লকডাউন এ সাবানের চাহিদা তুঙ্গে। সাবান তৈরি করতে তাই ভীষণ ব্যস্ত কালিয়াগঞ্জ এর রতনের সাবান তৈরির কারখানার শ্রমিকরা।
1 min readলকডাউন এ সাবানের চাহিদা তুঙ্গে। সাবান তৈরি করতে তাই ভীষণ ব্যস্ত কালিয়াগঞ্জ এর রতনের সাবান তৈরির কারখানার শ্রমিকরা।
তনময় চক্রবর্তী দেশজুড়ে চলা লকডাউন এ আর পাঁচজনের মতো প্রথম অবস্থায় গৃহবন্দী ছিলেন রমেশ রায়, ভারতী রায়, ঝর্ণা বর্মন, বাপ্পা বর্ধন, রাজ কুমার বর্মন, পরিতোষ দাস এর মত কর্মঠ শ্রমিকরা। তাদের রোজগারের একমাত্র উৎস ছিল কারখানায় কাজ করে যে টাকা উপার্জন হবে তা দিয়ে সংসার চালানো ।
কিন্তু লকডাউন এর জেরে হঠাৎ করে তাদের কাজ কর্মে ছেদ পড়ে। আর তখন তারাও কাজ ছেড়ে দিয়ে আর পাঁচজনের মতো করে গৃহবন্দী থাকতে শুরু করে দিয়েছিল।
এরপর আবার কেন্দ্রীয় সরকার লকডাউন এর মধ্যেও কিছুকিছু জিনিসের ছাড় দেয়। তার মধ্যে অন্যতম কল কারখানা। ফলে সেই সমস্ত কর্মহীন হয়ে যাওয়া শ্রমিকরা আবারো উৎসাহের সাথে কাজে যোগ দেয় তাদের কারখানায় ।
এমন একটি সাবান তৈরীর কারখানার হদিস পাওয়া গেল উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের রতন গ্রামে। যেখানে দেখা গেল সাবান তৈরির কারখানায় কাজ করতে উৎসাহের সাথে মহিলা ও পুরুষ শ্রমিকদের। সকাল সাতটা থেকে তারা এই কারখানায় এসে কাজ করে আবার বাড়ি ফিরছে বিকেল পাঁচটায়। লকডাউন এর মধ্যেও কেন্দ্রীয় সরকার
এই শিল্পে ছার দেওয়ায় শ্রমিকরা ভীষণ খুশি। তারা ধন্যবাদ জানান কেন্দ্রীয় সরকারকে। দেখা যায় করোনা ভাইরাস থেকে সতর্ক থাকতে কেন্দ্রীয় সরকার যে সমস্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে বলছে তার প্রত্যেকটি অক্ষরে অক্ষরে
এই সমস্ত শ্রমিকরা মেনে চলছেন। যেমন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছেন তারা তেমনি তারা মুখে মাক্স পরে কাজ করছেন তেমনি ভাবেই বারেবারে হাত ও ধুয়ে নিচ্ছেন প্রতিনিত। উল্লেখ্য করোনাভাইরাস থেকে সতর্ক থাকতে যখন সরকার থেকে সাধারণ মানুষদের বারেবারে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার কথা বলছেন ঠিক সেই সময় সেই সাবান
তৈরি করতে ভীষণ ব্যস্ত কালিয়াগঞ্জ ব্লকের রতন গ্রামের সাবান তৈরি কারখানায় আসা শ্রমিকরা। কারখানার মালিক প্রদীপ দেবশর্মা জানান সমস্ত রকম সর্তকতা মেনে কারখানা চালু করেছেন। শ্রমিকরাও আসছেন নিয়মিতভাবে।
যেহেতু এখন সাবানের খুব চাহিদা তাই তারা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সাবান তৈরি করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। তবে সামাজিক দূরত্ব, মুখে মাক্স ও বারেবারে কারখানায় কর্মরত শ্রমিকরা হাত ধুয়ে নিছেন কিনা তা
তিনি নজর রাখছেন ।তিনি আরো বলেন লকডাউন সময় প্রথমদিকে কারখানা বন্ধ থাকার ফলে তাদের কারখানায় কর্মরত শ্রমিকরা
ভীষণ অসুবিধা সম্মুখীন হয়েছিলেন কিন্তু বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকার কল-কারখানাগুলিতে ছাড় দেওয়ায় তারাও তাদের কারখানা এখন খুলছেন
প্রতিনিয়ত এবং শ্রমিকরাও আসছেন প্রতিনিয়ত। ফলে এখন আর তাদের কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের আর কোনো অসুবিধা নেই।