লকডাউনে রাজ্য ও জেলা পুলিশের দায়িত্ব ও কর্তব্যে আপ্লুত জনগন।
1 min readলকডাউনে রাজ্য ও জেলা পুলিশের দায়িত্ব ও কর্তব্যে আপ্লুত জনগন।
কৃতিমান বিশ্বাস, রায়গঞ্জ পুলিশের প্রধান কর্তব্য হলো সাধারণ মানুষ কে সঠিক আইনি পরিষেবা প্রদান করা।একজন পুলিশের জীবনের নেই কোনো উৎসব ,নেই কোনো আনন্দ – তারা তাদের মূল্যবান জীবন কে উৎসর্গ করেন মানব সেবায়। দিন রাত এক করে তারা তাদের কর্তব্য পালন করে চলেন।নিজেদের জীবনের পরোয়া না করে সাধারণ মানুষকে অক্লান্ত পরিশ্রম করে বিভিন্ন ঝড় ঝাপটা থেকে রক্ষা করে পুলিশ।
বছরের উৎসবের দিন গুলি তে ও সাধারণ মানুষ কে পরিষেবা দেওয়ার জন্য নিজেদের উৎসবের দিন গুলি কেও বিসর্জন দেয় তারা।তাদের জীবনের বিশেষ দিন গুলি তেও তারা তাদের পরিবার এর সাথে আনন্দে কাটাতে পারে না শুধু জনসাধরণ কে সঠিক আইনি পরিষেবা প্রদান করার জন্য। শুধু আইনি পরিষেবাই তেই সীমাবদ্ধ নয় পুলিশরা। আইনি পরিষেবা প্রদান করার পাশাপাশি বিভিন্ন মানবিক কর্মসূচি তে নিজেদের লিপ্ত রাখে তারা।যখন সাধারণ মানুষ দিন শেষ এ রাত্রে বাড়িতে এসে শান্তির নিশ্বাস ফেলে – তখন ও পুলিশ সারা রাত্রি জেগে থেকে বছরের প্রত্যেক দিন একনিষ্ঠ ভাবে নিজেদের কর্তব্য পালন করে চলে ।
এ ছাড়াও এই চরম দুর্যোগ এর দিন এ যখন দেশ তথা রাজ্যবাসীর জীবন এক গভীর সংকট এ ঠিক তখন সাধারণ মানুষকে এই ভয়াবাহ মহামারীর হাত থেকে রক্ষা করতে গোটা দেশ তথা রাজ্য জুড়ে চালু হয় লকডাউন। এবং এই লকডাউন কে সম্পূর্ণ ভাবে সার্থক করতে ও রাজ্যের সাধারণ মানুষকে রক্ষা করতে এক গুরুত্বপর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে রাজ্য পুলিশ প্রশাসন, জেলা পুলিশ প্রশাসন।এই চরম বিপদের দিন এ সাধারণ মানুষ করোনার এই বিষাক্ত ছোবলে যেনো না পরে সেই জন্য দিন রাত এক করে নিজেদের জীবনের ঝুকি নিয়ে নিজেদের পরিবারের মানুষদের কথা না ভেবে নিজেদের কর্তব্য পালন করে চলেছে রাজ্য ও জেলা পুলিশ প্রশাসন।এ ছাড়াও সাধারণ মানুষ কে এই মারণ ভাইরাস সম্পর্কে সচেতন করতে জনসাধারণের হাত এ তারা মাস্ক তুলে দিয়ে তাদের হাত স্যানিটাইস করেছে প্রত্যেক মুহূর্তে।এ ছাড়াও সাধারণ মানুষ যেন ঘরে থাকে ,যেন তারা ঘর থেকে না বের হয় সেই জন্য পুলিশ কর্মী রা কখনো বা কঠিন হয়ে কখনো বা নরম হয়ে মানুষকে ঘরে থাকার জন্য সাবধান করে চলেছে প্রতিনিয়ত।এ ছাড়াও সাধারণ মানুষ যখন গৃহবন্দী,যখন সাধারণ মানুষের মনে এই করোনা নিয়ে জন্ম নিয়েছে এক ঘন কালো আঁধার যখন এই মহামারীর তীব্র প্রকোপে মানুষের জীবন যাত্রা প্রায় স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে – ঠিক সেই সময় গৃহবন্দী মানুষদের বিনোদন এর জন্য জীবনমুখী গান করে জনসাধারণ কে এই চরম দুর্যোগের দিনে উৎসাহিত করে চলেছে রাজ্য পুলিশ প্রশাসন। এ ছাড়াও গরীব অসহায় দিন অনা দিন খওয়া মানুষদের জীবনে এই মহামারীর প্রকোপ যখন নেমে এসেছে এক চরম বিপর্যয়। যখন সাধারণ মানুষের মুখের অন্ন কেরে নিয়েছে এই মারণ ভাইরাস ।যখন মানুষ নিজের অন্ন সংস্থান এর উপায় ভেবে দিশেহারা -ঠিক সেই সময় সেই গরীব মানুষদের পাশে এসে তাদের বেঁচে থাকার পথ দেখায় রাজ্য, জেলা পুলিশ প্রশাসন।তাদের হাতে পর্যাপ্ত পরিমাণের খাদ্য সামগ্রী তুলে দেয় রাজ্য, জেলা পুলিশ প্রশাসন।”যদি হোউ রক্তদাতা জয় করবে মানবতা” -রক্ত দান একটি মহৎ দান । এই রক্ত দানের ফলেই বহু মানুষের জীবন রক্ষা পায়।আজ চারিদিকে সবাই যখন নিজদের এই মহামারীর ছোবল থেকে নিজেদের ও পরিবারের মানুষদের বাঁচাতে ব্যস্ত ঠিক সেই মুহূর্তে নিজেদের কথা না ভেবে এই রাজ্যের, জেলার সমস্ত পুলিশ রক্ত দান কর্মসূচির মাধ্যমে নিজেদের রক্ত দান করেন । সেই লকডাউন এর শুরু থেকে রাজ্যবাসীর রক্ষার্থে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছে রাজ্য , জেলা পুলিশ । পুলিশের এই মহামারীর দিনে এই একনিষ্ঠ কর্তব্য ও তাদের এই মানবিক প্রয়াস সাধারণ মানুষ কে বাঁচাতে যে ভাবে তারা নিজেদের কে জনগণের সেবায় নিয়োজিত করেছে তা রাজ্যবাসী, জেলাবাসী কে এই চরম কঠিন দিনে মানুষের সাথে এই মারণ ভাইরাস এর লড়াই তে মানুষ কে জয়লাভ করতে মানুষের মনে এক নতুন স্পৃহা যোগাচ্ছে।