসাবো।